কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৩৪) : একটু বিনোদনের জন্য বাদ্যযন্ত্রের পরিবর্তে নাক-মুখ দ্বারা মিউজিক তৈরি করা কি জায়েয?

উত্তর: সকল প্রকারের মিউজিক হারাম। হোক না তা ঢোল-তবলা, হারমনিয়াম, পিয়ানো কিংবা হাত-মুখ ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রতঙ্গের মাধ্যমে। কেননা এসব কুরআনে বর্ণিত ‘লাহওয়াল হাদীছ’ তথা অনর্থক কথা-বার্তা যা স্পষ্ট হারাম। মহান আল্লাহ বলেন, ‘কতক মানুষ আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করার উদ্দেশ্যে অজ্ঞতাবশত অবান্তর কথাবার্তা (গান-বাজনা) ক্রয় করে আর আল্লাহর প্রদর্শিত পথ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। ওদের জন্যই আছে অবমাননাকর শাস্তি (লুক্বমান, ৩১/৬)। আবূ মালেক আল-আশ’আরী c হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ a-কে বলতে শুনেছি, আমার উম্মতের মধ্যে কতিপয় সম্প্রদায় জন্মাবে যারা রেশমি কাতান এবং রেশমি কাপড় ব্যবহার করা, মদ্যপান করা এবং গান-বাদ্য করাকে বৈধ মনে করবে। আর অনেক সম্প্রদায় এমনও হবে যারা পর্বতের পাদদেশে বসবাস করবে। সন্ধ্যায় যখন তারা পশুপাল নিয়ে বাড়ি-ঘরে প্রস্থান করবে (এমনি সময় তাদের নিকট কোন লোক তার প্রয়োজন নিয়ে আসলে তারা বলবে), আগামীকাল সকালে আমাদের কাছে এসো, কিন্তু রাতের আঁধারেই আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করে দেবেন এবং পর্বতটিকে (তাদের ওপর) ধসিয়ে দেবেন। আর কারো কারো আকৃতিকে বানর ও শূকরে পরিবর্তিত করে দেবেন (ছহীহ বুখারী, হা/৫২৬৮)। আব্দুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস h হতে বর্ণিত, a বলেছেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা মদপান করা, জুয়া খেলা এবং ঢোল বাজানো হারাম করেছেন এবং বলেছেন, ‘প্রত্যেক নেশা সৃষ্টিকারী বস্তু হারাম’ (মুসনাদে আহমাদ, হা/২৬২৫; আবূ দাউদ, হা/৩৬৮৫)।

 প্রশ্নকারী : নাঈম

কাহালু, বগুড়া।

Magazine