উত্তর : না, তাতে যোগ দেওয়া যাবে না। কেননা তা‘যিয়া অর্থ বিপদে সান্ত্বনা দেওয়া। অথচ সেটা বর্তমানে শাহাদাতে হুসাইন-এর শোক মিছিল হিসাবে রূপ নিয়েছে। তাছাড়া ইসলামে কারো মৃত্যুতে তিন দিনের অধিক শোক পালন করা নিষেধ। আবদুল্লাহ ইবনু জা‘ফর রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জা‘ফরের সন্তানদেরকে (জা‘ফর রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর শাহাদাতের জন্য) শোক প্রকাশের তিন দিন সময় দিলেন। অতঃপর তিনি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের কাছে এলেন এবং বললেন, ‘আজকের পর হতে তোমরা আর আমার ভাইয়ের জন্য কান্নাকাটি করবে না’ (আবূ দাঊদ, হা/৪১৯২; নাসাঈ, হা/৫২২৭; মিশকাত, হা/৪৪৬৩)। কিন্তু বাগদাদের গোঁড়া শীআ আমীর ‘মুইযযুদ্দৌলা’ ৩৫২ হিজরীর ১০ই মুহাররমকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেন এবং শহর ও গ্রামের সকলকে তা‘যিয়া মিছিলে যোগদানের নির্দেশ দেন। সেদিন থেকেই এই বিদআতী প্রথা চালু হয়েছে। প্রত্যেক আল্লাহভীরু মুসলিমের এসব বিদআত হতে দূরে থাকা আবশ্যক। কেননা বিদআতীর আমল কবুল হয় না এবং তার পরিণাম জাহান্নাম। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, مَنْ عَمِلَ عَمَلاً لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا فَهُوَ رَدٌّ ‘যে ব্যক্তি এমন কোনো আমল করল, যার ব্যাপারে আমাদের কোনো নির্দেশনা নেই, তা প্রত্যাখ্যাত’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৭১৮; ছহীহ বুখারী, হা/২৬৯৭)। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন, ‘তোমরা দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু আবিষ্কার করা হতে বিরত থাকো। কেননা প্রত্যেক নতুন বিষয়ই বিদআত। আর প্রত্যেক বিদআতই গোমরাহী (আহমাদ, হা/১৬৬৯৪; আবূ দাঊদ হা/৪৬০৭; তিরমিযী, হা/২৬৭৬, ইবনু মাজাহ, হা/৪২, মিশকাত, হা/১৬৫)। নাসাঈর এক বর্ণনায় এসেছে, ‘প্রত্যেক গোমরাহীর পরিণাম জাহান্নাম’ (নাসাঈ, হা/১৫৭৮)।
প্রশ্নকারী : হারুনুর রশীদ
কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ।