কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৩৩) : কুরবানীর গোশত সমানভাবে তিন ভাগে ভাগ করা কি জরুরী?কুরআন-হাদীছের আলোকে জানিয়ে বাধিত করবেন।

উত্তর : কুরবানীর গোশত সমানভাবে তিন ভাগে ভাগ করার বিষয়টি ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত নয়। বরং তা নিজে খাবে এবং আত্মীয়-স্বজন ও ফকীর-মিসকীনকে খাওয়াবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘…তা হতে তোমরা নিজেরা খাও এবং হতদরিদ্রদের খাওয়াও’ (আল-হজ্জ, ২২/২৮)। অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘…তোমরা তা থেকে খাও এবং মিসকীন ও ফক্বীরকে খাওয়াও’ (আল-হজ্জ, ২২/৩৬)। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথমদিকে তিন দিনের বেশি কুরবানীর গোশত জমা রাখতে নিষেধ করেছিলেন। পরবর্তীতে জমা রাখার অনুমতি দেওয়া হলে ছাহাবীগণ বললেন, আপনি তো তিন দিনের বেশি কুরবানীর গোশত খেতে নিষেধ করেছিলেন? তখন রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘গ্রাম থেকে অনেক অভাবী লোক আসার কারণে আমি সেই বছরে নিষেধ করেছিলাম। এখন যেহেতু সেই পরিস্থিতি নেই, অতএব তোমরা খাও, জমা রাখ এবং দান করো’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৯৭১)। পূর্বোক্ত আয়াতদ্বয়ে নিজে খাওয়া এবং দুই শ্রেণির মানুষকে খাওয়ানোর কথা বলা হয়েছে। আর হাদীছে পরিস্থিতি অনুযায়ী দান করতে বলা হয়েছে। অতএব, এলাকায় অভাবী লোকের সংখ্যা বেশি হলে নিজে খাওয়ার তুলনায় দান করতে হবে বেশি। আর অভাবীর সংখ্যা কম হলে নিজের ইচ্ছামতো খাওয়া বা দান করা যেতে পারে। তবে তিন ভাগ না করলে মানুষ গোনাহগার হবে বিষয়টি এমন নয়।

প্রশ্নকারী : মিলন হুসাইন

রহিমানপুর, ঠাকুরগাঁও।

Magazine