কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (১৯) : কী কী কারণে মসজিদ স্থানান্তর করা যায়?

উত্তর : মসজিদ স্থানান্তর করার কারণগুলোর মধ্যে- ১. মসজিদে মুছল্লীদের জায়গা সংকুলান না হলে ২. পার্শ্বে মসজিদ সম্প্রসারণের সুযোগ না থাকলে ৩. মসজিদে যাওয়ার মতো উপযুক্ত রাস্তা না থাকলে ৪. দাতার পক্ষ হতে মসজিদ ওয়াক্বফ করার বিষয়টি স্পষ্ট না হলে ৫. মসজিদ বা মসজিদের আসবাবপত্র নিরাপদে না থাকলে ৬. কোনো এলাকার সকল মানুষ এলাকা ছেড়ে চলে গেলে। সাথে সাথে মসজিদের আসবাবপত্র বিক্রয় করে বিক্রয়লব্ধ অর্থ নতুন মসজিদে ব্যয় করাও শরীআতসম্মত। মসজিদের মুতাওয়াল্লী বা কমিটি উক্ত মসজিদের স্থান বিক্রয় করে তার অর্থ দিয়ে অন্য স্থানে জমি ক্রয় করে অথবা কেউ দান করলে সেখানে নতুন মসজিদ নির্মাণ করতে পারেন। উমার রযিয়াল্লাহু আনহু-এর যুগে কূফার শাসক ছিলেন ছাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রযিয়াল্লাহু আনহু। একদা মসজিদ হতে বায়তুল মালের অর্থ চুরি হলে সে ঘটনা উমার রযিয়াল্লাহু আনহু-কে জানানো হয়, তখন তিনি মসজিদ স্থানান্তর করার নির্দেশ দেন এবং মসজিদ স্থানান্তর করা হয়। পরে পরিত্যক্ত মসজিদের স্থানটি খেজুর বিক্রেতাদের স্থানে পরিণত হয়’ (ইবনু তায়মিয়্যা, মাজমূ‘ ফাতাওয়া, ৩১/২১৬-২১৭)।

উল্লেখ্য ‘ওয়াক্বফের সম্পত্তি বিক্রি করা যাবে না এবং কাউকে হেবা করাও যাবে না’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটির ব্যাপারে কতিপয় আলেম বলে থাকেন যে, যেহেতু মসজিদের সম্পত্তি ওয়াক্বফকৃত, তাই তাকে পরিবর্তন করা যাবে না। ইমাম ইবনু তায়মিয়্যা রহিমাহুল্লাহ এ কথার উত্তরে বলেন, ওয়াক্বফের সম্পত্তি বিক্রি করে তার চেয়ে উন্নতমানের সম্পত্তি ক্রয় করলে ওয়াক্বফকে নষ্ট করা হয় না বা পরিবর্তন করাও হয় না। যেমনটি উমার রযিয়াল্লাহু আনহু করেছেন। তাছাড়া একটি ঘোড়া যা জিহাদের জন্য ওয়াক্বফ করা হয়েছে, সেটি বৃদ্ধাবস্থায় বিক্রি করে তার চেয়ে উন্নতমানের ঘোড়া ক্রয় করে জিহাদের জন্য রেখে দেওয়াতে ওয়াক্বফের কোনো পরিবর্তন হয় না; বরং আরও ভালো হয় (ইবনু তায়মিয়্যা, মাজমূ‘ ফাতাওয়া, ৩১/২১৪)।

প্রশ্নকারী : এবি এম ফাহিম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।


Magazine