কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৪) অনেকে বলেন, তাবীয পরলে দুষ্টু জিন আক্রমণ করতে পারে না আর খোলার পর তীব্র আক্রমণ করা হয়, কখনো মৃত্যুঝুঁকিও দেখা দেয়। এ অবস্থায় রোগী ও তার পরিবারের করণীয় কী?

উত্তর: তাবীয ব্যবহার করা শিরক। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তাবীয ও তাবীয জাতীয় বস্তু এসব শিরক’ (আবূ দাঊদ, হা/৩৮৮৩; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/৪১৫১)। অন্য বর্ণনায় আছে, ‘যে তাবীয ঝুলাল, সে শিরক করল’ (মুসনাদ আহমাদ, হা/১৭৪০৪)। তাবীয খুললে আক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণ হলো, এটা শয়তানের ধোঁকা। তাবীয থাকাকালে সে কিছুটা শান্ত রাখে, যাতে মানুষ বিশ্বাস করে তাবীয-ই রক্ষা করছে। যখন খুলে ফেলা হয়, তখন সে ভয় দেখায় এবং আক্রমণ করে, যাতে মানুষ আবার শিরকে ফিরে যায়। বাস্তবে তাবীয মানুষকে রক্ষা করে না; বরং শয়তানকে শক্তিশালী করে। এ অবস্থায় রোগী ও পরিবারের করণীয়- ১. আল্লাহর উপর ভরসা করা। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ যদি তোমাকে কষ্টে ফেলেন, তবে তিনি ছাড়া তা দূর করার কেউ নেই’ (আল-আনআম, ৬/১৭)। ২. আন্তরিকভাবে তওবা করা। তাবীয ব্যবহার করা শিরক, তাই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর কাছে আন্তরিক তওবা করো। আশা করা যায়, তোমাদের রব তোমাদের গুনাহ মাফ করবেন এবং তোমাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার নিচ দিয়ে নদী প্রবাহিত’ (আত-তাহরীম, ৬৬/৮)। মা-বাবা বা আত্মীয়-স্বজন শিরক করতে বললে তাদের কথা মানা যাবে না (লুকমান, ৩১/১৫)। ৩. তাবীয ধ্বংস করা। ৪. শারঈ রুকইয়া (কুরআন ও ছহীহ দু‘আ দিয়ে চিকিৎসা) প্রতিদিন পড়া, যেমন- সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসী (আল-বাকারা, ২/২৫৫), সূরা ইখলাছ, ফালাক, নাস পড়া। রাতে ঘুমানোর আগে সূরা ইখলাছ, ফালাক, নাস পড়ে পুরো শরীর মুছে দেওয়া। ৫. ঘরকে শয়তানমুক্ত রাখা, সূরা বাকারা তেলাওয়াত করা। ৬. আযান দেওয়া। ৭. ছবি, মূর্তি, গান-বাজনা ইত্যাদি ঘরে না রাখা।

প্রশ্নকারী : শাহরিয়ার নাফিজ

কুমিল্লা।


Magazine