উত্তর: ইহরামের পূর্বে শরীরে সুগন্ধি থাকলে সেই অবস্থাতে থাকা মুহরিমের জন্য জায়িয। কিন্তু ইহরামের পরে নতুনভাবে সুগন্ধি ব্যবহার করা জায়িয নয়। ছাফওয়ান ইবনু ইয়ালা ইবনু উমাইয়াহ রহিমাহুল্লাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইয়ালা ইবনু উমাইয়াহ রযিয়াল্লাহু আনহু উমার ইবনুল খাত্তাব রযিয়াল্লাহু আনহু কে বলতেন, হায়! রসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওপর ওয়াহী অবতীর্ণ হওয়ার সময় আমি যদি তাঁকে দেখতে পেতাম। যখন নাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’জি‘আরানা’ নামক স্থানে অবস্থান করছিলেন এবং চাঁদোয়া দিয়ে তাঁর ওপর ছায়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল এবং তাঁর সঙ্গে ছিলেন কতিপয় ছাহাবী, তাদের মধ্যে উমার রযিয়াল্লাহু আনহুও ছিলেন। এমন সময় জুব্বা পরিহিত ও সুগন্ধি মেখে এক ব্যক্তি এসে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! ঐ সম্পর্কে আপনার মত কী, যে সুগন্ধি মেখে জুববা পরে ইহরাম বেঁধেছে? তখন কিছু সময়ের জন্য নাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপেক্ষা করলেন, এমন সময় তার নিকটে ওয়াহী আসলো। উমার রযিয়াল্লাহু আনহু তার হাত দিয়ে ইয়ালা রযিয়াল্লাহু আনহু-কে ইশারা করে ডাকলেন। ইয়ালা রযিয়াল্লাহু আনহু এলেন এবং তাঁর মাথা ঐ চাদরের ভেতর ঢোকালেন। তিনি দেখলেন যে, রসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুখমন্ডল রক্তিম বর্ণ ধারন করেছে এবং কিছু সময়ের জন্য বেশ জোরে জোরে শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করছেন। তারপর তাঁর থেকে এ অবস্থা সম্পূর্ণরূপে দূর হওয়ার পর তিনি বললেন, প্রশ্নকারী কোথায়, যে কিছুক্ষণ পূর্বে আমাকে উমরাহ সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিল? লোকটিকে খুঁজে নবী -এর নিকট নিয়ে আসা হল। নাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে সুগন্ধি তুমি তোমার শরীরে মেখেছে, তা তিনবার ধুয়ে ফেলবে আর জুববাটি খুলে ফেলবে। তারপর তুমি তোমার উমরাহতে ঐ সমস্ত কাজ করবে, যা তুমি হাজ্জের মধ্যে করে থাক (ছহীহ বুখারী, হা/৪৯৮৫, ছহীহ মুসলিম, হা/১১৮)।
প্রশ্নকারী : মুরাদ হোসেন
ঢাকা।