কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (২৯) : কেউ যদি এমন পাপ করে যার কারণে ঐ ব্যক্তি সরাসরি হত্যার যোগ্য হয়। এমন ব্যক্তির তওবার সুযোগ আছে কি?

উত্তর : অবশ্যই তওবা করার সুযোগ আছে। আল্লাহ তাআলা খালেছ তওবার মাধ্যমে শিরকের মতো ধ্বংসাত্মক, হত্যার মতো মারাত্মক ও ব্যভিচারের মতো জঘন্য গুনাহকেও ক্ষমা করার ঘোষণা করেছেন (আল-ফুরকান, ২৫/৬৮-৭০)। আল্লাহ তাআলা বলেন, বলুন, হে আমার বান্দাগণ! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ; আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে হতাশ হয়ো না, নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ (আয-যুমার, ৩৯/৫৩)। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, اَلتَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ كَمَنْ لَا ذَنْبَ لَهُ‏ ‘গুনাহ থেকে তওবাকারী নিষ্পাপ ব্যক্তি তুল্য’ (ইবনু মাজাহ, হা/৪২৫০)। তওবা কবুলের জন্য তিনটি শর্ত রয়েছে। যেমন, (১) পাপকে সম্পূর্ণরূপে বর্জন করতে হবে, (২) কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত ও লজ্জিত হতে হবে এবং (৩) ঐ পাপ পুনরায় না করার দৃঢ় সংকল্প করতে হবে। সুতরাং যদি এর মধ্যে একটি শর্তও বিলুপ্ত হয়, তাহলে সেই তওবা বিশুদ্ধ হবে না। পক্ষান্তরে যদি সেই পাপ মানুষের অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত হয়, তাহলে তা কবুলের জন্য আরো একটি শর্ত আছে। তা হলো অধিকারীর অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। যদি অবৈধ পন্থায় কারো মাল বা অন্য কিছু নিয়ে থাকে, সেটাও ফিরিয়ে দিতে হবে’ (রিয়াযুছ ছালিহীন, পৃ. ১৪-২২ ‘তওবা’ অনুচ্ছেদ)। যেহেতু আমাদের দেশে ইসলামী শাসক নেই। তাই হদ্দ (দণ্ড বা শাস্তি) প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে পরকালের শাস্তি থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট একনিষ্ঠভাবে তওবাহ ও ক্ষমাপ্রার্থনা করতে হবে। তাহলে ইনশা-আল্লাহ এমন ব্যক্তিকেও ক্ষমা করবেন।

প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা।


Magazine