উত্তর: ইয়াতীমদের যা দেওয়া হয় তা সাধারণত যাকাত কিংবা ছাদাক্বা হয়ে থাকে। যা সামর্থবান ব্যক্তি ভোগ করতে পারবে না। এ মর্মে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় যারা ইয়াতীমদের মাল অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করে, তারা তো নিজেদের পেটে কেবল অগ্নিই ভক্ষণ করে, তারা শীঘ্রই জ্বলন্ত আগুনে জ্বলবে’ (আন-নিসা, ৪/১০)। তবে ইয়াতীমদের যারা শিক্ষক কিংবা দেখাশুনার দায়িত্বে থাকে তারা ক্ষেতে পারে। কেননা ইয়াতীমদের জন্য তা ছাদাক্বা হলেও শিক্ষকগণের জন্য তা হাদিয়া। ‘আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বারীরা নাম্নী দাসীকে আযাদ করার উদ্দেশ্যে কিনতে চাইল। তার মালিকরা বারীরার ‘ওয়ালা’ (অভিভাবকত্বের অধিকার)-এর শর্তারোপ করতে চাইল। ‘আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা (বিষয়টি সম্পর্কে) নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে উল্লেখ করলেন। নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন, তুমি তাকে ক্রয় কর। কারণ যে (তাকে) আযাদ করবে ‘‘ওয়ালা’ (অভিভাবকত্ব) তারই। ‘আয়েশা রযিয়াল্লাহু আনহা বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে একটু গোশত হাযির করা হলো। আমি বললাম, এটা বারীরাকে ছাদাক্বাস্বরূপ দেয়া হয়েছে। নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘এটা বারীরার জন্য ছাদাক্বা, আর আমাদের জন্য হাদিয়া (উপহার)’ (ছহীহ বুখারী, হা/৪৯৮০; ছহীহ মুসলিম, হা/১০৭৫)।
প্রশ্নকারী : সিয়াম
আক্কেলপুর, জয়পুরহাট।