উত্তর : সালমান ফারেসী রযিয়াল্লাহু আনহু নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একজন বিশ্বস্ত সহচর ও প্রিয়ভাজন ছাহাবী ছিলেন। তিনি এক ইয়াহূদীর কৃতদাস ছিলেন। তিনি নবুঅতের সত্যতা যাচাই করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। আবূ বুরায়দা রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় হিজরতের পর একবার সালমান ফারসী রযিয়াল্লাহু আনহু একটি পাত্রে কিছু কাঁচা খেজুর নিয়ে এলেন এবং তিনি তা রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে রাখলেন। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে সালমান! এগুলো কিসের খেজুর?
(অর্থাৎ হাদিয়া না ছাদাক্বা)। তিনি বললেন, এগুলো আপনার ও আপনার সাথীদের জন্য ছাদাক্বা। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এগুলো তুলে নাও; আমরা ছাদাক্বা খাই না। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি তা তুলে নিলেন। পরের দিন তিনি অনুরূপ কিছু খেজুর নিয়ে আসলেন এবং রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে পেশ করলেন। তখন তিনি বললেন, এগুলো কিসের খেজুর? সালমান বললেন, আপনার জন্য হাদিয়া। তখন রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ছাহাবীদের বললেন, তোমরা হাত প্রসারিত করো (হাদিয়া গ্রহণ করো)। এরপর সালমান রযিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পৃষ্ঠদেশ মোহরে নবুঅত দেখতে পেলেন, অতঃপর ইসলাম গ্রহণ করলেন (মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩০৪৭)।
উল্লেখ্য যে, সালমান ফারেসী রযিয়াল্লাহু আনহু প্রিয়নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ‘ছাদাক্বা ও হাদিয়া’ উপস্থাপনের মাধ্যমে পরীক্ষা করেছিলেন এবং মোহরে নবুঅত দেখে নিশ্চিত হয়েছিলেন। কারণ পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবে এ সংবাদ ছিল যে, শেষ নবী ও রাসূল যিনি হবেন তিনি ছাদাক্বা গ্রহণ করবেন না এবং তাঁর পৃষ্ঠদেশে থাকবে মোহরে নবুঅত। আর তিনি তা পরীক্ষা করেই ইসলাম গ্রহণ করলেন।
প্রশ্নকারী : জুয়েল বিন মনিরুল ইসলাম
পত্নীতলা, নওগাঁ।