উত্তর: কাফের শাসকের অধীনস্থ মুসলিমদের রক্ষা এবং বিজয়ী করতে সহায়তা করলে সেটা বৈধ হবে। তবে অপর মুসলিম শাসকের বিরুদ্ধে দুনিয়াবী, কূটনৈতিক, আঞ্চলিক প্রভাব প্রতিষ্ঠা ইত্যাদির জন্য বাগাওয়াত তথা বিদ্রোহে সাহায্য করা বৈধ নয়, এটি ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত। আরফাজাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ‘অচিরেই নানা প্রকার ফিতনা-ফাসাদের উদ্ভব হবে। যে ব্যক্তি ঐক্যবদ্ধ উম্মতের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রয়াস চালাবে, তোমরা তরবারি দিয়ে তার গর্দান উড়িয়ে দেবে, সে যে কেউ হোক না কেন’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৮৫২)। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমার পরে তোমরা পরস্পরে হানাহানি করে কুফরীর দিকে ফিরে যেয়ো না’ (ছহীহ বুখারী, হা/৭০৭৭)। এতে সেই দেশের ভেতর যারা অংশ নেবে, তারা শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী বলে গণ্য হবে।
প্রশ্নকারী : রাজু আহমেদ
নোয়াখালী।