উত্তর : প্রথমে উচ্চস্বরে তাকবীর পরে আস্তাগফিরুল্লাহ মর্মে বর্ণিত হাদীছ স্পষ্ট। ভারত উপমহাদেশের প্রায় সকল আহলে হাদীছ আলেম এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন (মিরকাতুল মাফাতীহ, ৩/৩১৪)। ইবনু আব্বাস রযিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ছালাত শেষ হওয়া বুঝতে পারতাম তাকবীর শ্রবণের মাধ্যমে (ছহীহ বুখারী, হা/৮৪২)। এই হাদীছের উপর ইমাম আবূ দাউদ ও ইমাম ইবনু খুজায়মা রহিমাহুল্লাহ ছালাতের পর তাকবীর নামে অধ্যায় রচনা করেছেন (আবু দাউদ, হা/১০০২; ছহীহ ইবনু খুজায়মা, হা/১৭০৬)। আর ইমাম বুখারী রহিমাহুল্লাহ ‘ছালাতের পর যিকির’ নামে অধ্যায় রচনা করেছেন। ইমাম বুখারী রহিমাহুল্লাহ উক্ত অধ্যায় দিয়ে বুঝাতে চেয়েছেন অন্য হাদীছে যেখানে ছালাতের পর যিকিরের কথা এসেছে সেই যিকিরের প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে তাকবীর। যেমন ঈদায়নের ক্ষেত্রে যিকিরের কথা বলা হয়েছে আর ঈদায়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যিকির হচ্ছে তাকবীর। ইমাম ইবনু রজব হাম্বলী রহিমাহুল্লাহ ছালাফদের থেকে ছালাতের পর তাকবীর বলার কিছু আমলও পেশ করেছেন (ইবনু রজব, ফাতহুল বারী, ৭/৩৯৬)। সুতরাং দলীলের আলোকে ছালাতের পর তাকবীর বলাই উত্তম। তবে এ ব্যাপারে পরস্পরে বাড়াবাড়ি হতে বিরত থাকাই শ্রেয় হবে। আর আল্লাহই অধিক অবগত।
প্রশ্নকারী : ছিয়াম
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ৪২ ওয়ার্ড, বেরাইদ।