উত্তর: ছাহাবীগণের মধ্যে কেউ বিদআতী ছিলেন একথা আদৌও ঠিক নয়। বরং তারা ছিলেন শরীআতে ইনছাফের ব্যাপারে সর্বোচ্চে এবং সত্যের মাপ-কাঠি। মহান আল্লাহ বলেন, ‘অবশ্যই আল্লাহ মুমিনদের উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন, যখন তারা গাছের নিচে আপনার হাতে বাই‘আত গ্রহণ করেছিল; অতপর তিনি তাদের অন্তরে কী ছিল তা জেনে নিয়েছেন, ফলে তাদের উপর প্রশান্তি নাযিল করলেন এবং তাদেরকে পুরস্কৃত করলেন নিকটবর্তী বিজয় দিয়ে’ (আল ফাতহ, ৪৮/১৮)। আবূ সাঈদ আল খুদরী রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা আমার ছাহাবীগণকে গালমন্দ করো না। কেননা তোমাদের কেউ যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ সোনাও আল্লাহর পথে খরচ করে, তবুও তাঁদের মর্যাদার এক মুদ কিংবা অর্ধ মুদ (যব গম খরচ)-এর সমান ছওয়াব অর্জন করতে পারবে না’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩৪৭০; ছহীহ মুসলিম, হা/২৫৪০)। আব্দুল্লাহ রযিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, ‘সর্বোত্তম লোক আমার যুগের লোক (অর্থাৎ ছাহাবীগণ)। তারপর তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অর্থাৎ- তাবিঈগণ। তারপর তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট (অর্থাৎ তাবি তাবিঈন) (ছহীহ বুখারী, হা/৩৪৫১)। যেসকল বিষয়ে সাহাবীগণের মতের মধ্যে ইখতেলাফ দেখা যায় তা তাদের ইজতেহাদী বিষয়। আর ইজতেহাদ শরীআতে দোষনীয় নয়।
প্রশ্নকারী : মো. নুরুল ইসলাম
পুঠিয়া, নাটোর।