কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

লোক দেখানো আমলের পরিণতি (পর্ব-২)

লোক দেখানো আমলকারীর পরিণতি :*

প্রদর্শনের জন্য আমল করাকে ইসলামে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। লোক দেখানো আমলকারীকে পরকালে কঠিন পরিণতির শিকার হতে হবে। লোক দেখানো আমল করতে নিষেধ করে আল্লাহ তাআলা বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تُبْطِلُوا صَدَقَاتِكُمْ بِالْمَنِّ وَالْأَذَى كَالَّذِي يُنْفِقُ مَالَهُ رِئَاءَ النَّاسِ وَلَا يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা অনুগ্রহের কথা প্রকাশ করে এবং কষ্ট দিয়ে নিজেদের দান-খায়রাত বরবাদ করো না ঐ ব্যক্তির মতো, যে নিজের ধন-সম্পদ লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে ব্যয় করে এবং আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস রাখে না’ (আল-বাক্বারা, ২/২৬৪)। অপর এক আয়াতে এরূপ আমলের স্বরূপ বর্ণনা দিয়ে আল্লাহ বলেন,وَقَدِمْنَا إِلَى مَا عَمِلُوا مِنْ عَمَلٍ فَجَعَلْنَاهُ هَبَاءً مَنْثُورًا ‘(আমি ছাড়া অন্যের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে তারা যেসব আমল করবে) আমি তাদের সেসব কর্মের দিকে মনোনিবেশ করব, অতঃপর সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করে দিব’ (আল-ফুরক্বান, ২৫/২৩)। এমর্মে হাদীছে বর্ণিত হয়েছে,

عَنْ أَبِى سَعِيْدٍ رضي الله عنه قَالَ سَمِعْتُ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يَكْشِفُ رَبُّنَا عَنْ سَاقِهِ فَيَسْجُدُ لَهُ كُلُّ مُؤْمِنٍ وَمُؤْمِنَةٍ وَيَبْقَى مَنْ كَانَ يَسْجُدُ فِى الدُّنْيَا رِئَاءً وَسُمْعَةً فَيَذْهَبُ لِيَسْجُدَ فَيَعُودُ ظَهْرُهُ طَبَقًا وَاحِدًا.

আবূ সাঈদ খুদরী রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ‘কিয়ামতের দিন আমাদের প্রভু স্বীয় পায়ের পিণ্ডলী পর্যন্ত খুলবেন, তখন তাকে প্রত্যেক মুমিন পুরুষ ও নারী সিজদা করবে। আর যারা পৃথিবীতে মানুষকে দেখানোর এবং শুনানোর জন্য সিজদা করত, তারাই শুধু (সিজদা করা হতে) অবশিষ্ট থাকবে। তারাও সিজদা করতে চাইবে; কিন্তু তাদের পিঠ কাঠের ন্যায় শক্ত হয়ে যাবে, ফলে সিজদা করতে পারবে না’।[1] দুনিয়াতে যেভাবে মুনাফিক্বের মতো সিজদা করতো, তারাও সেই দিন অন্যান্য মানুষের ন্যায় সিজদা করতে চাইবে। কিন্তু সিজদার জন্যে যখন সামনের দিকে ঝুঁকতে চাইবে, তখন মেরুদণ্ড কাঠের ন্যায় শক্ত হয়ে যাওয়ার ফলে সামনের দিকে ঝুঁকতে পারবে না।

অন্য হাদীছে এসেছে, জুনদুব রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, مَنْ سَمَّعَ سَمَّعَ اللهُ بِهِ وَمَنْ يُرَائِى يُرَائِى اللهُ بِهِ ‘যে ব্যক্তি সুনাম অর্জন করার উদ্দেশ্যে কোনো কাজ করে, আল্লাহ তাআলা তার দোষ-ত্রুটিকে লোকসমাজে প্রকাশ করে দিবেন। আর যে ব্যক্তি মানুষকে দেখানোর জন্য কোনো কাজ বা আমল করে, আল্লাহ তাআলাও তার সাথে লোক দেখানোর মতো ব্যবহার করবেন’ (আমলের প্রকৃত ছওয়াব হতে সে বঞ্চিত হবে)।[2]

উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যায় সুফিয়ান ছাওরী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি একনিষ্ঠভাবে নিবেদিত হয়ে আল্লাহর জন্য ইবাদত করবে না, বরং মানুষকে দেখানো কিংবা শুনানোর জন্য করবে, মহান আল্লাহ তার সাথে অনুরূপই আচরণ করবেন।[3]

আব্দুল্লাহ ইবনু আমর রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, مَنْ سَمَّعَ النَّاسَ بِعَمَلِهِ سَمَّعَ اللَّهُ بِهِ سَامِعَ خَلْقِهِ وَحَقَّرَهُ وَصَغَّرَهُ ‘যে ব্যক্তি লোককে শুনাবার জন্য (সুনাম অর্জনের উদ্দেশ্যে) আমল করবে, আল্লাহ তার সেই (বদ নিয়্যতের) কথা সকল সৃষ্টির সামনে (কিয়ামতে) প্রকাশ করে তাকে ছোট ও লাঞ্ছিত করবেন’।[4] ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, কিছু লোক তাঁর নিকট নিবেদন করলেন যে, আমরা আমাদের শাসকদের নিকট যাই এবং তাদেরকে ঐ সব কথা বলি, যা তারা পছন্দ করে। কিন্তু তাদের নিকট থেকে বাইরে আসার পর তার বিপরীত কথা বলি। (সে ব্যাপারে আপনার অভিমত কী?)। ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু উত্তর দিলেন, ‘রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যামানায় এরূপ আচরণকে আমরা মুনাফিক্বী আচরণ বলে গণ্য করতাম’।[5] উবাই ইবনু কা‘ব রাযিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,بَشِّرْ هَذِهِ الأُمَّةَ بِالسَّنَاءِ وَالرِّفْعَةِ وَالنَّصْرِ وَالتَّمْكِينِ فِى الأَرْضِ فَمَنْ عَمِلَ مِنْهُمْ عَمَلَ الآخِرَةِ لِلدُّنْيَا لَمْ يَكُنْ لَهُ فِى الآخِرَةِ نَصِيبٌ ‘এই উম্মতকে স্বাচ্ছন্দ্য, সুউচ্চ মর্যাদা, বিজয় এবং দেশসমূহে তাদের ক্ষমতা বিস্তারের সুসংবাদ দাও। কিন্তু যে ব্যক্তি পার্থিব কোনো স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে পরকালের কর্ম করবে, তার জন্য পরকালে প্রাপ্য কোনো অংশ নেই’।[6]

মানুষকে দেখানো কিংবা শুনানোর জন্য আমল করা মুনাফিক্বী আচরণ, যা ইসলামী শরীআতের দৃষ্টিতে অত্যন্ত ঘৃণ্য কাজ হিসেবে বর্ণনা হয়েছে। যারা অপরকে দেখানো বা সুনাম অর্জনের জন্য আমল করবে, মহান আল্লাহ তাদের সাথে অনুরূপই ব্যবহার করবেন। শেষ দিবসে তাদেরকে সকল মানুষের সামনে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করে ছাড়বেন। তাদের এ নোংরা মানসিকতা সকলের সামনে প্রকাশ করে দিবেন। পরকালে তারা তাদের কৃতকর্মের কোনো প্রতিদান পাবে না। এমনকি দুনিয়া অর্জনের জন্য যারা পরকালীন কোনো কাজ করবে, তাদের অবস্থাও একই হবে। শেষ দিবসে আহূত হয়ে তারা আল্লাহকে সিজদা করার সর্বাত্মক চেষ্টা করবে। কিন্তু কোনোভাবেই সক্ষম হবে না। বরং তাদের আমলগুলো তিনি বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করে দিবেন। কেননা তারা লোকদেখানো ও প্রশংসা অর্জন নামক শিরক ও হারাম কর্মে লিপ্ত ছিল। ইমাম গাযালী রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, ‘জেনে রাখো, নিশ্চয় প্রদর্শনপ্রিয়তা হারাম। প্রদর্শনীর জন্য আমলকারী আল্লাহর নিকট অত্যন্ত ঘৃণিত ব্যক্তি। আয়াত, হাদীছ ও পূর্ববর্তী আলেমগণের বক্তব্য দ্বারা তা প্রমাণিত’।[7] 

লোক দেখানো আমলকারীর শেষ ঠিকানা জাহান্নাম :

মানুষকে দেখানো ও শুনানোর জন্য আমল করা ইসলামে নিষেধ। এরূপ কর্মে ব্যক্তির অহংকার ও নোংরা মানসিকতা ফুটে উঠে। লোক দেখানো আমলকারীর শেষ পরিণাম হবে জাহান্নাম। সে জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ হতে বঞ্চিত হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন,فَوَيْلٌ لِلْمُصَلِّينَ الَّذِينَ هُمْ عَنْ صَلَاتِهِمْ سَاهُونَ الَّذِينَ هُمْ يُرَاءُونَ ‘অতঃপর মহা দুর্ভোগ বা ধ্বংস ঐ সব মুছল্লীর জন্য, যারা তাদের ছালাতের ব্যাপারে উদাসীন, যারা লোক দেখানোর জন্য আমল করে’ (আল-মাঊন, ১০৭/৪-৬)। হাদীছে এসেছে,

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إنَّ أوَّلَ النَّاسِ يُقْضَ عَلَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ رَجُلٌ أُسْتُشْهِدَ فَأُتِيَ بِهِ فَعَرَّفَهُ نِعْمَتَهُ فَعَرَفَهَا فَقَالَ مَا عَمِلْتَ فِيْهِ؟ قَالَ قَاتَلْتُ فِيْكَ حَتَّى أُسْتُشْهِدْتُ قَالَ كَذَبْتَ وَلَكِنَّكَ قَاتَلْتَ لِأَنْ يُّقَالَ جَرِيٌ فَقَدْ قِيْلَ ثُمَّ أُمِرَ بِهِ فَسُحِبَ عَلَى وَجْهِهِ حَتَّى أُلْقِيَ فِي النَّارِ وَرَجُلٌ تَعَلَّمَ الْعِلْمَ وَعَلَّمَهُ وَقَرَأَ الْقُرآنَ فَأُتِيَ بِهِ فَعَرَّفَهُ نِعْمَهُ فَعَرَّفَهَا قَالَ فَمَا عَمِلْتَ فِيْهَا؟ قَالَ تَعَلَّمْتُ الْعِلْمَ وَعَلَّمْتُهُ وَقَرَأْتُ فِيْكَ الْقُرْآنَ قَالَ كَذَبْتَ وَلَكِنَّكَ تَعَلَّمْتَ الْعِلْمَ لِيُقَالَ إنَّكَ عَالِمٌ وَقَرَأْتَ الْقُرْآنَ لِيُقَالَ هُوَ قَارِيٌ فَقَدْ قِيْلَ ثُمَّ أُمِرَ بِهِ فَسُحِبَ عَلَى وَجْهِهِ حَتَّى أُلْقِيَ فِي النَّارِ، وَرَجُلٌ وَسَّعَ اللهُ عَلَيْهِ وَأَعْطَاهُ مِنْ أصْنَافِ الْمَالِ كُلِّهِ فَأُتِيَ بِهِ فَعَرَّفَهُ نِعْمَهُ فَعَرَفَهَا قَالَ فَمَا عَمِلْتَ فِيْهَا قَالَ مَا تَرَكْتُ مِنْ سَبِيْلٍ تُحِبُّ أنْ يُّنْفَقَ فِيْهَا إلاَّ أنْفَقْتُ فِيْهَا لَكَ قَالَ كَذَبْتَ وَلَكِنَّكَ فَعَلْتَ لِيُقَالَ هُوَ جَوَادٌ فَقَدْ قِيْلَ ثُمَّ أُمِرَ بِهِ فَسُحِبَ عَلَى وَجْهِهِ حَتَّى أُلْقِيَ فِي النَّارِ.

আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম যে ব্যক্তিকে বিচারের জন্য পেশ করা হবে, সে হবে একজন শহীদ। তাকে আল্লাহর নিকট নিয়ে যাওয়া হবে। অতঃপর আল্লাহ তাকে স্বীয় নিয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দিবেন। আর সেও তা স্মরণ করবে। তারপর আল্লাহ তাকে জিজ্ঞেস করবেন, এত নিয়ামতের বিনিময়ে তুমি কী আমল করেছ? সে উত্তরে বলবে, আমি তোমার সন্তুষ্টির জন্য যুদ্ধ করেছি। এমনকি শেষ পর্যন্ত শহীদ হয়েছি। তখন আল্লাহ বলবেন, তুমি মিথ্যা বলছ। বরং তুমি লড়াই করেছ এজন্য যে, তোমাকে বীরযোদ্ধা বলা হবে। এমনকি তোমাকে তা বলাও হয়ে গেছে। অতএব তার ব্যাপারে আদেশ করা হবে। তাকে উপুড় করে টানতে টানতে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। অতঃপর ঐ ব্যক্তিকে বিচারের জন্য উপস্থিত করা হবে, যে নিজে ইলম শিক্ষা করেছে ও অপরকে শিক্ষা দিয়েছে এবং কুরআন অধ্যয়ন করেছে। আল্লাহ তাকে তাঁর নিয়ামত স্মরণ করাবেন এবং সেও তা স্মরণ করবে। অতঃপর আল্লাহ জিজ্ঞেস করবেন, এ নিয়ামতের জন্য তুমি কী আমল করেছ? সে বলবে, আমি ইলম শিক্ষা করেছি এবং অপরকে শিক্ষা দিয়েছি এবং তোমার সন্তুষ্টির জন্য কুরআন অধ্যয়ন করেছি। আল্লাহ বলবেন, তুমি মিথ্যা বলছ। বরং তুমি এজন্য ইলম শিক্ষা করেছ, যেন তোমাকে বিদ্বান বলা হয় এবং এজন্য কুরআন পড়েছ, যাতে তোমাকে ক্বারী বলা হয়। তোমাকে বিদ্বান ও ক্বারী বলা হয়ে গেছে। অতঃপর তার সম্পর্কে আদেশ করা হবে। তাকে উপুড় করে টানতে টানতে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। তারপর এমন ব্যক্তিকে বিচারের জন্য উপস্থিত করা হবে, যাকে আল্লাহ বিপুল সম্পদ দান করেছেন। আল্লাহ প্রথমে তাকে তার নিয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দিবেন এবং সেও তা স্মরণ করবে। অতঃপর তাকে জিজ্ঞেস করবেন এত কিছু নিয়ামতের বিনিময়ে তুমি কী আমল করেছ? সে বলবে, যেসব ক্ষেত্রে সম্পদ ব্যয় করা তুমি পসন্দ কর, তা হাতছাড়া করিনি। তোমার সন্তুষ্টির জন্য সবক্ষেত্রেই সম্পদ ব্যয় করেছি। আল্লাহ বলবেন, তুমি মিথ্যা বলছ। বরং তুমি এজন্য দান করেছ যে, তোমাকে দানবীর বলা হবে। এমনকি তোমাকে তা বলাও হয়ে গেছে। অতঃপর তার সম্পর্কে আদেশ করা হবে, তাকে উপুড় করে টেনেহেঁচড়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে’।[8]

ড. ইমামুদ্দীন বিন আব্দুল বাছীর

শিক্ষক, আল-জামি‘আহ আস-সালাফিয়্যাহ, ডাঙ্গীপাড়া, পবা, রাজশাহী।


[1]. ছহীহ বুখারী, হা/৪৯১৯; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৭৩৭৭; দারেমী, হা/২৮০৩; মুসনাদে আবী আওয়ানা, হা/৪৩৩; মিশকাত, হা/৫৫৪২।

[2]. ছহীহ বুখারী, হা/৬৪৯৯; ছহীহ মুসলিম, হা/৭৬৬৮; তিরমিযী, হা/২৩৮১; ইবনু মাজাহ, হা/৪২০৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/১১৩৭৫; মিশকাত, হা/৫৩১৬।

[3]. হুসাইন ইবনু মাসঊদ আল-বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ (বৈরুত : আল-মাকতাবাতুল ইসলামী, দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৪০৩ হি.), ১৪তম খণ্ড, পৃ. ৩২৩।

[4]. মুসনাদে আহমাদ, হা/৭০৮৫; ত্বাবারানী আওসাত্ব, হা/৪৯৮৪; বায়হাক্বী, শুআবুল ঈমান, হা/৬৮২২; কানযুল উম্মাল, হা/৭৫৩৫; ছহীহ আত-তারগীব, হা/২৫, সনদ ছহীহ।

[5]. ছহীহ বুখারী, হা/৭১৭৮; আল-মুসনাদুল জামে‘, হা/৮২৭৬।

[6]. ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৪০৫; মুসতাদরাকে হাকেম, হা/৭৮৬২; শুআবুল ঈমান, হা/৬৮৩৩; ছহীহ আত-তারগীব, হা/২৩; ছহীহুল জামে‘, হা/২৮২৫, সনদ হাসান।

[7]. ইহইয়াউ উলূমিদ্দীন, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৮০।

[8]. ছহীহ বুখারী, হা/৫০৩২; ছহীহ মুসলিম, হা/১৯০৫; নাসাঈ, হা/৩১৩৭; আহমাদ, হা/৮২৬০; মুসতাদরাকে হাকেম, হা/৩৬৪; শুআবুল ঈমান, হা/৬৮০৫; আবূ আওয়ানা, হা/৭৪৪১; সিলসিলা ছহীহা, হা/৩৫১৮; মিশকাত হা/২০৫।

Magazine