উত্তর : ইসলাম শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যাপারে যতো গুরুত্বারোপ করেছে অন্য কোনো ধর্ম তা করেনি। তবে ইসলামী শিক্ষানীতিতে প্রচলিত সহশিক্ষানীতির কোনো স্থান নেই। বরং শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ পৃথক পৃথক হতে হবে। সুতরাং পর পুরুষের সামনে পাঠ উপস্থাপন থেকে বেঁচে থাকতে হবে। আর সম্ভব নাহলে এমন চাকুরি করা যাবে না। আবূ সাঈদ রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক মহিলা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনার হাদীছ তো কেবল পুরুষরা শুনতে পায়। সুতরাং আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য একটি দিন নির্ধারণ করে দিন, যেদিন আমরা আপনার নিকট আসব, আল্লাহ আপনাকে যা কিছু শিক্ষা দিয়েছেন তা থেকে আপনি আমাদের শিক্ষা দিবেন। তিনি বললেন, তোমরা অমুক অমুক দিন অমুক অমুক স্থানে সমবেত হবে। তারপর (নির্দিষ্ট দিনে) তারা সমবেত হলো এবং নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের কাছে এলেন এবং আল্লাহ তাকে যা কিছু শিক্ষা দিয়েছেন তা থেকে তাদের শিক্ষা দিলেন (ছহীহ বুখারী, হা/৭৩১০; ছহীহ মুসলিম, হা/৬৮৬৮)। এ হাদীছ প্রমাণ করে যে, পুরুষ নারীর সামনে বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারেঠ। তবে নারী পুরুষের সামনে বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারে না।
প্রশ্নকারী : মোছাঃ রানুয়ারা
আক্কেলপুর, জয়পুরহাট।