উত্তর: নারীর কণ্ঠ পর্দার অন্তর্ভুক্ত। একারণে মহান আল্লাহ নারীদেরকে পরপুরুষের সামনে কোমল কণ্ঠে কথা বলতে নিষেধ করেছেন (আল-আহযাব, ৩৩/৩২)। তাই রান্না, সেলাই, উদ্ভিদ তথ্য ইত্যাদি বিষয়ে কোনো নারীর কণ্ঠ দিয়ে ভিডিও বানাতে পারবে না। দ্বিতীয়ত, ইউটিউবে শুধু ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে কোনো ইনকাম হয় না, বরং ইনকাম হয় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। এক্ষেত্রে কৃত উপার্জন হালাল হতে পারে এই শর্তে যে, প্রদর্শিত বিজ্ঞাপন যেন হারাম থেকে মুক্ত হয়। অর্থাৎ মিউজিক, নারীদেহের প্রদর্শনী, সূদ, মদ, যেকোনো হারাম, অশ্লীল অথবা মন্দের দিকে উদ্বুদ্ধকারী বিজ্ঞাপন না হয়। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে কোনো চ্যানেল মালিকের স্বাধীনতা থাকে না। বরং ইউটিউব কর্তৃপক্ষ তাদের ইচ্ছামতো বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে থাকে। ইসলামে হালাল ও হারাম স্পষ্ট। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘নিশ্চয়ই হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট আর এ উভয়ের মাঝে রয়েছে সন্দেহজনক বিষয়, অনেক লোকই সেগুলো জানে না। যে ব্যক্তি এসব সন্দেহজনক বিষয় থেকে দূরে থাকে সে তার দ্বীন ও মর্যাদাকে নিরাপদে রাখে আর যে লোক সন্দেহজনক বিষয়ে পতিত হবে সে হারামের মধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়বে’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫২; ছহীহ মুসলিম, হা/৩৯৮৬)। তাই এর ইনকাম থেকে বিরত থাকতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘পবিত্র ও নিকৃষ্ট কখনো সমান হতে পারে না। যদি নিকৃষ্টের আধিক্য তোমাকে আকৃষ্ট করে। অতএব, হে বিবেকবান লোকেরা! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, তাহলে তোমরা সফলকাম হতে পারবে’ (আল-মায়েদা, ৫/১০০)।
প্রশ্নকারী : রাজিয়া সুলতানা
রাজশাহী।