কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

কুরআন-সুন্নাহর আলোকে মৃত মুসলিমদের জন্য নিবেদিত আমলসমূহের প্রতিদান (পর্ব-৫)

২৬তম দলীল : আবূ রাফে‘ রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাদা-কালো রংমিশ্রিত খাসি[1] করা দুটি দুম্বা কুরবানী করলেন। অতঃপর বললেন, দুটি কুরবানীর একটি হলো তাদের জন্য, যারা তাওহীদ এবং রিসালাত পৌঁছিয়ে দেয়ার সাক্ষ্য দেয়। অপরটি হলো তাঁর এবং তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে। বর্ণনাকারী বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের জন্য যথেষ্ট ছিলেন। মুসনাদে আহমাদের একটি বর্ণনায় রয়েছে, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কুরবানী করতেন, তখন তিনি মোটাতাজা শিংওয়ালা সাদা-কালো রংমিশ্রিত দুটি দুম্বা ক্রয় করতেন। যখন তিনি ছালাত পড়ে খুৎবা শেষ করতেন, এ সময় তিনি ঈদগাহে অবস্থান করতেন। তখন তাঁর কাছে দুটি দুম্বার একটি আনা হলে নিজেই ছুরি[2] দিয়ে কুরবানী করতেন এবং বলতেন ‘হে আল্লাহ! এ কুরবানীটি আমার সকল উম্মতের পক্ষ হতে যারা আপনার জন্য একত্বের সাক্ষ্য দেয় এবং আমার জন্য রিসালাত পৌঁছানোর সাক্ষ্য দেয়। অতঃপর অপর দুম্বাটি আনা হলে তিনি নিজেই কুরবানী করলেন এবং বললেন, এই কুরবানীটি মুহাম্মাদ এবং তাঁর পরিবারের পক্ষ হতে। মিসকীনরা এ কুরবানী সম্পূর্ণ খেয়ো। তিনি এবং তাঁর পরিবার দুটি কুরবানী থেকে খেয়েছে। আমরা কয়েক বছর অবস্থান করেছি, কিন্তু বানূ হাশেম গোত্রের কোনো ব্যক্তি নেই যে, সে কুরবানী করেছে। আল্লাহ তাদেরকে ঋণে খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মাধ্যমে যথেষ্ট করেছেন’।[3]

মৃত মুসলিমদের জন্য নিবেদিত আমলসমূহের প্রকারভেদ :

জীবিত মুসলিম ব্যক্তি তার সৎ আমলসমূহের ছওয়াব হাদিয়া দিলে মৃত মুসলিম ব্যক্তির কাছে সে ছওয়াবগুলো পৌঁছে যাবে। ইতোপূর্বে এ বিষয়ের প্রমাণাদি উল্লেখ করা হয়েছে। এ অধ্যায়ে আমি আলেমদের বেশ কিছু উদ্ধৃতি উল্লেখ করব।

এ উদ্ধৃতিগুলো দিয়ে তারা যা প্রমাণ করেন, সেগুলোও নিম্নে উল্লেখ করব।

প্রথমত, ইমাম ইবনু কুদামাহ রহিমাহুল্লাহ বলেন,وَأَيُّ قُرْبَةٍ فَعَلَهَا، وَجَعَلَ ثَوَابَهَا لِلْمَيِّتِ الْمُسْلِمِ، نَفَعَهُ ذَلِكَ، إنْ شَاءَ اللَّهُ، أَمَّا الدُّعَاءُ، وَالِاسْتِغْفَارُ، وَالصَّدَقَةُ، وَأَدَاءُ الْوَاجِبَاتِ، فَلَا أَعْلَمُ فِيهِ خِلَافًا، إذَا كَانَتْ الْوَاجِبَاتُ مِمَّا يَدْخُلُهُ النِّيَابَةُ ‘মানুষ যে কোনো সৎআমল সম্পাদন করুক না কেন, তার ছওয়াব মৃত মুসলিম ব্যক্তিকে উৎসর্গ করা হলে মৃত ব্যক্তি তা দ্বারা উপকৃত হবে ইনশাআল্লাহ। মৃত ব্যক্তির জন্য প্রার্থনা করা, ক্ষমা চাওয়া, দান করা এবং ওয়াজিব পালন করার ক্ষেত্রে আমার জানা মতে কোনো আলেমদের কোনো মতানৈক্য নেই। ওয়াজিব আমলসমূহ পালন করা মৃত ব্যক্তির ওয়াজিবগুলোর স্থলাভিষিক্ত হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন,وَالَّذِينَ جَاءُوا مِنْ بَعْدِهِمْ يَقُولُونَ رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالْإِيمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِي قُلُوبِنَا غِلًّا لِلَّذِينَ آمَنُوا رَبَّنَا إِنَّكَ رَءُوفٌ رَحِيمٌ ‘(এ সম্পদ তাদের জন্যও) যারা অগ্রবর্তীদের পরে (ইসলামের ছায়াতলে) এসেছে। তারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে আর আমাদের ভাইদেরকে ক্ষমা করো, যারা ঈমানের ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রবর্তী হয়েছে, আর যারা ঈমান এনেছে তাদের ব্যাপারে আমাদের অন্তরে কোনো হিংসা-বিদ্বেষ রেখো না। হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি বড়ই করুণাময়, অতিদয়ালু’ (আল-হাশর, ৫৯/১০)। তিনি আরও বলেন,فَاعْلَمْ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاسْتَغْفِرْ لِذَنْبِكَ وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَاللَّهُ يَعْلَمُ مُتَقَلَّبَكُمْ وَمَثْوَاكُمْ ‘কাজেই জেনে রেখো, আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোনো ইলাহ নেই, ক্ষমা প্রার্থনা করো তোমার ভুলত্রুটির জন্য আর মুমিন ও মুমিনাদের জন্য, আল্লাহ তোমাদের গতিবিধি ও অবস্থান সম্পর্কে অবগত’ (মুহাম্মাদ, ৪৭/১৯)। আবূ সালামাহ রযিয়াল্লাহু আনহু মৃতবরণ করলে তার জন্য’[4] আর যাদের জানাযার ছালাত পড়িয়েছেন, তাদের জন্য নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু‘আ করেন। যা আওফ ইবনু মালেক রযিয়াল্লাহু আনহু -এর হাদীছে উল্লেখ রয়েছে’।[5] প্রত্যেক মৃত ব্যক্তি যাদের তিনি জানাযার ছালাত পড়িয়েছেন, তাদের জন্য এবং বীরদের দাফন করার সময় তাদের জন্য দু‘আ করেছেন’।[6]

যাদের তিনি জানাযার ছালাত পড়েছেন, তাদের জন্য প্রার্থনা অল্লাহ তাআলা শরীআতসম্মত করেছেন। জনৈক ব্যক্তি নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমার মাতা মারা গেছেন। আমি যদি তার পক্ষ থেকে দান-ছাদাক্বা করি, তাহলে কি তিনি উপকৃত হবেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, উপকৃত হবেন’।[7] সা‘দ রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত হাদীছ’।[8]

জনৈক মহিলা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসলেন অতঃপর বললেন, হে আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আল্লাহ তাঁর বান্দাদের উপর যে হজ্জ ফরয করেছেন, তা আমার বৃদ্ধ পিতার উপরও ফরয হয়েছে, যখন তিনি সওয়ারীর উপর ঠিকভাবে বসে থাকতে সক্ষম নন। আমি কি তার পক্ষ থেকে হজ্জ আদায় করতে পারি? তিনি বললেন, ‘তুমি এ ব্যাপারে কী মনে কর- যদি তোমার পিতার উপর ঋণ থাকত, তাহলে কি তুমি তা আদায় করতে না?’ তখন তিনি বললেন, হ্যাঁ’।[9]

যে ব্যক্তি নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আমার মা এক মাসের ছিয়াম ক্বাযা আদায় না করে মারা গেছেন। আমি কি তার পক্ষ হতে ছিয়াম পালন করব? তিনি বললেন, হ্যাঁ। ছিয়াম পালন করো’।[10]

এ হাদীছগুলো ছহীহ। এ হাদীছগুলোর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, মৃত ব্যক্তি সমস্ত সৎ আমলের মাধ্যমে উপকৃত হতে পারবে। কেননা, ছিয়াম, হজ্জ, দু‘আ, ক্ষমা চাওয়া এগুলো দৈহিক ইবাদত। অবশ্যই আল্লাহ তাআলা মৃত ব্যক্তির কাছে এ ইবাদতগুলোর ছওয়াব পৌঁছিয়ে দিবেন। অনুরূপভাবে দৈহিক ইবাদত ছাড়াও অন্যান্য ইবাদতের মাধ্যমেও মৃত ব্যক্তি উপকৃত হতে পারবে। আমর ইবনু শুআইব হতে বর্ণিত, তিনি তার পিতা, তার পিতা তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমর ইবনুল আছকে বললেন,لَوْ كَانَ أَبُوْكَ مُسْلِمًا فَأَعْتَقْتُمْ عَنْهُ أَوْ تَصَدَّقْتُمْ عَنْهُ أَوْ حَجَجْتُمْ عَنْهُ بَلَغَهُ ذَلِكَ ‘সে (তোমার পিতা) যদি মুসলিম হতো, তাহলে তোমরা তার পক্ষ থেকে দাসমুক্তি করলে বা ছাদাক্বা করলে কিংবা হজ্জ করলে তার কাছে এর ছওয়াব পৌঁছত’।[11] মৃত ব্যক্তির কাছে ছওয়াব পৌঁছানো বিষয়টি নফল হজ্জ ও অন্যান্য সৎকর্মের ক্ষেত্রে ব্যাপক বিষয়। কেননা, এগুলো হলো সৎ ও মহৎ আমল। তাই এ আমলগুলোর ছওয়াব ও প্রতিদান মৃত ব্যক্তির কাছে পৌঁছাবে। যেমন— ছাদাক্বা, ছিয়াম এবং ফরয হজ্জ...’।[12]

অতঃপর ইমাম ইবনু কুদামাহ রহিমাহুল্লাহ তাদের কথা প্রত্যাখান করেছেন, যারা বলেন, মৃত ব্যক্তির কাছে ওয়াজিব আমলগুলো, দান-ছাদাক্বা, দু‘আ, ক্ষমা চাওয়া ছাড়া অন্য কিছুই পৌঁছে না। তারপর তিনি বর্ণনা করেন, মুসলিমরা অস্বীকার করা ছাড়াই মৃতদের ছওয়াব হাদিয়া (উপহার) দেয়। কেননা, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে ছহীহ হাদীছে এসেছে, إِنَّ الْمَيِّتَ لَيُعَذَّبُ بِبُكَاءِ أَهْلِهِ عَلَيْهِ ‘নিশ্চয়ই মৃত ব্যক্তিকে তার পরিবারের ক্রন্দনের (বিলাপের) কারণে শাস্তি দেওয়া হয়’।[13] আল্লাহ হলেন মৃতদের নিকটে পাপের শাস্তি পৌঁছাতে এবং ছওয়াব হতে বঞ্চিত করতে ক্ষমতাবান। মুসলিমরা যে ছওয়াবগুলো হাদিয়া (উপহার) দেয়, সেগুলো তিনি মৃতদের নিকটে পৌঁছিয়ে দেন। আর যে ছওয়াবগুলো তাদের কাছে পৌঁছাতে বাধা দেয়, সেগুলোও পৌঁছাতে তিনি ক্ষমতাবান। وَأَنْ لَيْسَ لِلْإِنْسَانِ إِلَّا مَا سَعَى ‘আর মানুষ তাই পায়, যা সে করে’ (আন-নাজম, ৫৩/৩৯)। উক্ত আয়াতটি তারা যা দেয়, তার সাথে বিশেষিত। এ বিষয়ে এ অর্থে আমরা মতানৈক্য করি না, বরং আমরা অনুমান করে থাকি’।[14]

তিনি আরও বলেন, মৃতদের নিকট ছওয়াব না পৌঁছানোর ব্যাপারে তারা যে হাদীছগুলোর প্রমাণ দিয়ে থাকে, সেগুলো তাদের প্রমাণ নয়। যেমন,إِذَا مَاتَ الإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلاَّ مِنْ ثَلاَثَةٍ إِلاَّ مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ ‘যখন কোনো মানুষ মৃত্যুবরণ করে, তখন তিনটি আমল ছাড়া (তার নিকট) সকল প্রকার আমলের ছওয়াব যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ছাদাক্বা জারিয়া এমন জ্ঞান রেখে যাওয়া যার দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় ও এমন সৎ সন্তান যে তার জন্য দু‘আ করবে’।[15] এ হাদীছটি মৃত ব্যক্তির আমল বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রমাণ করে। কিন্তু যে আমলগুলো তাদের হাদিয়া (উপহার) দেওয়া হয়, সেগুলো তাদের আমলের অন্তর্ভুক্ত নয়। তাই ‘মৃতদের নিকটে ছওয়াব পৌঁছাবে না’ প্রমাণিত হয় না...’।[16]

(চলবে)


মূল : ড. সাঈদ ইবনু আলী ইবনু ওয়াহাফ আল-ক্বাহত্বানী রহিমাহুল্লাহ

অনুবাদ : হাফীযুর রহমান বিন দিলজার হোসাইন

নারায়ণপুর, নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর।


[1]. موجبين : মাজমাঊয যাওয়ায়েদ, ৪/২২-এ موجوءين রয়েছে।

[2]. المدية-এর শাব্দিক অর্থ : বড় ছুরি। এটাই প্রসিদ্ধ রয়েছে’; দেখুন : আন-নিহায়া ফী গারীবিল হাদীছ ওয়াল আছার, ২/৯৭১, মূল অক্ষর ‘سكن’।

[3]. মুসনাদে আহমাদ, ৬/৮, ৬/৩৯১; আলবানী, ইরওয়াউল গালীল, হা/১১৪৭-এ হাদীছটিকে ছহীহ বলেছেন।

[4]. ছহীহ মুসলিম, ‘জানাযা’ অধ্যায়, ‘মৃত ব্যক্তির দৃষ্টি বন্ধ করা এবং মৃত্যু উপস্থিত হলে তার জন্য দু‘আ করা’ অনুচ্ছেদ, হা/৯২০।

[5]. ছহীহ মুসলিম, ‘জানাযা’ অধ্যায়, ‘জানাযার ছালাতে মৃত ব্যক্তির জন্য দু‘আ করা’ অনুচ্ছেদ, হা/৯৬৩।

[6]. ইবনু কুদামাহ, আল-মুগনী, ৩/৫২১।

[7]. ছহীহ বুখারী, ‘জানাযা’ অধ্যায়, ‘হঠাৎ মৃত্যু’ অনুচ্ছেদ, হা/১৩৮৮; ছহীহ মুসলিম, ‘যাকাত’ অধ্যায়, ‘মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে দান করে তার জন্য ছওয়াব পৌঁছানো’ অনুচ্ছেদ, হা/১০০৪; আবূ দাঊদ, হা/২৮৮২।

[8]. ছহীহ বুখারী, হা/২৭৫৬; আবূ দাঊদ, হা/২৮৮২, আলোচনা অতিবাহিত হয়েছে।

[9]. ছহীহ বুখারী, হা/১৮৫৪; ছহীহ মুসলিম, হা/১৩৩৪, আলোচনা অতিবাহিত হয়েছে।

[10]. ছহীহ বুখারী, ‘ছিয়াম’ অধ্যায়, ‘ছিয়ামের ক্বাযা রেখে যিনি মারা যান’ অনুচ্ছেদ, হা/১৯৫৩; ছহীহ মুসলিম, ‘ছিয়াম’ অধ্যায়, ‘মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে ছিয়াম পালন করা’ অনুচ্ছেদ, হা/১১৪৮, আলোচনা অতিবাহিত হয়েছে।

[11]. আবূ দাঊদ, ‘অছিয়ত’ অধ্যায়, ‘মৃত কাফেরের অছিয়ত পূর্ণ করা মুসলিম ওলীর জন্য অত্যাবশ্যাক কি না’ অনুচ্ছেদ, হা/২৮৮৩; আলবানী রহিমাহুল্লাহ সিলসিলা ছহীহা, হা/৩১৬১-তে হাদীছটিকে হাসান বলেছেন।

[12]. ইবনু কুদামাহ, আল-মুগনী, ৩/৫২১, ৫২২; শারহুল কাবীর, ৬/২৫৭,২৬৫; আল-কাফী, ২/৮২।

[13]. ছহীহ বুখারী, ‘জানায’ অধ্যায়, ‘রোগাক্রান্ত ব্যক্তির নিকট কান্নাকাটি করা’ অনুচ্ছেদ, হা/১৩০৪; ছহীহ মুসলিম, ‘জানাযা’ অধ্যায়, ‘মৃতের নিকট কান্নাকাটি করা’ অনুচ্ছেদ, হা/৯২৪।

[14]. ইবনু কুদামাহ, আল-মুগনী, ৩/৫২২ (সংক্ষেপিত)।

[15]. ছহীহ মুসলিম, ‘অছিয়ত’ অধ্যায়, ‘মানুষের মৃত্যুর পর যে সকল আমলের ছওয়াব তার কাছে পৌঁছে’ অনুচ্ছেদ, হা/১৬৩১; মিশকাত, হা/২০৩।

[16]. আল-মুগনী, ৩/৫২১, ৫২২; শারহুল কাবীর, ৬/২৫৭, ২৬৫; আল-কাফী, ২/৮২; ছহীহ মুসলিম, হা/১৬৩১, অলোচনা অতিবাহিত হয়েছে।

Magazine