কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৪৭) : আমাদেরকে (আহলেহাদীছদের) অন্যান্য লোকেরা ইয়াহুদীদের দালাল বলে, তখন আমারখুব কান্না পাই, আমার সান্ত্বনা কী?

উত্তরএকজন মুসলিমের উচিত হবে কোনো মুসলিম ভাইকে বিদ্রুপ করা কিংবা মন্দ নামে ‍ডাকা হতে বিরত থাকা। কারণ তা একটি গর্হিত কাজ। যা কখনো মুমিনের কাজ হতে পারে না। কেউ যদি কোনো মুসলিমকে কাফের কিংবা ইহুদি-খ্রিস্টান বলে সম্বোধন করে তাহলে, সে গালি উল্টা তার উপর কার্যকর হবে। ইবনু উমার রযিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কেউ তার ভাইকে কাফের বলে সম্মোধন করলে উভয়ের একজন কাফের হয়ে যাবে। যাকে কাফের বলা হয়েছে সে কাফের হলে তো হলই নতুবা কথাটি বক্তার উপরই ফিরে আসবে’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৬০; ছহীহ ইবনু হিব্বান, হা/২৪৪২)। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! কোন সম্প্রদায় যেন অন্য সম্প্রদায়কে ঠাট্টা-বিদ্রুপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রুপকারীদের চেয়ে উত্তম। মহান আল্লাহ বলেন, ‘…তোমরা একে অন্যের নিন্দা করো না, একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না। ঈমান গ্রহণের পর মন্দ নাম কতই না মন্দ! যারা তওবা না করে তারাই যালেম’ (আল-হুযরাত, ৪৯/১১)। অত্র আয়াতে প্রমাণিত হয় যে, কাউকে মন্দ নামে ডাকা যাবে না। অতএব এ ক্ষেত্রে আপনার উচিত হবে ধৈর্য্য ধারণ করা এবং সফলতা ও গুনাহ মাফের আশা করা। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মুসলিম ব্যক্তির উপর যে কষ্ট-ক্লেশ, রোগ-ব্যধি, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা, কষ্ট ও পেরেশানী আসে, এমনকি যে কাঁটা তার দেহে ফুটে, এ সবের মাধ্যমে আল্লাহ তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৬৪১; মিশকাত, হা/১৫৩৭)। এছাড়াও রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘জেনে রেখো! তোমার অপছন্দনীয় বিষয়ের প্রতি ধৈর্য ধারণ করাতে রয়েছে অনেক কল্যাণ। আর ধৈর্য্যর সাথেই রয়েছে বিজয়’ (মুসনাদে আহমাদ, ৫/১৯)।

প্রশ্নকারী : মো. মহিদুল ইসলাম

বিসমিল্লাহ গোট ফার্ম, যশোর।


Magazine