কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

জলবায়ুর রোজনামচা

ধরণির আনাচে-কানাচে ঘটছে দেখো দুর্যোগ কত শত
কয়টা বলব? বন্যা, খরা, ভূমিকম্প, সাইক্লোন, টর্নেডো।
ইদানীং আবার খবরে দেখছি, কী যেন তার নাম?
হঠাৎ করেই মেঘটা ফেটে ডুবছে কত গ্রাম।
মেরুর শীতল বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের পানি বেড়ে,
 নিম্নভূমি ডুবছে জলে, কত জানমাল নিচ্ছে কেড়ে।
 ভাবছো এসব কী বলছি, করছি নাকি গল্প?
ক’দিন আগেই রাশিয়া-জাপানে ঘটলো ভূমিকম্প।
ভাবতেই পারো চারিদিকে এমন হচ্ছে কেন?
হঠাৎ করেই হয়নি এসব কারণ বলছি শোনো।
 বিশ্বজুড়ে এলো যখন শিল্পের বিপ্লব
জ্বালানি পুড়ল অনলে, কার্বনে ঢাকল সব।
আজও উজাড় হচ্ছে বন, কাটা হচ্ছে সব গাছ
দূষিত হচ্ছে নদীনালা, মরছে কত মাছ।
ইচ্ছেমতো প্লাস্টিক-পলি ফেলছি যত্রতত্র
মন চাইলেই নদীতে ফেলছি নিজেদের মলমূত্র।
কারণ আরও অনেক আছে সব লেখা অসম্ভব
আমি হেথা অল্পই বললাম যতটুকু লেখা সম্ভব।
লেখাটা পড়ে দুশ্চিন্তায় গরম করো না মাথাটাকে,
 উপায় খোলা আছে এখনও বাঁচাতে চাইলে পৃথিবীটাকে।
বন্ধ করি কারখানাগুলোর কার্বন নিঃসরণ,
বন্ধ করি গাছ কাটা আরও যত রকম দূষণ।
ব্যবহার করি সৌরশক্তি আর গ্রিন এনার্জি যত,
এই মৌসুমে একটা হলেও গাছ লাগাই অন্তত।
বাঁচিয়ে রাখি নদীনালা, বাঁচাই তাদের প্রাণ
তবেই আমরা গাইতে পারব সবুজ পৃথিবীর গান।
-বাসসাম ইবনে আব্দুল আলীম
অধ্যয়নরত, ৬ষ্ঠ শ্রেণি, আল-জামি‘আহ আস-সালাফিয়্যাহ
রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ।
Magazine