উত্তর : ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সাধারণ জনগণের যরূরী কর্তব্য হল, প্রথমে তাওহীদের মৌলিক জ্ঞান অর্জন করা এবং তাওহীদের বিশ্বাসে নিজের জীবনকে পরিচালনা করা। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মু‘আয রাযিয়াল্লাহু আনহু-কে ইয়ামানে প্রেরণ করার সময় প্রথমে তাকে তাওহীদের দাওয়াত দেয়ার আদেশ করেছিলেন (ছহীহ বুখারী, হা/৭৩৭২; ছহীহ মুসলিম, হা/১৯) অতঃপর নিজের জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে ইসলামের বিধি-বিধান মেনে চলার আপ্রাণ চেষ্টা করা। অতঃপর পরিবার সকল সদস্যকে ইসলামের অনুশাসন মেনে চলার দাওয়াত দেওয়া (সূরা তাহরীম, ০৬)। অতঃপর সমাজে দাওয়াতী কাজ চালিয়ে যাওয়া। এইভাবে দেশের প্রতিটি সমাজ যখন পুরোপুরি ইসলামের বিধি-বিধান মেনে চলতে লাগবে, তখন রাষ্ট্রযন্ত্র পরিবর্তন হতে বাধ্য। একটি গ্রামের সকল মানুষ কিংবা অধিকাংশ মানুষ যখন ডিস লাইন বর্জন করবে, তখন ব্যবসায় ক্ষতি হওয়ার দরুন কর্তৃপক্ষ সেই গ্রাম থেকে ডিস লাইন তুলে নিতে বাধ্য হবে। কোন গ্রামের সবাই যখন সূদ আদান-প্রদান বন্ধ করে দিবে, তখন সেই গ্রাম থেকে সূদের অফিস উঠে যেতে বাধ্য হবে। এভাবেই সমাজ থেকে গ্রাম, গ্রাম থেকে ইউনিয়ন, ইউনিয়ন থেকে থানা, থানা থেকে জেলা, জেলা থেকে রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হওয়া সম্ভব। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছেন যে, তিনি পৃথিবীতে তাদের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করবেন, যেভাবে তাদের পূর্ববতীদেরকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছিলেন’ (সূরা নূর, ৫৫)। আর ব্যক্তি ও সমাজ পরিবর্তন না করে দ্বীন কায়েম করতে গেলে রাষ্ট্র দখল ও ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। কিন্তু ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব নয়। কারণ যখনই কোন অনৈসলামিক কার্যকলাপকে বন্ধ করার চেষ্টা করা হবে, তখন ইসলাম বিমুখ এই সমাজের লোকেরাই তা চালু রাখার জন্য আন্দোলন করবে।
প্রশ্নকারী : আব্দুর রহমান
সাদুলস্ন্যাপুর, গাইবান্ধা।
