উত্তর: চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে দাম নির্ধারিত হয়ে থাকে। অনেক সময় লাভ দ্বিগুণও হতে পারে। কেননা শরীআতে লাভ করার কোনো পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘ক্রেতা-বিক্রেতা যতক্ষণ পরস্পর বিচ্ছিন্ন না হয়, ততক্ষণ তাদের ইখতিয়ার থাকবে (ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন করা বা বাতিল করা)। যদি তারা সত্য বলে এবং অবস্থা ব্যক্ত করে, তবে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ে বরকত হবে আর যদি মিথ্যা বলে এবং দোষ গোপন করে, তবে তাদের ক্রয়-বিক্রয়ের বরকত মুছে ফেলা হয়’ (ছহীহ বুখারী, হা/২০৭৯)। একদা উরওয়া ইবনু আবিল জা‘দ আল-বারেক্বী নামক জনৈক ছাহাবীকে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি দীনার প্রদান করেন একটি ছাগল ক্রয়ের জন্য। ছাহাবী তা দিয়ে দুটি ছাগল ক্রয় করেন এবং একটি বিক্রয় করেন এক দীনারে। অতঃপর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে একটি ছাগল ও একটি দীনার ফেরত দেন। এতে খুশি হয়ে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ব্যবসায়ে বরকতের দু‘আ করেন। তাতে ফল হয়েছিল এই যে, ঐ ব্যক্তি মাটি কিনলেও তাতে লাভ হতো’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩৬৪২; আবূ দাঊদ হা/৩৩৮৪)। ব্যবসা ও লেনদেনের ক্ষেত্রে সততা ও ন্যায্যতা রক্ষা করতে হবে। ক্রেতার সাথে প্রতারণা না করে বা তাকে না ঠকিয়ে লাভ করতে হবে।
প্রশ্নকারী: বোরহান উদ্দীন
সাভার, ঢাকা।