উত্তর: ‘লাইফ সাপোর্ট’ এর অর্থ মানুষের মৃত্যুর পরও তাকে বাঁচিয়ে রাখা এমন নয়। বরং একজন রুগী বেঁচে আছে কিন্তু মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ কিংবা মস্তিষ্কের টিউমার অথবা ফুসফুসে সমস্যার কারণে কিংবা শরীরে মারাত্মক ব্যাধির সংক্রমণ কিংবা অন্য যেকোনো কারণে নিজে থেকে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছে না, তার ক্ষেত্রে রুগীকে শ্বাস-প্রশ্বাস তথা ভেন্টিলেশন দেওয়া হয়, একেই লাইফ সাপোর্ট বলা হয়। এরপর তার অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো চালিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা না গেলে হয়ত রুগীটা নিঃশ্বাস না নিতে পারার কারণে মারা যেত (ডা. সিনহা আবুল মনসুর, এন টিভি, স্বাস্থ্য প্রতিদিন, পর্ব ২৬৫৫)। তাই ‘লাইফ সাপোর্ট’ শব্দ বলা দোষণীয় কিছু নয়। উল্লেখ্য যে, এমন অবস্থায় লাইফ সার্পোটে না রেখে পরিবার-পরিজনের নিকট রাখার জন্য চেষ্টা করতে হবে এবং তাকে কালিমার তালক্বীন দিতে হবে। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা তোমাদের মৃত্যু শয্যায় সায়িত ব্যক্তিকে لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ -এর তালক্বীন দাও’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৯১৭; ইবনু হাজাহ, হা/১৪৪৪)। তিনি আরো বলেন, ‘যার শেষ কালেমা لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ হবে, যে জান্নাতে প্রবেশ করবে’ (আবূ দাউদ, হা/৩১১৬; মিশকাত, হা/১৬২১)।
প্রশ্নকারী : হুমায়ূন কবীর
আম্বরখানা, সদ, সিলেট।