উত্তর: পিতা-মাতার ন্যায় শ্বশুর-শাশুড়ির যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করা আব্যশক নয়। তবে হক্বদার হলে জামাই তাদেরকে দান-ছাদাকা করতে পারে। বরং তাদেরকেই আগে দেওয়া উচিত। ইবনু মাসঊদ রাযিয়াল্লাহু আনহুমা-এর স্ত্রী রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বললেন, হে আল্লাহর নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আজ আপনি ছাদাকা করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমার অলংকার আছে, আমি তা ছাদাকা করার ইচ্ছা করেছি। ইবনু মাসঊদ রাযিয়াল্লাহু আনহুমা মনে করেন, আমার এ ছাদাকায় তার এবং তার সন্তানদেরই হক্ব বেশি। তখন আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘ইবনু মাসঊদ ঠিক বলেছে। তোমার স্বামী ও সন্তানই তোমার এ ছাদাকার অধিক হক্বদার’ (ছহীহ বুখারী, হা/১৪৬২)। নিকটাত্মীয়দের দান করলে দ্বিগুণ ছওয়াব পাওয়া যায়। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘গরীবদের দান-খায়রাত করা শুধু দান বলেই গণ্য হয়; কিন্তু আত্মীয়-স্বজনকে দান করলে তা দানও হয় এবং আত্মীয়তাও রক্ষা করা হয়’ (ইবনু মাজাহ, হা/১৮৪৪)।
প্রশ্নকারী : লোকমান হোসাইন
দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত।