কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৩৭): আমার স্বামী ৫ বছর ধরে প্রবাসে আছেন। তিনি তার উপার্জনের প্রায় সবটাই আমার শ্বশুরবাড়ির চাহিদা পূরণে ব্যয় করেন। আমাদের জন্য ব্যয় খুব সামান্য, কোনো সঞ্চয়ও নেই। সন্তানরা বাবার অনুপস্থিতিতে কষ্ট পাচ্ছে, আমিও হতাশাগ্রস্ত। স্বামীকে বললেও তিনি শুধু ধৈর্য ধরতে বলেন। স্ত্রী হিসেবে এ অবস্থায় আমার করণীয় কী?

উত্তর: খরচের ক্ষেত্রে ভারসাম্য ও ন্যায়পরায়ণতা বজায় রাখা উচিত। পিতামাতার যেমন হক্ব আছে, তেমনি সন্তান-সন্ততি ও স্ত্রী-পুত্রেরও হক্ব আছে। তাই সকলের প্রয়োজন পূরণ করাই ন্যায়সঙ্গত। কাউকে বঞ্চিত করা উচিত হবে না। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমার সামর্থ্য অনুযায়ী পরিবারের জন্য ব্যয় করো’ (মুসনাদে আহমাদ, হা/২২০৭৫)। স্বামীকে স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব পালন করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সামর্থ্যবান যেন নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যয় করে আর যার রিযিক সংকীর্ণ করা হয়েছে সে যেন আল্লাহ তাকে যা দিয়েছেন, তা হতে ব্যয় করে (আত-তালাক, ৬৫/৭)। তিনি আরো বলেন, ‘সন্তানের পিতার দায়িত্ব হলো মায়ের খাওয়া-পরার খরচ বহন করা যথাযথভাবে’ (আল-বাকারা, ২/২৩৩)। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজ্জের ভাষণে বলেন, ‘আর তোমাদের উপর তাদের (স্ত্রীদের) ন্যায়সঙ্গত ভরণপোষণের ও পোশাক-পরিচ্ছদের হক্ব রয়েছে’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১২১৮)। পিতামাতার থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা না থাকলে সন্তানকে সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যবস্থা করতে হবে। এতে কেউ কারো প্রতি অভিযোগ করলে তা যুলম হবে।

প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

লাঙ্গলকোট, কুমিল্লা।


Magazine