কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

হজ্জ ও উমরা (পর্ব-১২)

ইহরাম অবস্থায় যা নিষিদ্ধ :

(১) ইহরাম বাঁধার সময় ইযতেবা (চাদর ডান বগলের নিচে দিয়ে বাম কাঁধে রাখা) করা যাবে না। ইযতেবা হবে শুধু প্রথম ত্বওয়াফের সময়।

(২) মীক্বাতে পৌঁছার পূর্বে ইহরাম বাঁধা যাবে না। তবে কাপড় পরতে পারবে।

(৩) ইহরাম ছাড়া মীক্বাত অতিক্রম করা যাবে না।

তালবিয়া পাঠ : ইহরাম বাঁধার পরেই যে কাজটি সবচেয়ে বেশি করতে হবে, তা হলো তালবিয়া পড়া। বিদায় হজ্জে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পঠিত এবং আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু এর বর্ণিত তালবিয়া হলো,لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ উচ্চারণ :লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকালাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারীকা লাক। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত। আপনার ডাকে সাড়া দিতে আমি উপস্থিত। আপনার কোনো শরীক নেই। আমি আপনার ডাকে উপস্থিত। নিশ্চয়ই সমস্ত প্রশংসা আপনার। সমস্ত অনুগ্রহ আপনার, রাজত্ব আপনার, কোনো শরীক নেই আপনার’।[1] এই হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয়, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই তালবিয়াটি পড়তেন। এই হাদীছে মহান আল্লাহর একত্বের স্বীকৃতি রয়েছে। আল্লাহকে সমস্ত বিষয়ে শরীকমুক্ত বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। হাদীছটি হতে শিক্ষা নিয়ে প্রতিটি পুরুষ-নারীকে শিরকমুক্ত জীবনযাপন করতে হবে।

عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : «مَا مِنْ مُسْلِمٍ يُلَبِّيْ إِلاَّ لَبَّى مِنْ عَنْ يَمِينِهِ أَوْ عَنْ شِمَالِهِ مِنْ حَجَرٍ أَوْ شَجَرٍ أَوْ مَدَرٍ حَتَّى تَنْقَطِعَ الأَرْضُ مِنْ هَا هُنَا وَهَا هُنَا».

সাহল ইবনু সা‘দ রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যখন কোনো ব্যক্তি তালবিয়া পাঠ করে, তখন তার সাথে সাথে তার ডানে-বামে গাছপালা, পাথর, মাটি, ঢিলা এমনকি পূর্ব-পশ্চিমের সীমান্ত পর্যন্ত মাটিও তালবিয়া পাঠ করে’।[2] এই হাদীছ হতে তালবিয়া পাঠের ফযীলত সম্পর্কে জানা যায়। যখন কোনো ব্যক্তি তালবিয়া পাঠ করে, তখন পৃথিবীর সবকিছুই তালবিয়া পাঠ করে।

عَنْ خَلاَّدِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : «أَتَانِيْ جِبْرِيلُ فَأَمَرَنِيْ أَنْ آمُرَ أَصْحَابِيْ أَنْ يَرْفَعُوا أَصْوَاتَهُمْ بِالإِهْلاَلِ».

খাল্লাদ ইবনু সায়িব তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, তার পিতা বলেন, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘জিবরীল আমার কাছে আসলেন, অতঃপর আমাকে বললেন যে, আমি আমার ছাহাবীদের আদেশ দেই, তারা যেন উঁচু আওয়াজে তালবিয়া পাঠ করে’।[3] এই হাদীছে বুঝা যায়, তালবিয়া উচ্চৈঃস্বরে পড়তে হবে।

عَنْ أَبِى بَكْرٍ الصِّدِّيقِ أَنَّ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ أَىُّ الْحَجِّ أَفْضَلُ؟ قَالَ: «الْعَجُّ وَالثَّجُّ».

আবূ বকর ছিদ্দীক্ব রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, সবচেয়ে উত্তম আমল কোনটি? নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘আমলের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম আমল ঐ হজ্জ, যাতে উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পাঠ করা হয় এবং কুরবানীর রক্ত প্রবাহিত করা হয়’।[4] মুত্ত্বালিব ইবনে আব্দুল্লাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ছাহাবীগণ উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পড়তেন। এমনকি তাদের কণ্ঠ খুব বেশি উঁচু হতো।[5] এই হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পাঠ করতে হবে।

মহিলারা সরবে তালবিয়া পাঠ করতে পারে : ফেতনার অশঙ্কা না থাকলে মহিলারা উচ্চ কণ্ঠে তালবিয়া পাঠ করতে পারে। আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা উঁচু কণ্ঠে তালবিয়া পাঠ করতেন, এমনকি পাশের পুরুষ লোকেরা শুনতে পেত।

عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ خَرَجَ مُعَاوِيَةُ لَيْلَةَ النَّفْرِ فَسَمِعَ صَوْتَ تَلْبِيَةٍ فَقَالَ مَنْ هَذَا قَالُوا عَائِشَةُ اعْتَمَرَتْ مِنَ التَّنْعِيمِ فَذُكِرَ ذَلِكَ لِعَائِشَةَ فَقَالَتْ لَوْ سَأَلَنِي لأَخْبَرْتُهُ.

আব্দুর রহমান ইবনু কাসেম তার পিতা হতে বর্ণনা করেন, তার পিতা বলেন, বিদায় হজ্জ থেকে ফেরার রাতে মুআবিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহু বের হলেন। তিনি তালবিয়ার শব্দ শুনলেন, তিনি বললেন, ইনি কে? সবাই বলল, ইনি আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা। তিনি ‘তানঈম’ হতে উমরা করছেন। মুআবিয়া রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর বিষয়টি আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা-এর কাছে বলা হলে তিনি বললেন, মুআবিয়া আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমি তাকে উত্তর দিতাম।[6] এই হাদীছ প্রমাণ করে মহিলারা সরবে তালবিয়া পাঠ করতে পারে। আলবানী রাহিমাহুল্লাহ এই হাদীছটি পেশ করেন এবং বলেন, আহমাদ ইবনু তায়মিয়্যা রাহিমাহুল্লাহ তাঁর ‘হজ্জের নিয়মনীতি’ নামক বইয়ে মহিলাদের সরবে তালবিয়া পাঠ করার কথা উল্লেখ করেছেন।[7]

তালবিয়া পড়া জরুরী : তালবিয়া পাঠ করা জরুরী। কারণ তালবিয়া হলো হজ্জের প্রতীক। উপরের হাদীছগুলো তার প্রমাণ। ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,كَأَنِّيْ أَنْظُرُ إِلَى مُوسَى عَلَيْهِ السَّلاَمُ هَابِطًا مِنَ الثَّنِيَّةِ وَلَهُ جُؤَارٌ إِلَى اللَّهِ بِالتَّلْبِيَةِ ‘আমি যেন মূসা আলাইহিস সালাম-কে দেখছি তিনি ছানিয়্যা পাহাড় হতে নিচের দিকে যাচ্ছেন, তখন তিনি বিনয়ের সাথে উঁচু কণ্ঠে তালবিয়া পাঠ করছেন’।[8] যায়েদ ইবনু খালেদ আল-জুহানী রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘জিবরীল আলাইহিস সালাম রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসলেন এবং বললেন, আপনি আপনার ছাহাবীদের উঁচু কণ্ঠে তালবিয়া পাঠ করার জন্য আদেশ করেন। নিশ্চয় তালবিয়া হলো হজ্জের প্রতীক’।[9] আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আমরা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে বের হলাম। আমরা ‘রাওহা’ নামক স্থানে না পৌঁছাতেই জনগণের উঁচু কণ্ঠে তালবিয়া পাঠ শুনতে পেলাম।[10]

আবূ সাঈদ খুদরী রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন,خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَصْرُخُ بِالْحَجِّ صُرَاخًا ‘আমরা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হজ্জের উদ্দেশ্যে বের হলাম এবং আমরা উচ্চৈঃস্বরে হজ্জের তালবিয়া বলতে থাকলাম’।[11] আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন,كُنْتُ رَدِيفَ أَبِيْ طَلْحَةَ وَإِنَّهُمْ لَيَصْرُخُونَ بِهِمَا جَمِيعًا الْحَجِّ وَالْعُمْرَةِ ‘আমি আবূ তালহার সাথে একই বাহনের পিছনে ছিলাম। তারা সবাই এক সাথে হজ্জ ও উমরার তালবিয়া উচ্চৈঃস্বরে বলছিলেন’।[12] ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুলহুলায়ফায় ক্বছর করে আছরের দুই রাকআত ছালাত আদায় করলেন। অতঃপর তার উটনী তাঁকে নিয়ে যুলহুলায়ফার মসজিদের পাশে সোজা হয়ে দাঁড়ালো, তখন তিনি এই শব্দগুলো দিয়ে তালবিয়া পড়লেন। তিনি বললেন,لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ فِيْ يَدَيْكَ لَبَّيْكَ وَالرَّغْبَاءُ إِلَيْكَ وَالْعَمَلُ ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার দরবারে উপস্থিত। হে আল্লাহ! আমি তোমার দরবারে উপস্থিত। আমি তোমার নিকট সৌভাগ্য লাভ করছি। সমস্ত কল্যাণ তোমার হাতে। আমি উপস্থিত আছি তোমর নিকট। আশা-আকাঙ্ক্ষা তোমার নিকট এবং সব কর্ম তোমার আদেশে।[13] জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিদায় হজ্জের বিবরণে বলেন, ছাহাবীগণ এভাবে তালবিয়া বলতেন, لَبَّيْكَ ذَا الْمَعَارِجِ وَلَبَّيْكَ ذَا الْفَوَاضِلِ ‘হে আকাশের দিকে চড়ে যাওয়ার সিঁড়িসমূহের মালিক! আমি তোমার নিকট উপস্থিত। হে অনুগ্রহসমূহের মালিক! আমি তোমার নিকট উপস্থিত’।[14]

উক্ত হাদীছগুলো তালবিয়া পাঠের গুরুত্ব বহন করে এবং বিভিন্ন শব্দে তালবিয়া পাঠ করার প্রমাণ বহন করে।

তালবিয়া পাঠের পূর্বে তাকবীর পাঠ করা ভালো : হাদীছে এসেছে,

عَنْ أَنَسٍ رضي الله عنه قَالَ صَلّٰى رَسُولُ اللّٰهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَحْنُ مَعَهُ بِالْمَدِينَةِ الظُّهْرَ أَرْبَعًا وَالْعَصْرَ بِذِى الْحُلَيْفَةِ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ بَاتَ بِهَا حَتّٰى أَصْبَحَ ثُمَّ رَكِبَ حَتَّى اسْتَوَتْ بِهِ عَلَى الْبَيْدَاءِ حَمِدَ اللّٰهَ وَسَبَّحَ وَكَبَّرَ ثُمَّ أَهَلَّ بِحَجٍّ وَعُمْرَةٍ وَأَهَلَّ النَّاسُ بِهِمَا فَلَمَّا قَدِمْنَا أَمَرَ النَّاسَ فَحَلُّوا حَتَّى كَانَ يَوْمُ التَّرْوِيَةِ أَهَلُّوا بِالْحَجِّ قَالَ وَنَحَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَدَنَاتٍ بِيَدِهِ قِيَامًا وَذَبَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ كَبْشَيْنِ أَمْلَحَيْنِ.

আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় চার রাকআত যোহরের ছালাত আদায় করলেন, আমরাও তাঁর সাথে চার রাকআত আদায় করলাম। আর যুলহুলায়ফায় এসে আছরের ক্বছর দুই রাকআত আদায় করলাম। তিনি সেখানে রাত অতিবাহিত করলেন। এমনকি সকাল হয়ে গেল। তারপর তিনি বাহনে আরোহণ করলেন। বাহন যখন তাঁকে নিয়ে ‘বায়দা’ নামক স্থানে সোজা হয়ে দাঁড়ালো, তখন তিনি আল-হামদুলিল্লাহ, সুবহানাল্লাহ ও আল্লাহু আকবার বললেন। তারপর তিনি হজ্জ ও উমরার ইহরাম বাঁধলেন আর ছাহাবীগণও হজ্জ ও উমরার ইহরাম বাঁধলেন। অতঃপর যখন মক্কায় আসলাম, তখন ছাহাবীদের (উমরা) করার পর হালাল হয়ে যেতে বললেন। তারপর যখন যুলহিজ্জার ৮ তারিখ আসলো, তখন সবাই হজ্জের ইহরাম বাঁধল। নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেদিন দাঁড়ানো অবস্থায় অনেক কুরবানী করেছিলেন। তবে তিনি মদীনায় দুটি সাদা-কালো ভেড়া কুরবানী করেছিলেন।[15] এই হাদীছে বুঝা যায়, ইহরাম বাঁধার পূর্বে তাসবীহ-তাহলীল, যিকির-আযকার করা ভালো।

(চলবে)


[1]. ছহীহ বুখারী, হা/১৫৫৩; ছহীহ মুসলিম, হা/২৮৬৮।

[2]. তিরমিযী, হা/৮২৮; মিশকাত, হা/২৫৫০, ‘ছহীহ’।

[3]. আবূ দাঊদ, হা/১৮১৪; মিশকাত, হা/২৫৪৯।

[4]. তিরমিযী, হা/৮২৭; ইবনু মাজাহ, হা/২৯২৪।

[5]. মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বা, ফাতহুল বারী, হা/১৫৪৮-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য।

[6]. মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বা, হা/১৪৮৮৫।

[7]. আলবানী, মানাসিকুল হজ্জ ওয়াল উমরা, পৃ. ১৮।

[8]. ছহীহ মুসলিম, হা/১৬৬।

[9]. বায়হাক্বী, হা/৯০৯২।

[10]. বায়হাক্বী, হা/৯১০০।

[11]. ছহীহ মুসলিম, হা/১২৪৭; মিশকাত, হা/২৫৪৩।

[12]. ছহীহ বুখারী, হা/২৯৮৬; মিশকাত, হা/২৫৪৪।

[13]. ছহীহ মুসলিম, হা/১১৮৪; আবূ দাঊদ, হা/১৮১২; মিশকাত, হা/২৫৫১।

[14]. বায়হাক্বী, হা/৯১১৩।

[15]. ছহীহ বুখারী, হা/১৫৫১।

Magazine