(খ) নেতিবাচক দিক:
মানুষের স্বভাবের এমন কতিপয় দিক রয়েছে যেগুলোর প্রভাবে মানুষ নিজ নিজ গুণাবলি ও মর্যাদা থেকে বিচ্যুত হয়ে অন্য নামে আখ্যায়িত হয় সেগুলোই তার নেতিবাচক দিক। এক কথায় বলতে গেলে, যে-সব মৌলিক ও অসৎ গুণাবলির সংমিশ্রণ রয়েছে মানুষের স্বভাব-প্রকৃতিতে, যা বর্জন করা একজন মানুষ হিসেবে সকলের কর্তব্য সেগুলো হলো—
(১) স্বার্থপরতা: মানুষ বড়ই স্বার্থপর। কোথাও বা কোনো কাজে তার স্বার্থ ও সুযোগ-সুবিধা জড়িয়ে না থাকলে সে কাজ সিদ্ধ করে না। এজন্যই পবিত্র কুরআনে তাকে অসংখ্যবার জান্নাতের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে, যেন সে তা অর্জনের আশায় দুনিয়ায় বৈধ পথ অবলম্বন করে। মানুষ বিপদ আসলে সর্বদা আল্লাহকে ডাকে আর বিপদ কেটে গেলে তাঁকে উপেক্ষা করে চলে। এ চরিত্র বর্ণনায় কুরআনে ইরশাদ হয়েছে,وَإِذَا مَسَّ الْإِنْسَانَ الضُّرُّ دَعَانَا لِجَنْبِهِ أَوْ قَاعِدًا أَوْ قَائِمًا فَلَمَّا كَشَفْنَا عَنْهُ ضُرَّهُ مَرَّ كَأَنْ لَمْ يَدْعُنَا إِلَى ضُرٍّ مَسَّهُ كَذَلِكَ زُيِّنَ لِلْمُسْرِفِينَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ ‘আর মানুষকে যখন দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে শুয়ে বসে ও দাঁড়িয়ে আমাকে ডাকে। অতঃপর আমি যখন তার দুঃখ-কষ্ট দূরীভূত করি, সে এমনভাবে চলে, যেন তাকে যে দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করেছিল সেজন্য সে আমাকে ডাকেনি’ (ইউনুস, ১০/১২)। কুরআনে আরও এসেছে,إِنَّ الْإِنسَانَ خُلِقَ هَلُوعًا، إِذَا مَسَّهُ الشَّرُّ جَزُوعًا، وَإِذَا مَسَّهُ الْخَيْرُ مَنُوعًا ‘মানুষ তো সৃজিত হয়েছে অতিশয় অস্থির চিত্তরূপে, যখন বিপদ তাকে স্পর্শ করে সে হয় অস্থির আর যখন কল্যাণ তাকে স্পর্শ করে, সে হয় অতি কৃপণ’ (আল-মাআরিজ, ৭০/১৯-২১)।
(২) অহংকারী: মানুষের জীবনের যাত্রা দুর্বলতা ও অসামর্থ্যের তথা মাটি ও শুক্র জাতীয় দুটি দুর্বল ও অক্ষম উপাদান দিয়ে শুরু হলেও মানুষ অহংকারী স্বভাবের হয়ে থাকে। দুনিয়ার হিসাব অনুযায়ী বড় ধরনের কোনো কল্যাণ প্রাপ্ত হলে, তখন সে স্বেচ্ছাচারী রূপ নিয়ে অহংকারবশত তার অতীতকে ভুলে যেতে চেষ্টা করে। পবিত্র কুরআনে তাদের চিত্র ফুটে উঠেছে এভাবে,وَلَئِنْ أَذَقْنَا الْإِنسَانَ مِنَّا رَحْمَةً ثُمَّ نَزَعْنَاهَا مِنْهُ إِنَّهُ لَيَئُوسٌ كَفُورٌ وَلَئِنْ أَذَقْنَاهُ نَعْمَاءَ بَعْدَ ضَرَّاءَ مَسَّتْهُ لَيَقُولَنَّ ذَهَبَ السَّيِّئَاتُ عَنِّي إِنَّهُ لَفَرِحٌ فَخُورٌ ‘যদি আমি মানুষকে আমার নিকট হতে অনুগ্রহ আস্বাদন করাই ও পরে তার নিকট হতে তা অপসারিত করি, তখন সে অবশ্যই হতাশ ও অকৃতজ্ঞ হয়ে যায়। আর যদি দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করার পর আমি তাকে সুখস্বাচ্ছন্দ্য আস্বাদন করাই, তখন সে অবশ্যই বলবে, আমার বিপদ-আপদ কেটে গেছে আর সে হয় অতীব খুশি ও অহংকারী’ (হূদ, ১১/৯-১০)। মহান আল্লাহ আরও বলেন,وَإِذَا أَنْعَمْنَا عَلَى الْإِنسَانِ أَعْرَضَ وَنَأَى بِجَانِبِهِ وَإِذَا مَسَّهُ الشَّرُّ كَانَ يَئُوسًا ‘আমি যখন মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করি, তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয় ও দূরে সরে যায় এবং তাকে অনিষ্ট স্পর্শ করলে, সে একেবারে হতাশ হয়ে পড়ে’ (বনী ইসরাঈল, ১৭/৮৩)।
(৩) ঠুনকো বিশ্বাসী: মানুষের মধ্যে এমন এক ধরনের মানুষ আছে, যাদের বিশ্বাস খুবই ঠুনকো। যারা তাদের বিশ্বাসের উপর দৃঢ় থাকতে পারে না। তারা ততক্ষণ ঈমানের পথে থাকে, যতক্ষণ নিরাপদ ও ঝামেলাহীন থেকে ফায়দা লাভ করা যায়। আর যদি কোনোরূপ পরীক্ষা বা কাঠিন্য আরোপ করা হয়, সাথে সাথে তারা ঈমান ত্যাগ করতে দ্বিধা করে না। আল্লাহ তাআলা বলেন,وَمِنْ النَّاسِ مَنْ يَعْبُدُ اللهَ عَلَى حَرْفٍ فَإِنْ أَصَابَهُ خَيْرٌ اطْمَأَنَّ بِهِ وَإِنْ أَصَابَتْهُ فِتْنَةٌ انقَلَبَ عَلَى وَجْهِهِ خَسِرَ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةَ ذَلِكَ هُوَ الْخُسْرَانُ الْمُبِينُ ‘মানুষের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহর ইবাদত করে দ্বিধার সাথে। যদি তাকে মঙ্গল পেয়ে বসে, তার চিত্ত প্রশান্ত হয় এবং কোনো বিপর্যয় ঘটলে সে তার পূর্বাবস্থায় ফিরে যায়। সে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দুনিয়াতে ও আখেরাতে; এটাই তো সুস্পষ্ট ক্ষতি’ (আল-হজ্জ, ২২/১১)। ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহুমা আলোচ্য আয়াত অবতীর্ণের প্রেক্ষাপট বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন, এক ব্যক্তি মদীনায় বাস করত। যদি তার স্ত্রীর গর্ভে পুত্র সন্তান জন্মলাভ করত এবং তার পশুটি কোনো বাচ্চা প্রসব করত তাহলে সে বলত, দ্বীন ইসলাম বড় চমৎকার। আর যদি তার স্ত্রীর গর্ভে পুত্রসন্তান না জন্মাত এবং তার পশুটিরও বাচ্চা না হতো তাহলে সে বলত, দ্বীন ইসলাম খারাপ ও অপয়া। আল্লাহ তাআলা আরও বলেন,وَمِنْ النَّاسِ مَنْ يَقُولُ آمَنَّا بِاللهِ فَإِذَا أُوذِيَ فِي اللهِ جَعَلَ فِتْنَةَ النَّاسِ كَعَذَابِ اللهِ وَلَئِنْ جَاءَ نَصْرٌ مِنْ رَبِّكَ لَيَقُولُنَّ إِنَّا كُنَّا مَعَكُمْ أَوَلَيْسَ اللهُ بِأَعْلَمَ بِمَا فِي صُدُورِ الْعَالَمِينَ ‘মানুষের মধ্যে কতক লোক বলে, আমরা আল্লাহর উপর ঈমান আনয়ন করেছি, কিন্তু আল্লাহর পথে যখন তারা নিপীড়িত হয়, তখন তারা মানুষের পীড়নকে আল্লাহর শাস্তির মতো গণ্য করে এবং তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে কোনো সাহায্য আসলে তারা বলতে থাকে, আমরা তো তোমাদের সাথেই ছিলাম। বিশ্ববাসীর অন্তঃকরণে যা আছে, আল্লাহ কি তা সম্যক অবগত নন?’ (আল-আনকাবূত, ২৯/১০)।
(৪) ভীরু কাপুরুষ: কিছু লোক এমন আছে যারা সত্যকে ঘৃণা ও অবজ্ঞার দৃষ্টিতে দেখে থাকে। সত্যের সাথে পরিচিত হতে চায় না। ফলে একদিকে তাদের জিদ ও হঠকারিতা সত্য থেকে বিরত রাখে, অপরদিকে তাদেরকে কাপুরুষতায় পেয়ে বসে। যার কারণে তারা কখনো সত্যের মুখোমুখি হওয়ার সাহস পর্যন্ত পায় না। মহান আল্লাহর ভাষায়, يُجَادِلُونَكَ فِي الْحَقِّ بَعْدَ مَا تَبَيَّنَ كَأَنَّمَا يُسَاقُونَ إِلَى الْمَوْتِ وَهُمْ يَنظُرُونَ ‘সত্য স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হওয়ার পরও তারা তোমার সাথে বিতর্কে লিপ্ত হয়, যেন তাদেরকে সাক্ষাৎ মৃত্যুর দিকে চালিত করা হচ্ছে’ (আল-আনফাল, ৮/৬)।
(৫) হাসি-কৌতুক উদ্রেককারী: কতিপয় মানুষের কর্মকাণ্ড হাসি-তামাশায় উদ্রেক করে মাত্র। তারা খুব আজব প্রকৃতির। অগ্রপশ্চাৎ না ভেবেই সত্য থেকে পলায়নের চেষ্টায় তারা বিভোর হয়ে পড়ে। মূলত, তারা সত্য গোপনকারী। কুরআনে এসেছে,فَمَا لَهُمْ عَنِ التَّذْكِرَةِ مُعْرِضِينَ - كَأَنَّهُمْ حُمُرٌ مُسْتَنْفِرَةٌ - فَرَّتْ مِنْ قَسْوَرَةٍ ‘তাদের কি হলো যে, তারা উপদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়? যেন তারা ভীত-সন্ত্রস্ত গর্দভ, যা শিকারি থেকে পলায়ন করে’ (আল-মুদ্দাছছির, ৭৪/৪৯-৫১)।
(৬) প্রশংসাকাঙ্ক্ষী: মানুষ সর্বদা প্রশংসিত হতে পছন্দ করে। তবে এক্ষেত্রে তারা নিজেরা করে না এমন বিষয়েও প্রশংসা কামনা করে। তাদের সম্পর্কে কুরআনে এসেছে,وَيُحِبُّونَ أَنْ يُحْمَدُوا بِمَا لَمْ يَفْعَلُوا فَلَا تَحْسَبَنَّهُمْ بِمَفَازَةٍ مِنْ الْعَذَابِ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ ‘তারা নিজেরা যা করেনি এমন কাজের জন্য প্রশংসিত হতে ভালোবাসে, তারা শাস্তি হতে মুক্তি পাবে এরূপ তুমি কখনো মনে করো না। তাদের জন্য মর্মন্তুদ শাস্তি রয়েছে’ (আলে ইমরান, ৩/১৮৮)।
(৯) গোপনে সত্য উপেক্ষাকারী: সমাজে এমন কতিপয় মানুষ পাওয়া যায় যারা নিজে যেমন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না, ঠিক তেমনিভাবে সত্যকে মেনে নিতেও পারে না। প্রতি মুহূর্তে দ্বিধাদ্বন্দ্বে দোদুল্যমান থাকে। এ ধরনের লোক চুপিচুপি সত্য থেকে বিমুখ হতে পছন্দ করে। মূলত এটি এক শ্রেণির মুনাফেক্বের চরিত্র। তাদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন,وَإِذَا مَا أُنزِلَتْ سُورَةٌ نَظَرَ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ هَلْ يَرَاكُمْ مِنْ أَحَدٍ ثُمَّ انصَرَفُوا صَرَفَ اللهُ قُلُوبَهُمْ بِأَنَّهُمْ قَوْمٌ لَا يَفْقَهُونَ ‘আর যখনই কোনো সূরা অবতীর্ণ হয়, তখন তারা একে অপরের দিকে তাকায় এবং (চুপিসারে জিজ্ঞেস করে) তোমাদেরকে কেউ লক্ষ করছে কি? অতঃপর তারা সরে পড়ে। আল্লাহ তাদের হৃদয়কে সত্যবিমুখ করেছেন, কারণ তারা এমন এক সম্প্রদায় যারা অনুধাবন করে না’ (আত-তওবা, ৯/১২৭)।
(১০) দ্বিমুখী নীতি: এমন কতক মানুষ রয়েছে যারা দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করে সমাজে বিচরণ করে। তারা নীতি-নৈতিকতার তোয়াক্কা করে না। বরং সর্বদা দ্বিমুখী নীতিতে বিশ্বাসী। যখন যেখানে অবস্থান করে, তখন সেখানে তার আপনজনে পরিণত হয় আর অন্যত্র গেলে তা প্রত্যাখ্যান করে। এ মর্মে ইরশাদ হয়েছে,وَإِذَا لَقُوا الَّذِينَ آمَنُوا قَالُوا آمَنَّا وَإِذَا خَلَوْا إِلَى شَيَاطِينِهِمْ قَالُوا إِنَّا مَعَكُمْ إِنَّمَا نَحْنُ مُسْتَهْزِئُونَ ‘যখন তারা মুমিনদের সাথে সাক্ষাৎ করে তখন বলে, আমরা ঈমান এনেছি আর যখন তারা নিভৃতে তাদের শয়তানদের সাথে মিলিত হয় তখন বলে, আমরা তো তোমাদের সাথেই রয়েছি; আমরা শুধু তাদের সাথে ঠাট্টা-তামাশা করে থাকি’ (আল-বাক্বারা, ২/১৪)। কুরআনের অন্যত্র বলা হয়েছে,مُذَبْذَبِينَ بَيْنَ ذَلِكَ لَا إِلَى هَؤُلَاءِ وَلَا إِلَى هَؤُلَاءِ ‘দোটানায় দোদুল্যমান; না এদের দিকে, না ওদের দিকে’ (আন-নিসা, ৪/১৪৩)।
(১১) নির্বোধ প্রতারক: কিছু লোক আছে যারা প্রতারণা ও ভণ্ডামিতে লিপ্ত। নিজেদেরকে যদিও তারা চালাক মনে করে কিন্তু তাদের মাথায় ভুসি ছাড়া আর কিছুই নেই। তারা মানুষকে ঠকানোর চেষ্টা করে কিন্তু মূলত তারা নিজেরাই নিজেদের ঠকাচ্ছে। কুরআনের ভাষায়,وَمِنْ النَّاسِ مَنْ يَقُولُ آمَنَّا بِاللهِ وَبِالْيَوْمِ الْآخِرِ وَمَا هُمْ بِمُؤْمِنِينَ، يُخَادِعُونَ اللهَ وَالَّذِينَ آمَنُوا وَمَا يَخْدَعُونَ إِلَّا أَنفُسَهُمْ وَمَا يَشْعُرُونَ ‘আর মানুষের মধ্যে এমন লোকও রয়েছে যারা বলে, আমরা আল্লাহ ও আখেরাতে ঈমান এনেছি; কিন্তু তারা মুমিন নয়। আল্লাহ এবং মুমিনদেরকে তারা প্রতারিত করতে চায়। অথচ তারা যে নিজেদেরকে ভিন্ন কাউকে প্রতারিত করে না, এটা তারা বুঝতে পারে না’ (আল-বাক্বারা, ২/৮-৯)।
(১২) তর্কপ্রিয়: মানুষ স্বভাবতই তর্কপ্রিয়। মানবের উন্মেষ থেকে মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত তর্কের অস্তিত্ব বিদ্যমান। আল্লাহ রব্বুল আলামীন মানব সৃষ্টির সূচনালগ্নে একদল ফেরেশতার সাথে, বিতাড়িত শয়তানের সাথে এবং বিভিন্ন উম্মত ও তার ক্বওমের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বিতর্কের বর্ণনা পবিত্র কুরআনুল কারীমে বিবৃত করেছেন। মহান আল্লাহ বলেন,وَكَانَ الْإِنسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا ‘মানুষ অতিশয় তর্কপ্রিয়’ (আল-কাহফ, ১৮/৫৪)।
(১৫) ওযর আপত্তিকারী: মানবজীবনের যাবতীয় কার্যাবলি সাধারণত দুটি অবস্থায় সংঘটিত হয়। একটি সহজ অবস্থা, অপরটি হলো কঠিন অবস্থা বা দুঃখ-দুর্দশাগ্রস্ত হওয়া। মানুষ সর্বদা সহজতর অবস্থা কামনা করে থাকে। কিন্তু যখনই কোনো কাঠিন্য ও দুঃখ-দুর্দশা তাকে স্পর্শ করে, তখন সে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে এবং মিথ্যা ওযর আপত্তি পেশ করে তা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করে। পবিত্র কুরআনে নিম্নোক্তভাবে বিষয়টি উপস্থাপিত হয়েছে,لَوْ كَانَ عَرَضًا قَرِيبًا وَسَفَرًا قَاصِدًا لَاتَّبَعُوكَ وَلَكِنْ بَعُدَتْ عَلَيْهِمْ الشُّقَّةُ وَسَيَحْلِفُونَ بِاللهِ لَوْ اسْتَطَعْنَا لَخَرَجْنَا مَعَكُمْ يُهْلِكُونَ أَنفُسَهُمْ وَاللهُ يَعْلَمُ إِنَّهُمْ لَكَاذِبُونَ ‘আশু সম্পদ লাভের সম্ভাবনা থাকলে ও সফর সহজ হলে তারা নিশ্চয়ই তোমার অনুসরণ করত, কিন্তু তাদের নিকট যাত্রাপথ সুদীর্ঘ মনে হলো। তারা অচিরেই আল্লাহর নামে শপথ করে বলবে, পারলে আমরা নিশ্চয়ই তোমাদের সাথে বের হতাম। তারা নিজেদেরকে ধ্বংস করে। আল্লাহ জানেন তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী’ (আত-তওবা, ৯/৪২)।
(চলবেইনশা-আল্লাহ)
ড. মোহাম্মদ হেদায়াত উল্লাহ
সহকারী অধ্যাপক (বিসিএস, সাধারণ শিক্ষা), সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকা।