উত্তর : চার মাযহাবের আবির্ভাব ঘটেছে তাবে-তাবেঈনদের পরে। শাহ অলিউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, হিজরী ৪র্থ শতাব্দীর পূর্বে কোন মুসলিমরা নির্দিষ্টভাবে কোন একজন বিদ্বানের মাযহাবের তাক্বলীদের উপরে সংঘবদ্ধ ছিল না (হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগাহ, ১/১৫২-৫৩, ‘চতুর্থ শতাব্দী ও তার পরের লোকদের অবস্থা বর্ণনা’ অনুচ্ছেদ)। অত্র বিবরণে বুঝা যায়, ভারতীয় বিদ্বানদের নিকটেও ৪০০ হিজরীর পূর্বে কোন মাযহাবের ছিল না। অতএব মাযহাব শরী‘আতের কোন অংশ হতে পারে না। তাই স্পষ্টভাবে প্রমাণ হয় যে, এ ব্যাপারে কোন বিদ্বানদের ইজমা‘ হয়নি। আর ইজমা‘র দাবী করা কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহকে না মানার শামিল। বরং পরবর্তীতে সৃষ্ট সকল মাযহাব বা কোন নির্দিষ্ট ইমামের অন্ধ তাক্বলীদ করা নাজায়েয। কেননা ইসলামী শরী‘আতের মূল ভিত্তি দু’টি বস্ত্তর উপরে নির্ভরশীল। তা হল, পবিত্র কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলের ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনুগত্য কর (নিসা, ৫৯; মুহাম্মাদ, ৩৩)। অন্য আয়াতে তিনি বলেন, ‘রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদের নিকট যা নিয়ে এসেছেন তা গ্রহণ কর আর যা নিষেধ করেছেন তা হতে বিরত থাক’ (হাশর, ৭)। আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমি তোমাদের নিকট দু’টি জিনিস রেখে গেলাম সে দু’টি জিনিস যতদিন তোমরা আঁকড়িয়ে ধরবে ততদিন তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। বস্ত্ত দু’টি হল, আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসূলের সুন্নাত’ (মুওয়াত্ত্বা মালেক, হা/৩৩৩৮; মুস্তাদরাক হাকেম, হা/৩১৮; ছহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৪০; তাহক্বীক্ব মিশকাত, হা/১৮৬)। উল্লিখিত আয়াত ও হাদীছ দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, কোন মাযহাব ও ব্যক্তির অন্ধ তাকলীদ শরী‘আতে জায়েয নয়।
আবু হুরায়রা ছিফাত
প্রসাদপুর, নওগাঁ।