[৮শা‘বান, ১৪৪৩ হি. মোতাবেক ১১ মার্চ, ২০২২। পবিত্র হারামে মাক্কীর (কা‘বা) জুমআর খুৎবা প্রদান করেন শায়খড. আব্দুল্লাহ ইবনু আওয়াদ আল-জুহানী হাফিযাহুল্লাহ।উক্ত খুৎবা বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেন আল-জামি‘আহ আস-সালাফিয়্যাহ, ডাঙ্গীপাড়া, রাজশাহীর সম্মানিত সিনিয়র শিক্ষক শায়খ মাহবূবুর রহমান মাদানী। খুৎবাটি ‘মাসিক আল-ইতিছাম’-এর সুধী পাঠকদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হলো।]
প্রথমখুৎবা
সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য, যিনি পরম প্রতাপশালী, বড় দাতা। যিনি বাদশাহদের বাদশাহ, প্রতিপালনকারীদের রব। তিনিই তাঁর বান্দার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করেছেন, যা জ্ঞানসম্পন্ন লোকদের জন্য সঠিক পথের দিশারী ও উপদেশ। আর তিনি তাতে গচ্ছিত রেখেছেন উপকারী জ্ঞান-বিজ্ঞান, অকাট্য প্রমাণাদি, চূড়ান্ত প্রজ্ঞা ও বাগ্মিতা। দরূদ বর্ষিত হোক আমাদের নেতা নবী মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর। যিনি আমাদের নিকট কুরআনুল কারীম, বিভিন্ন নিদর্শনাবলি, ও বিজ্ঞানময় উপদেশ নিয়ে এসেছেন। তিনি আল্লাহর পথে সংগ্রাম করেছেন যেভাবে সংগ্রাম করা উচিত। আর যারা অভিযান চালান, লড়াই করেন ও জিহাদ করেন তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন উত্তম। ক্বিয়ামত পর্যন্ত দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক তাঁর প্রতি, তাঁর পরিবার এবং তাঁর সকল ছাহাবীর প্রতি।
অতঃপর, হে মানুষ সকল! তোমরা আল্লাহ তাআলাকে ভয় করো। কারণ আল্লাহভীরুতাই হলো উত্তম এবং লাভজনক ব্যবসা। আর তোমরা আল্লাহর নাফারমানী করা হতে সতর্ক হও। সে বান্দা ব্যর্থ হয়েছে যে, তার রবের আদেশের ব্যাপারে শৈথিল্য প্রদর্শন করেছে। আর যুলুম বা অবিচারকে ভয় করো। কেননা যুলুম হচ্ছে অপমান, অগ্নি এবং অশ্লীলতা।
হে আল্লাহর বান্দাগণ! আল্লাহ তাআলা মহান উদ্দেশ্য এবং বিরাট প্রজ্ঞা নিয়ে কুরআনুল কারীম অবতীর্ণ করেছেন আর তা হলো সৃষ্টিজীবের সংশোধনের জন্য সৃষ্টিকর্তার পথ ও পন্থা। কুরআন অবতীর্ণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যের মধ্যে আত্মার সংস্কার, হৃদয়ের সংশোধন, মেজাজ সুগঠিতকরণ এবং মানুষকে সরল-সঠিক পথ প্রদর্শন করা। কুরআন মাজীদ নিয়ে চিন্তাশীল ব্যক্তি তাতে পায় তার জীবনের চাওয়া-পাওয়া, মানুষের প্রয়োজন এবং যা তাদেরকে দ্বীন, দুনিয়া ও পরকালে সৌভাগ্যবান করবে তার সবকিছুই। আর কুরআন সবকিছুকেই তার অন্তর্ভুক্ত করেছে। কল্যাণের সকল পথকেই তাদের জন্য বর্ণনা করেছে ও তার পথ দেখিয়েছে। অপর দিকে অকল্যাণের সকল রাস্তা থেকে বাধা দিয়েছে ও সেখান থেকে তাকে হুঁশিয়ার করেছে।
কুরআন মানুষের আক্বীদা, চরিত্র, লেনদেন এবং তাদের সকল বিষয়কে সংশোধন করে এমন সবকিছুকেই অন্তর্ভুক্ত করেছে। কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে জাতিকে তার রবের প্রতি বিশ্বাসী করে গড়ে তোলার জন্য। যাতে তারা যেকোনো পরিস্থিতির সামনে স্থির থাকতে পারে, হক্বের দিকে পথপ্রদর্শন করতে পারে, সত্যের জন্যই তর্ক করে এবং অধিকারের পক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।
আর আল্লাহর আদেশে কুরআন এমন এক জাতি গঠন করেছে যারা নিজেদের মধ্যে সহানুভূতিশীল, কোমল এবং শত্রুদের প্রতি অত্যধিক কঠোরতা অবলম্বনকারী। মহান আল্লাহ বলেন,مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ وَالَّذِينَ مَعَهُ أَشِدَّاءُ عَلَى الْكُفَّارِ رُحَمَاءُ بَيْنَهُمْ تَرَاهُمْ رُكَّعًا سُجَّدًا يَبْتَغُونَ فَضْلًا مِنَ اللَّهِ وَرِضْوَانًا ‘মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল। আর যে সব লোক তাঁর সঙ্গে আছে তারা কাফেরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর, নিজেদের পরস্পরের প্রতি দয়ার্দ্র। তাদেরকে তুমি দেখবে রুকূ ও সিজদায় অবনত অবস্থায়, তারা আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি অনুসন্ধানে নিয়োজিত’ (আল-ফাতহ, ৪৮/২৯)।
উক্ত সম্মানিত জাতি ছিল প্রভুত্বের ক্ষমতার নিদর্শনের মধ্য হতে একটি নিদর্শন। পৃথিবীতে আল্লাহ যা সৃষ্টি করতে চেয়েছেন তাঁর নির্দেশে তা সৃষ্টি হয়েছে, যমীনে আল্লাহ যা চালু করতে চেয়েছেন তা চালু হয়েছে। সেই উম্মত মানবতার জন্য পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র আক্বীদা স্থির করেছে, খাঁটি কল্পনা অঙ্কন ও সঠিক মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে এবং ন্যায়পরায়ণতা, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বাস্তবায়ন করেছে।
আল্লাহর নির্দেশে এখনও কুরআন সক্ষমতা রাখে আমাদের জন্য সেই রকম সম্মানিত জাতির নমুনা বের করে আনতে। তবে এই উম্মতের যুবসমাজের জন্য আবশ্যিক হলো তাদের পূর্ববর্তী নেককার লোকেরা যার উপর চলেছেন সেই পথের উপর চলা। যেমন আল্লাহর প্রতি দৃঢ় ঈমান রাখা, তাঁর উপর ভরসা করা, এককভাবে আল্লাহকে শক্তভাবে ধারণ করা, তাঁর তাক্বদীরের প্রতি বিশ্বাস রাখা, তাঁর ওয়াদা ও ভীতিকে সত্যায়ন করা। আর এটাই ছিল রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তাঁর ছাহাবী এবং সোনালী যুগের লোকদের চরিত্র। ঐ চিত্রটি যদি কোনো মুমিন ব্যক্তির হৃদয়ে স্থির হয়, তাহলে সকল দুর্ঘটনা এবং সমস্ত বিবাদের সামনে সে টিকে থাকবে।
রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইবনু আব্বাস রযিয়াল্লাহু আনহু-কে বলেছিলেন,يَا غُلَامُ إِنِّي أُعَلِّمُكَ كَلِمَاتٍ، احْفَظِ اللَّهَ يَحْفَظْكَ، احْفَظِ اللَّهَ تَجِدْهُ تُجَاهَكَ، إِذَا سَأَلْتَ فَاسْأَلِ اللَّهَ، وَإِذَا اسْتَعَنْتَ فَاسْتَعِنْ بِاللَّهِ، وَاعْلَمْ أَنَّ الأُمَّةَ لَوْ اجْتَمَعَتْ عَلَى أَنْ يَنْفَعُوكَ بِشَيْءٍ لَمْ يَنْفَعُوكَ إِلَّا بِشَيْءٍ قَدْ كَتَبَهُ اللَّهُ لَكَ، وَلَوْ اجْتَمَعُوا عَلَى أَنْ يَضُرُّوكَ بِشَيْءٍ لَمْ يَضُرُّوكَ إِلَّا بِشَيْءٍ قَدْ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَيْكَ، رُفِعَتِ الأَقْلَامُ وَجَفَّتْ الصُّحُفُ ‘হে যুবক! আমি তোমাকে কয়েকটি কথা শিখাব, তুমি আল্লাহর বিধি-বিধান মেনে চলবে তাহলে তিনি তোমাকে রক্ষা করবেন। তুমি আল্লাহর বিধি-বিধান মেনে চলবে তাহলে তাঁকে তোমার সামনেই পাবে। যখন কিছু চাইবে তখন আল্লাহর কাছেই চাইবে। যখন সাহায্য চাইবে তখন আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাইবে। জেনে রেখো! সমস্ত মানুষ যদি তোমার কোনো উপকার করতে চায় তবে আল্লাহ তোমার জন্য যা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন তা ব্যতীত আর কোনো উপকার করতে পারবে না, আর যদি সমস্ত মানুষ তোমার কোনো অনিষ্ট করতে চায় তবে আল্লাহ তোমার জন্য যা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন তা ব্যতীত আর কোনো অনিষ্ট করতে পারবে না। কলম তুলে নেওয়া হয়েছে এবং পৃষ্ঠা শুকিয়ে গেছে’।[1]
হে মুসলিমগণ! সবচেয়ে বড় মাধ্যম, যার মাধ্যমে মুসলিমরা অতীতে, বর্তমানে ও ভবিষ্যতে শক্তিশালী, সম্মানিত হবেন এবং যার আলোকে তারা নিজেদের জীবনের মানহাজ বা কারিকুলাম প্রতিষ্ঠা করবেন তা হলো আল্লাহর কিতাব। আর সম্মান অর্জনের রাস্তাগুলো হলো আল্লাহর কিতাবের খেদমত করা। মহান আল্লাহ কুরআনুল কারীম সংরক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন,إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ ‘নিশ্চয়ই আমিই কুরআন অবতীর্ণ করেছি আর অবশ্যই আমি তার সংরক্ষক’ (আল-হিজর, ১৫/৯)।
যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য। যিনি তাঁর বান্দার উপর তাদের বক্ষসমূহে ও অন্তরসমূহে এবং লেখার মাধ্যমে কুরআন সংরক্ষণ করাকে সহজতর করেছেন। অতঃপর সম্মানিত খত্বীব বলেন, বাদশাহ আব্দুল আযীয রহিমাহুল্লাহ-এর হাতে রাজকীয় সঊদী আরবের প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে বর্তমান বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আযীয হাফিযাহুল্লাহ পর্যন্ত তাদের বড় বড় কাজের মধ্যে অন্যতম একটি কাজ হলো আল্লাহর কিতাবের খেদমতের কাজে ব্যাপক আঞ্জাম দেওয়া। মহান আল্লাহ বলেন,إِنَّهُمْ فِتْيَةٌ آمَنُوا بِرَبِّهِمْ وَزِدْنَاهُمْ هُدًى ‘তারা তাদের প্রতিপালকের উপর ঈমান এনেছিল আর আমি তাদের হেদায়াত বা ঈমান বৃদ্ধি করে দিয়েছিলাম’ (আল-কাহফ, ১৮/১৩)। এরপর খত্বীব সাহেব নিন্মোক্ত আয়াত তেলাওয়াত করে খুৎবা শেষ করেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন,إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ يَهْدِي لِلَّتِي هِيَ أَقْوَمُ وَيُبَشِّرُ الْمُؤْمِنِينَ الَّذِينَ يَعْمَلُونَ الصَّالِحَاتِ أَنَّ لَهُمْ أَجْرًا كَبِيرًا ‘নিশ্চয়ই এ কুরআন সেই পথ দেখায় যা সোজা ও সুপ্রতিষ্ঠিত আর যারা সৎ কাজ করে সেই মুমিনদেরকে সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কার’ (আল-ইসরা, ১৭/০৯)।
দ্বিতীয়খুৎবা
সম্মানিত খত্বীব দ্বিতীয় খুৎবায় আল্লাহর প্রশংসা করার পর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর, তার পরিবার, ছাহাবায়ে কেরাম এবং যারা তার পথে চলে তাদের উপর দরূদ ও সালাম পাঠ করেন। এরপর তিনি বলেন, আনাস রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى يَتَقَارَبَ الزَّمَانُ، فَتَكُونُ السَّنَةُ كَالشَّهْرِ، وَالشَّهْرُ كَالْجُمُعَةِ، وَتَكُونُ الْجُمُعَةُ كَالْيَوْمِ، وَيَكُونُ الْيَوْمُ كَالسَّاعَةِ، وَتَكُونُ السَّاعَةُ كَالضَّرَمَةِ بِالنَّارِ ‘ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ না সময় নিকটবর্তী হবে, একটি বছর হবে একটি মাসের সমান। একটি মাস হবে এক জুমআর সমান। আর জুমআ হবে এক দিনের সমান। আর এক দিন হবে এক ঘণ্টার সমান। আর ঘণ্টা হবে আগুনের একটি শিখা উঠার পরিমাণ সময়’।[2]
উক্ত হাদীছে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ক্বিয়ামতের কিছু আলামত বর্ণনা করেছেন আর তা হলো সময়ের বরকতের স্বল্পতা ও তার থেকে উপকারিতা কম নেওয়া, অধিকাংশ মানুষের ব্যস্ততা হলো দুনিয়ার চাকচিক্য নিয়ে, উপকারিতা নেই এমন কাজে সময় নষ্ট করা। সেজন্য তারা সময় থেকে কোনো উপকার গ্রহণ করতে পারে না, সেটা দুনিয়াবী কাজেও পারে না, দ্বীনের কাজেও না। সম্ভবত এর কারণ হলো নে‘মত ও কল্যাণের ব্যাপকতা এবং আরাম-আয়েশের পরিপূর্ণতা। মানুষের রয়েছে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। তাকে খাওয়া, পান করা, উপভোগ ও খেল-তামাশার জন্য সৃষ্টি করা হয়নি। বরং খানা ও পানি গ্রহণ করা হয় আল্লাহর আনুগত্যে শক্তি যোগানোর জন্য। হে মুসলিম ভ্রাতৃমণ্ডলী! আল্লাহকে ভয় করুন এবং তাঁর দেওয়া নে‘মতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। অতঃপর সম্মানিত খত্বীব নিম্নোক্ত আয়াত ও হাদীছ পাঠ করেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন,إِنَّ اللَّهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى النَّبِيِّ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا صَلُّوا عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا تَسْلِيمًا ‘নিশ্চয় আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতামণ্ডলী নবীর উপর দরূদ (রহমত) প্রেরণ করেন। (অতএব) হে ঈমানদারগণ! তোমরাও তাঁর উপর দরূদ ও সালাম পেশ করো’ (আল-আহযাব, ৩৩/৫৬)।
রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,مَنْ ذُكِرْتُ عِنْدَهُ فَلْيُصَلِّ عَلَيَّ؛ فَإِنَّهُ مَنْ صَلَّى عَلَيَّ مَرَّةً صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ عَشْرًا ‘যার নিকট আমার নাম উচ্চারণ করা হয় সে যেন আমার উপর দরূদ পড়ে, কেননা যে আমার উপর একবার দরূদ পড়বে, আল্লাহ তার উপর ১০ বার রহমত বর্ষণ করবেন’।[3]
পরিশেষে, সম্মানিত খত্বীব চার খলীফার জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করেন। অতঃপর বৃষ্টির জন্য এবং সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য আল্লাহর নিকট শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে নিম্নের আয়াত পাঠ করে খুৎবা শেষ করেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন,إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُ بِالْعَدْلِ وَالْإِحْسَانِ وَإِيتَاءِ ذِي الْقُرْبَى وَيَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ وَالْبَغْيِ يَعِظُكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ ‘নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ ও আত্মীয়স্বজনকে দানের নির্দেশ দেন এবং তিনি নিষেধ করেন অশ্লীলতা, অসৎকাজ ও সীমালঙ্ঘন করা থেকে; তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দেন যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর’ (আন-নাহল, ১৬/৯০)।
অনুবাদ : মাহবুবুর রহমান মাদানী
[1]. তিরমিযী, হা/২৬১৬, হাদীছ ছহীহ।
[2]. তিরমিযী, হা/২৩৩২; মিশকাত, হা/৫৪৪৮, হাদীছ ছহীহ।
[3]. আল-মু‘জামুল আওসাত্ব, হা/৪৯৪৮।