উত্তর: ২০ রামাযান অতিবাহিত হওয়ার পর মাগরিবের পর ই‘তিকাফে প্রবেশ করবে। কারণ শেষ দশক আরম্ভ হয় ২০ রামাযানের সূর্য ডুবার পর হতে (ছহীহ মুসলিম, হা/১১৭২)। আর ২১ তারিখ ফজর পর হতে ই‘তিকাফকারী সম্পূর্ণ একাকী ইবাদতে মশগূল থাকবে (ছহীহ মুসলিম, হা/১১৭২; মিশকাত, হা/২১০৪)। মহিলারা বাড়িতে ই‘তিকাফ করতে পারবে না; বরং মহিলা-পুরুষ সবাইকেই মসজিদে ই’তিকাফ করতে হবে। আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা হতে এ হাদীসটিও বর্ণিত, তিনি বলেন, ইতিকাফকারীর জন্য সুন্নাহ হলো- (১) সে যেন কোনো রোগী দেখতে না যায়। (২) কোনো জানাযায় শারীক না হয়। (৩) স্ত্রী সহবাস না করে। (৪) স্ত্রীর সাথে ঘেঁষাঘেষি না করে। (৫) প্রয়োজন ছাড়া কোনো কাজে বের না হয়। (৬) ছিয়াম ছাড়া ইতিকাফ না করে এবং (৭) জামে‘ মসজিদ ছাড়া যেন অন্য কোথাও ই‘তিকাফে না বসে (আল-বাক্বারা, ২/১৮৭)। উল্লেখ্য যে, মহিলারা মসজিদে ই’তিকাফ করতে চাইলে, অবশ্যই স্বামীর অনুমতি থাকতে হবে এবং মসজিদে পর্দার ব্যবস্থা ও ফিতনার থেকে মুক্ত হওয়ার নিশ্চয়তা থাকতে হবে। আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রামাযানের শেষ দশকে ই‘তিকাফ করতেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ইন্তেকাল করলেন, তারপর তাঁর স্ত্রীগণ ই‘তিকাফ করতেন (ছহীহ বুখারী, হা/২০২৬; ছহীহ মুসলিম, হা/১১৭২)। এই হাদীছ প্রমাণ করে যে, মহিলারা ই‘তিকাফ করতে চাইলে জুমআ মসজিদেই করবে। আর যদি মসজিদে করা সম্ভব না হয়, তাহলে ই‘তিকাফ করতে হবে না।
প্রশ্নকারী : মেহেদী হাসান
বাগমারা, রাজশাহী।