কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৩৮) : হাদীছে রয়েছে, কুকুর পালন করলে প্রতিদিন ১ ক্বেরাত ছওয়াব কমে যায়। আমার স্ত্রী একটি কুকুরের বাচ্চাকে নিয়মিত খাবার দিত। এই সুবাদে আমিও দিতাম। এখন কুকুরটি বড় হয়েছে এবং আমার বাড়ি ছাড়ছে না। এতে কি আমার ছওয়াব কমে যাবে এবং গুনাহ হবে? যদি হয় তাহলে এক্ষেত্রে আমার করনীয় কী?

উত্তর: যে কোনোভাবেই হোক কুকুরটিকে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। কেননা, বিনা প্রয়োজনে শখের বশে কুকুর পালন করা যাবে না। করলে বাড়িতে রহমতের ফেরেশতা আসবে না ও প্রতিদিন নিজের নেকী থেকে এক ক্বেরাত নেকী কমে যাবে। তবে বাহিরে থাকা ক্ষুধার্ত কুকুরকে খাবার প্রদান করা যাবে। আবূ ত্বালহা রযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ‘যে ঘরে কুকুর ও প্রাণির ছবি থাকে তাতে ফেরেশতা প্রবেশ করে না’ (ছহীহ বুখারী, হা/৩২২৫; ছহীহ মুসলিম, হা/২১০৬)। তবে সস্যক্ষেত ও শিকারের জন্য যদি কুকুরটি লালনপালন করা হয় তাহলে তাতে সমস্যা নেই। আব্দুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি শিকার করা, গবাদী পশু দেখাশুনা ও ক্ষেত-খামার দেখাশুনা করা ব্যতীত কুকুর পালন করবে, তার নেকী থেকে প্রতিদিন এক কেরাত নেকী কমে যাবে (ছহীহ মুসলিম, হা/১৫৭৫)।

প্রশ্নকারী : হাবিবুর রহমান শিমুল

রায়পুর, লক্ষীপুর।


Magazine