কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৫):অনেকেই বাংলাদেশের সালাফী আলেমদেরকে ‘মাদখালি’, ‘পেট্রো ডলারের গোলাম’ বা ‘সঊদী আরবের দালাল’ বলে কটূক্তি করে। এ ধরনের বক্তব্যের মোকাবেলায় আমাদের প্রতিক্রিয়া কী হওয়া উচিত? এবং এমন আচরণের পরিণতি সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি কী?

উত্তর: হক্বপন্থী ও তাওহীদপন্থী আলেমদের যুগে যুগে এরকম বিভিন্ন ট্যাগ লাগিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা আগেও হয়েছে, এখনও হচ্ছে আর আগামীতেও হবে। এমনকি রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বিভিন্ন সময় পাগল, গণক, যাদুকর, কবি ইত্যাদি বলে ট্যাগিং করা হয়েছে। একজন আলেম বা মুসলিমকে অপর কোনো মুসলিম কটূক্তি করতে পারবে না, এটা সালাফী মানহাজের বিরোধী। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘দুর্ভোগ প্রত্যেকের, যে পিছনে ও সামনে লোকের নিন্দা করে’ (আল-হুমাযা, ১০৪/১)। এভাবে ট্যাগিং করে আলেমদেরকে ও দ্বীনী দাওয়াতকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ইসলামী শিষ্টাচার বহির্ভূত হারাম কাজ। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘এক মুসলিম অন্য মুসলিমকে খুন করা, তার মাল গ্রাস করা এবং সম্মানে আঘাত দেওয়া হারাম’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২৫৬৪)। আমাদের করণীয় হচ্ছে উত্তম পন্থায় সংশোধনের জন্য তাদেরকে উত্তম জবাব দেওয়া। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তুমি তোমার রবের পথে হিকমত ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে আহ্বান করো এবং সুন্দরতম পন্থায় তাদের সাথে বিতর্ক করো’ (আন-নাহল, ১৬/১২৫)। যদি তাদের বুঝাতে ব্যর্থ হন, সেক্ষেত্রে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য তর্ক পরিহার করবেন। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আমি সে ব্যক্তির জন্য জান্নাতের মধ্যবর্তী ঘরের যিম্মাদার, যে হক্বের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকা সত্ত্বেও ঝগড়া পরিহার করে’ (আবূ দাঊদ, হা/৪৮০০, হাসান)।

প্রশ্নকারী : রাজু আহমেদ

নোয়াখালী।


Magazine