উত্তর: স্ত্রী-সন্তানের যাবতীয় ভরণপোষণের দায়িত্ব হলো স্বামীর। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পিতার উপর দায়িত্ব হলো ভালোভাবে তাদের অন্নবস্ত্রের ব্যবস্থা করা’ (আল-বাকারা, ২/২৩৩)। এমনকি রাজঈ তালাকপ্রাপ্তা মহিলাদের ক্ষেত্রে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী যেখানে তোমরা বসবাস কর সেখানে তাদেরকেও বাস করতে দাও’ (আত-ত্বালাক, ৬৫/৬)। সুতরাং স্ত্রী থাকাকালীন অবস্থায় তার যাবতীয় দেখাশুনার দায়িত্ব স্বামীর। স্ত্রী যদি স্বামীর অবাধ্য হয়, তাহলে তার করণীয় কী সে ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যদি নারীদের অবাধ্যতার আশঙ্কা হয়, তাহলে তাদেরকে সদুপদেশ দাও, তাদেরকে শয্যা হতে পৃথক করো এবং তাদেরকে (হালকা) প্রহার করো; এরপর যদি তারা তোমাদের আনুগত্য করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমুন্নত মহান। আর যদি তোমরা তাদের উভয়ের মধ্যে বিচ্ছেদের আশঙ্কা কর তাহলে স্বামীর পরিবার থেকে একজন বিচারক এবং স্ত্রীর পরিবার থেকে একজন বিচারক পাঠাও। যদি তারা মীমাংসা চায়, তাহলে আল্লাহ উভয়ের মধ্যে মিল করে দিবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞানী, সম্যক অবগত’ (আন-নিসা, ৪/৩৪-৩৫)। এসমস্ত পথ অবলম্বনের পরও যদি সমাধান না হয়, তাহলে স্বামী চাইলে স্ত্রীকে তালাক দিতে পারে। কিন্তু স্ত্রী থাকাকালীন স্ত্রী-সন্তানের ভরণপোষণ স্বামীকেই দিতে হবে।
প্রশ্নকারী : আব্দুল আজিজ
দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত।