কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৩২) : মেয়েদের হসপিটালে মিডওয়াইফারি চাকুরী করা যাবে কি-না?

উত্তর : মিডওয়াইফারি অর্থ হচ্ছে ধাত্রীবিদ্যা বা প্রসূতিতন্ত্র। প্রসূতি নারীদের সেবা প্রদান করাকে মিডওয়াইফারি বলা হয়। বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একজন নারী এই পেশায় যোগদান করে। তারা একজন মহিলাকে গর্ভ ধারন থেকে শুরু করে বাচ্চা প্রসব করার ৪২ দিন পর পর্যন্ত সার্বিক সেবা-শুশ্রূষা প্রদান করার পাশাপাশি নরমাল ডেলিভারির জন্য কাজ করে থাকে। ইসলামে সংসারের সকল আর্থিক ইনকামের দায়-দায়িত্ব পুরুষের। তবে নারীর জন্য ইনকাম করা যেমন জরুরী নয় তদ্রূপ হারামও নয়। তাই নারীরা চাইলে বৈধ যেকোনো চাকুরী ইসলামের বিধি-বিধান মেনে করতে পারে। একজন নারী চাকুরী করার জন্য ইসলাম কিছু শর্ত দিয়েছে। ১. পূর্ণ পর্দা পালন করা। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে, আপনার কন্যাদেরকে আর মু’মিনদের নারীদেরকে বলে দিন- তারা যেন তাদের চাদরের কিছু অংশ নিজেদের উপর টেনে দেয় (যখন তারা বাড়ীর বাইরে যায়), এতে তাদেরকে চেনা সহজতর হবে এবং তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না’ (আল-আহযাব, ৩৩/৫৯)। অন্যত্র তিনি বলেন, وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ ‘তারা যেনো তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ করে না বেড়ায়’ (আন-নূর, ২৪/৩১)। ২. নারীর জন্য পৃথক কর্মসংস্থান থাকা। অর্থাৎ একজন নারী পুরুষের সহবস্থানে চাকুরী করতে পারবে না। কেননা বেগানা নারী-পুরুষের সহবস্থান হারাম। উমার রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো পুরুষ যখন কোনো স্ত্রী লোকের সঙ্গে নির্জনে সাক্ষাৎ করে তখন তাদের মাঝে অবশ্যই তৃতীয় জন হিসাবে থাকে শয়তান’ (তিরমিযী, হা/১১৭১; মিশকাত, হা/৩১১৮)। এই সকল বিধান মেনে মিডওয়াইফারিসহ যেকোনো বৈধ চাকুরী নারীরা করতে পারে।

প্রশ্নকারী : তামিমা আক্তার

রামপাল, বাগেরহাট।


Magazine