উত্তর: একজনের মুসলিমের উপর তাওহীদ, ঈমান ও ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান রাখা আবশ্যক। ইবনু উমার রাযিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘পাঁচটি স্তম্ভের উপর ইসলামের ভিত্তি স্থাপিত- এ সাক্ষ্য দেওয়া যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল, ছালাত কায়েম করা, যাকাত আদায় করা, হজ্জ পালন করা এবং রামাযান মাসের ছিয়াম পালন করা’ (ছহীহ বুখারী, হা/৮)। হাদীছে জিবরীলে এসেছে, জিবরাঈল আলাইহিস সালাম প্রশ্ন করলেন, হে মুহাম্মাদ! আমাকে ইসলাম সম্পর্কে কিছু বলুন অর্থাৎ ইসলাম কী? উত্তরে তিনি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘ইসলাম হচ্ছে তুমি সাক্ষ্য দিবে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল, ছালাত কায়েম করবে, যাকাত আদায় করবে, রামাযান মাসের ছিয়াম পালন করবে এবং বায়তুল্লাহর হজ্জ করবে; যদি সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য থাকে’। এরপর তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, আমাকে ঈমান সম্পর্কে কিছু বলুন। তিনি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তর দিলেন, ‘ঈমান হচ্ছে আল্লাহ তাআলা, তাঁর মালায়িকা (ফেরেশতাগণ), তাঁর কিতাবসমূহ, তাঁর রাসূলগণ এবং পরকালকে সত্য বলে বিশ্বাস করা। এছাড়া তাক্বদীরের উপর অর্থাৎ জীবন ও জগতে কল্যাণ-অকল্যাণ যা কিছু ঘটছে, সবই আল্লাহর ইচ্ছায় হচ্ছে এ কথার উপর বিশ্বাস করা’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৮)। আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, এক বেদুঈন নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, আমাকে এমন একটি আমলের কথা বলুন, যদি আমি তা করি; তবে জান্নাতে প্রবেশ করব। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘আল্লাহর ইবাদত করবে আর তাঁর সাথে অন্য কোনো কিছুকে শরীক করবে না, ফরয ছালাত আদায় করবে, যাকাত প্রদান করবে, রামাযান মাসে ছিয়াম পালন করবে’। সে বলল, যাঁর হাতে আমার প্রাণ রয়েছে, তার শপথ করে বলছি! আমি এর চেয়ে বেশি করব না। যখন সে ফিরে গেল, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো জান্নাতী ব্যক্তিকে দেখতে পছন্দ করে, সে যেন এই ব্যক্তিকে দেখে’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৩৯৭)। এছাড়া যখন যে বিষয় প্রয়োজন হবে, তখন সে বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।