بَابُ قَوْلِ المُحَدِّثِ: حَدَّثَنَا، وَأَخْبَرَنَا، وَأَنْبَأَنَا.
পরিচ্ছেদ: ৩/৪. মুহাদ্দিছের ‘হাদ্দাছানা’, ‘আখবারানা’ ও ‘আম্বাআনা’ বলা:
وَقَالَ لَنَا الحُمَيْدِيُّ: كَانَ عِنْدَ ابْنِ عُيَيْنَةَ حَدَّثَنَا، وَأَخْبَرَنَا، وَأَنْبَأَنَا، وَسَمِعْتُ وَاحِدًا وَقَالَ ابْنُ مَسْعُودٍ: حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ الصَّادِقُ المَصْدُوقُ وَقَالَ شَقِيقٌ: عَنْ عَبْدِ اللَّهِ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَلِمَةً وَقَالَ حُذَيْفَةُ حَدَّثَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَدِيثَيْنِ وَقَالَ أَبُو العَالِيَةِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فِيمَا يَرْوِي عَنْ رَبِّهِ وَقَالَ أَنَسٌ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فِيمَا يَرْوِيهِ عَنْ رَبِّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَرْوِيهِ عَنْ رَبِّكُمْ عَزَّ وَجَلَّ.
হুমায়দী আমাদের বলেছেন, ‘ইবনু উয়াইনা রাহিমাহুল্লাহ-এর মতে, হাদ্দাছানা (আমাদের বর্ণনা করেছেন), আখবারানা (আমাদের খবর দিয়েছেন), আম্বাআনা (আমাদের সংবাদ দিয়েছেন), সামি‘তু (আমি শুনেছি)—এই চারটি শব্দ একই অর্থবোধক’। ইবনু মাসঊদ রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমাদেরকে আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদীছ শুনিয়েছেন, যিনি সত্যবাদী ও সত্যায়িত হিসেবে স্বীকৃত’। শাক্বীক্ব রাহিমাহুল্লাহআব্দুল্লাহ (ইবনু মাসঊদ) রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বলেন, ‘আমি আল্লাহর নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- থেকে একটি বাক্য শুনেছি’। হুযায়ফা রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু দুটি হাদীছ বর্ণনা করেছেন’। আবুল আলিয়া বলেন, ‘ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহুমা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি তাঁর রব عز وجل থেকে বর্ণনা করেছেন’। আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর রব عز وجل থেকে বর্ণনা করেছেন’। আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর রব عز وجل থেকে বর্ণনা করেছেন’।
রাবীগণের সংক্ষিপ্ত পরিচয়:
(১) হুমায়দী: তার পরিচয় পূর্বে চলে গেছে।
(২) ইবনু উয়াইনা: তার পরিচয় পূর্বে চলে গেছে।
(৩) ইবনু মাসঊদ: তার পরিচয় পূর্বে চলে গেছে।
(৪) শাক্বীক্ব: শাক্বীক্ব ইবন সালামা আবূ ওয়ায়েল আল-আসাদী (شقيق بن سلمة أبو وائل الأسدي)।
মৃত্যু: আনুমানিক ৮০-৯০ হিজরীর মধ্যে।
পরিচয়: তিনি কূফার প্রসিদ্ধ তাবেঈ এবং ইবনু মাসঊদ রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর শিষ্য এবং বিশ্বস্ত রাবী। অধিকাংশ প্রবীণ ছাহাবী থেকে হাদীছ শুনেছেন। ছহীহ বুখারী ও মুসলিমে তার বহু বর্ণনা আছে।[1]
(৫) হুযায়ফা: তার পূর্ণ নাম হুযায়ফা ইবনুল ইয়ামান। তবে তার পিতার প্রকৃত নাম হুসাইল ইবন জাবের। আবার এটাও বলা হয় যে, তাঁর পিতা হাসাল ইবন জাবের। তিনি তার গোত্রে একটি হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে নিজ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে মদীনায় আশ্রয় নেন। মদীনার আনছারী গোত্র বানূ আব্দিল আশহালের সাথে তার বন্ধুত্বের চুক্তি হয়। আর বানূ আব্দিল আশহাল যেহেতু ইয়ামান থেকে আগত গোত্র ছিল, তাই তাদের দিকে সম্বন্ধিত করে তাকে ইয়ামান নামে ডাকা শুরু হয়।
হুযায়ফা ও তার পিতা ইয়ামানের পক্ষে বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। কেননা আবূ জাহল তাদেরকে এই শর্তে ছেড়ে দিয়েছিলেন যে, তারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে না। মদীনায় এসে তারা আল্লাহর নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এই চুক্তির কথা জানান এবং যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে চান। তখন আল্লাহর নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, انْصَرِفَا نَفِي لَهُمْ بِعَهْدِهِمْ، وَنَسْتَعِينُ اللهَ عَلَيْهِمْ ‘তোমরা দু’জন ফিরে যাও। আমরা তাদের সাথে চুক্তি পূর্ণ করব। আর আমরা তাদের বিপরীতে আল্লাহর সাহায্য কামনা করি’।[2] তবে পরবর্তীতে তারা উভয়ে উহুদ যুদ্ধে শরীক হন এবং তার পিতা উহুদ যুদ্ধে শহীদ হন। তিনি রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সর্বদা অকল্যাণ ও ফেতনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেন। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেক গোপন কথা তাঁকে বলে গিয়েছেন। তার নিকট মুনাফেক্বদের তালিকা ছিল। উমার রাযিয়াল্লাহু আনহু তাকে মাদায়েনের গভর্নর নিযুক্ত করেছিলেন।
মৃত্যু: উছমান রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর মৃত্যুর ৪০ দিন পর ৩৬ হিজরীতে মাদায়েন শহরে তিনি ইন্তেকাল করেন।[3]
(৬) আবুল আলিয়া: আবুল আলিয়া ও তার পরিচয় নিয়ে মতভেদ রয়েছে। কেননা আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর দুইজন ছাত্র আবুল আলিয়া নামে প্রসিদ্ধ।
প্রথম মত: রুফাই ইবন মিহরান আর-রিয়াহী (رُفَيْعُ بنُ مِهْرَانَ الرِّيَاحِيُّ)। তার মৃত্যু হয় আনুমানিক ৯০ হিজরীতে। তিনি তাবেঈ এবং ইবনু আব্বাস, ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুমা সহ অনেকের ছাত্র। তিনি জাহেলী যুগ পেয়েছিলেন, তবে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মৃত্যুর দুই বছর পর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। তাবেঈদের মধ্যে কুরআন সম্পর্কে তিনি অত্যন্ত অভিজ্ঞ ছিলেন। ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহুমা তাকে অনেক সম্মান করতেন। একদিন তিনি ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর মজলিসে প্রবেশ করলে ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহুমা তাকে বিছানায় বসতে দিলেন। অথচ অনেক কুরাইশ বংশের ছাত্র মেঝেতে বসেছিলেন। তখন ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, ‘এই জ্ঞান এমন জ্ঞান, যা মর্যাদাবানের মর্যাদা বাড়িয়ে দেয় এবং ক্রীতদাসদের সম্মানের আসনে বসিয়ে দেয়’।[4]
দ্বিতীয় মত: যিয়াদ ইবন ফায়রূয আল-বারা (زِيَادُ بْنُ فَيْرُوزَ الْبَراء)। তীর নির্মাণে পারদর্শী হওয়ায় তাকে البراء বলা হতো। তিনিও ইবনু আব্বাস ও ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর ছাত্র। কারো কারো মতে, তিনি এই হাদীছের রাবী।
সঠিক মত: অধিকাংশ মুহাদ্দিছের মতে, এই হাদীছের রাবী হচ্ছেন, রুফাই ইবন মিহরান আর-রিয়াহী। ইমাম মিযযী তার তুহফাতুল আশরাফে আবুল আলিয়া রুফাই থেকে বর্ণিত হাদীছগুলো উল্লেখ করতে গিয়ে ইমাম শু‘বার একটি বক্তব্য উদ্ধৃত করেছেন, তিনি বলেন,
قَالَ شُعْبَةُ: إنَّمَا سَمِعَ قَتَادَةُ مِنْ أَبِي الْعَالِيَةِ أَرْبَعَةَ أَحَادِيثَ حَدِيثُ يُونُسَ بْنِ مَتَّى. وَحَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ فِي الصَّلَاةِ. وَحَدِيثُ الْقُضَاةُ ثَلَاثَةٌ. وَحَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ شَهِدَ عِنْدِي رِجَالٌ مَرْضِيُّونَ
ইমাম শু‘বা বলেন, ‘ক্বাতাদা আবুল আলিয়া থেকে কেবল চারটি হাদীছ বর্ণনা করেছেন। একটি ইউনুস ইবন মাত্তার হাদীছ, একটি ছালাতের বিষয়ে ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর হাদীছ, একটি ‘বিচারক তিন ধরনের…’ হাদীছ আর সর্বশেষটি ইবনু আব্বাসের হাদীছ- আমার কাছে কিছু সন্তোষজনক ব্যক্তি সাক্ষ্য দিয়েছেন…’।[5]
উক্ত বক্তব্যে ইউনুস ইবন মাত্তার যে হাদীছের কথা বলা হয়েছে, সেটিই ইমাম বুখারী রাহিমাহুল্লাহআবুল আলিয়ার সনদে এই অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন। সুতরাং রুফাই ইবন মিহরান আর-রিয়াহীই উক্ত আবুল আলিয়া।
এছাড়া আবুল আলিয়া আল-বারা বর্ণিত শুধু একটি হাদীছ কুতুবে সিত্তাহতে বর্ণিত আছে। হাদীছটি ছহীহ বুখারীতে ‘হজ্জ’ অধ্যায়ে এসেছে।[6]
শিরোনামের তাৎপর্য:
ইমাম বুখারী রাহিমাহুল্লাহএই শিরোনামের মাধ্যমে হাদীছ বর্ণনায় ব্যবহৃত শব্দাবলির প্রয়োগ ও পার্থক্য নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাঁর উক্ত শিরোনামের মৌলিক উদ্দেশ্য নিম্নরূপ—
(১) হাদীছ শ্রবণ ও বর্ণনার ক্ষেত্রে মুহাদ্দিছগণের নিজস্ব কিছু পরিভাষা আছে। সেই পরিভাষাগুলো নবাবিষ্কৃত নয়; বরং সেগুলো যে ছাহাবী ও নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত, সেটা তুলে ধরেছেন।
(২) পরিভাষাগুলোর মধ্যে তেমন কোনো ব্যবহারিক পার্থক্য নেই।
(৩) ইমাম বুখারী রাহিমাহুল্লাহ-এর এই গ্রন্থের সকল হাদীছ এই পরিভাষাগুলো দিয়েই বর্ণিত হয়েছে তথা তাঁর ছহীহ বুখারীতে বিচ্ছিন্ন কোনো হাদীছ নেই।
হাদীছের ব্যাখ্যা:
উক্ত আলোচনাটি বুঝতে হলে আমাদেরকে পূর্বে সামগ্রিকভাবে হাদীছ শ্রবণ ও বর্ণনার ক্ষেত্রে মুহাদ্দিছগণের পরিভাষাগুলো জেনে নিতে হবে, যথা—
হাদীছ গ্রহণের শব্দরূপসমূহ(صيغالتحمل): تحمُّل অর্থ হাদীছ শোনা বা গ্রহণ করা। আর মানে হাদীছ শোনার বা গ্রহণ করার শব্দরূপসমূহ। কোন ছাত্র কীভাবে হাদীছ শায়খের কাছ থেকে গ্রহণ করেছেন, তার ধরন বোঝাতেই তাহাম্মুল শব্দ ব্যবহৃত হয়। এর প্রধানত ৮টি পদ্ধতি রয়েছে। যথা—
১.শোনা(السماع): ছাত্র সরাসরি শায়খের মুখ থেকে হাদীছ শুনলে এটি ব্যবহার করা হয়। এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও শক্তিশালী পদ্ধতি।
২. শায়খকে পাঠ করে শুনানো(القراءة على الشيخ): ছাত্র বা অন্য কেউ পড়ে শুনিয়েছেন, শায়খ তা শুনেছেন এবং অনুমোদন দিয়েছেন। বর্তমান দারসগুলোতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছাত্র পড়েন, অন্য ছাত্ররা শোনেন এবং শিক্ষকও শোনেন।
৩. অনুমতি(الإجازة): শায়খ সরাসরি হাদীছ না বললেও অথবা ছাত্র শিক্ষকের সামনে না পড়লেও ছাত্রকে কোনো কিতাব বা হাদীছ বর্ণনার মৌখিক বা লিখিত অনুমতি দেওয়া হয়। এটাই হচ্ছে ‘ইজাযা’ বা অনুমতি।
৪. হস্তান্তর(المناولة): শায়খ ছাত্রকে হাদীছের পাণ্ডুলিপি দিয়ে বলেন, এটা থেকে তুমি বর্ণনা করতে পার।
৫. চিঠির মাধ্যমে(المكاتبة): শায়খ ছাত্রকে চিঠিতে হাদীছ লিখে পাঠালে এটি ব্যবহার করা হয়।
৬. জানিয়ে দেওয়া(الإعلام): শায়খ তার ছাত্রকে জানান যে, এই হাদীছ বা এই কিতাব তিনি নির্দিষ্ট কোনো শায়খ থেকে বর্ণনা করেছেন অথবা এগুলো তার শ্রবণকৃত হাদীছ অথবা এগুলো তার সংকলন। কিন্তু তিনি তার থেকে সেগুলো বর্ণনা করার ব্যাপারে স্পষ্টভাবে অনুমতি প্রদান করেন না।
৭. অছিয়ত বা উইল করা(الوصية): শায়খ মৃত্যুর আগে বলেন, ‘আমি এই কিতাব বা এই হাদীছ আমার পক্ষ থেকে অমুক ছাত্রকে বর্ণনা করার অছিয়ত করছি’।
৮. হাদীছ বর্ণনা করার শব্দরূসমূহ (صيغ الأداء): حدثنا (হাদ্দাছানা)- সরাসরি শুনলে এই শব্দ ব্যবহার করা হয়। أخبرنا (আখবারানা)- শায়খের সামনে পাঠ করা হলে এটি ব্যবহৃত হয়। أنبأنا (আম্বাআনা)- সাধারণত ইজাযাত বা মুকাতাবার ক্ষেত্রে এটি ব্যবহৃত হয়।
(ইনশা-আল্লাহ চলবে)
* ফাযেল, দারুল উলূম দেওবান্দ, ভারত; বিএ (অনার্স), মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সঊদী আরব;
এমএসসি, ইসলামিক ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, ইউনিভার্সিটি অফ ডান্ডি, যুক্তরাজ্য।
[1]. সিয়ারু আলামিন নুবালা, ৪/১৬১।
[2]. মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩৩৫৪।
[3]. তাহযীবুল কামাল, ৫/৪৯৭।
[4]. তাহযীবুল কামাল, ৯/২১৭।
[5]. তুহফাতুল আশরাফ, ৪/৩৮৫।
[6]. ছহীহ বুখারী, হা/১০৮৫।