কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (২৯): কেউ যদি আমাকে হাদিয়া দেয় বা খাবারের দাওয়াত দেয় এবং আমি জানি, তার উপার্জন হারাম; তাহলে আমার করণীয় কী? আর যদি না জানি তার উপার্জন হালাল নাকি হারাম, তখন কী করব? কোন কারণে উপার্জন হারাম হয়? আর যদি পরিবারের উপার্জন হারাম হয়, যাদের উপর আমি নির্ভরশীল; তাহলে আমার করণীয় কী?

উত্তর: আপনি নিশ্চিতরূপে যদি জানতে পারেন যে, হাদিয়া প্রদানকারীর উপার্জন সম্পূর্ণ হারাম, তাহলে তার থেকে হাদিয়া বা খাবার গ্রহণ করা যাবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মানুষ! তোমরা খাও যমিনে যা কিছু বৈধ ও পবিত্র খাদ্যবস্তু রয়েছে তা থেকে’ (আল-বাকারা, ২/১৬৮)। আর যদি জানতে না পারেন যে, তার উপার্জন হারাম নাকি হালাল; তাহলে তার থেকে হাদিয়া গ্রহণ করা যাবে। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যখন তার মুসলিম ভাইয়ের কাছে প্রবেশ করে আর সে তাকে কিছু খাবার খাওয়ায়, তখন সে যেন খায় আর তা নিয়ে জিজ্ঞেস না করে। আর যদি সে তাকে কিছু পানীয় দেয়, তবে সে যেন পান করে, কিন্তু (পানীয় সম্পর্কে) প্রশ্ন না করে’ (ছহীহুল জামে‘, হা/৫৮০)। কোনো ব্যক্তির উপার্জন তখনই হারাম হয়, যখন তা ইসলামী শরীআতের নির্ধারিত সীমা ও নীতিমালা লঙ্ঘন করে। যেসব কারণে উপার্জন হারাম হয়, তা হলো সূদ (রিবা) থেকে আয়, জুয়ার আয়, চুরি, ডাকাতি, ঘুষ বা প্রতারণা করে আয়, হারাম পণ্য বা সেবার মাধ্যমে উপার্জন ইত্যাদি। আপনি যদি হারাম উপার্জনকারী পরিবারের ওপর নির্ভরশীল হন এবং আপনি নিজে উপার্জন করতে সক্ষম না হন (যেমন- আপনি শিশু, ছাত্র, বৃদ্ধ, অসুস্থ ইত্যাদি), তাহলে তাদের উপার্জন ভক্ষণ করলে আপনি পাপী হবেন না। আর যদি আপনি উপার্জনে সক্ষম হন, তাহলে নিজেকে স্বনির্ভর করার চেষ্টা করুন এবং হালাল রিযিক খোঁজার চেষ্টা করুন, পরিবারকে হালাল উপার্জনের দিকনির্দেশনা দিন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যে কেউ আল্লাহর তাক্বওয়া অবলম্বন করে আল্লাহ তার জন্য (উত্তরণের) পথ করে দেবেন’ (আত-ত্বালাক, ৬৫/২)।

প্রশ্নকারী : ইসরাত ইশা

 ঝালকাঠি, নবগ্রাম রোড, সুগন্ধী।


Magazine