কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৩৪) : জামা‘আতে ছালাত আদায়ের ফযীলত কী?

উত্তর : জামা‘আতে ছালাত আদায়ের ফযীলত সম্পর্কে একাধিক হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। যেমন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ঘরে অথবা বাজারে একাকী ছালাতের চেয়ে মসজিদে জামা‘আতে ছালাত আদায়ে ২৫ বা ২৭ গুণ ছওয়াব বেশী।’ তিনি বলেন, দুই জনের ছালাত একাকীর চাইতে উত্তম। ...এভাবে জামা‘আত যত বড় হয়, নেকী তত বেশি হয় (ছহীহ বুখারী, হা/৬৪৫, ৬৪৭; ছহীহ মুসলিম, হা/৬৪৯, ৬৫০; মিশকাত, হা/৭০২,১০৫২; আবুদাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত, হা/১০৬৬)। অন্য হাদীছে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি এশার ছালাত জামা‘আতে পড়ল, সে যেন অর্ধরাত্রি ছালাতে কাটাল এবং যে ব্যক্তি ফজরের ছালাত জামা‘আতে পড়ল, সে যেন সমস্ত রাত্রি ছালাতে অতিবাহিত করল’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৬৫৬; মিশকাত, হা/৬৩০)। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য ৪০ দিন তাকবীরে ঊলাসহ জামা‘আতে ছালাত আদায় করল, তার জন্য দু’টি মুক্তি লেখা হয়। একটি হলো জাহান্নাম হতে মুক্তি। অপরটি হলো নিফাক্ব হতে মুক্তি (তিরমিযী, হা/২৪১; ঐ, মিশকাত, হা/১১৪৪)। অপর বর্ণনায় তিনি বলেন, ‘যখন কোনো মুছল্লী সুন্দরভাবে ওযূ করে ও স্রেফ ছালাতের উদ্দেশ্যে ঘর হতে বের হয়, তখন তার প্রতি পদক্ষেপে আল্লাহর নিকটে একটি করে নেকী হয় ও একটি করে মর্যাদার স্তর উন্নীত হয় ও একটি করে গোনাহ ঝরে পড়ে। যতক্ষণ ঐ ব্যক্তি ছালাতরত থাকে, ততক্ষণ ফেরেশতারা তার জন্য দু‘আ করতে থাকে ও বলে যে, ‘হে আল্লাহ! তুমি তার উপরে শান্তি বর্ষণ করো’। ‘তুমি তার উপরে অনুগ্রহ করো’। যতক্ষণ সে কথা না বলে ততক্ষণ পর্যন্ত ফেরেশতারা আরও বলতে থাকে, ‘হে আল্লাহ! তুমি তাকে ক্ষমা করো’ ‘তুমি তার তওবা কবুল করো’ (ছহীহ বুখারী, হা/৬৪৭; ছহীহ মুসলিম, হা/৬৪৯; মিশকাত, হা/৭০২; ছহীহ মুসলিম, হা/৬৫৪; মিশকাত, হা/১০৭২)। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে ওযূ করল। অতঃপর মসজিদে রওয়ানা হলো এবং জামা‘আতে যোগদান করল, আল্লাহ তাকে ঐ ব্যক্তির ন্যায় পুরস্কার দিবেন, যে ব্যক্তি ছালাত আদায় করেছে ও শুরু থেকে হাযির রয়েছে। তাদের নেকী থেকে তাকে মোটেই কম করা হবে না’ (আবুদাঊদ, হা/৫৬৪; মিশকাত, হা/১১৪৫)।

প্রশ্নকারী : মিলন হোসেন

রহিমানপুর, ঠাকুরগাঁও।


Magazine