উত্তর : রূপচর্চা মানুষের সহজাত ব্যাপার। ইসলাম এক্ষেত্রে বাধা প্রদান করে না। শুধু কিছু মূলনীতি বা শর্ত দিয়েছে। সেগুলো মেনে রূপচর্চা করাতে কোনো অসুবিধা নেই। ১. পুরুষের প্রসাধনী হবে রংমুক্ত ও ঘ্রাণযুক্ত। আর নারীর প্রসাধনী হবে রংযুক্ত ও ঘ্রাণমুক্ত (তিরমিযী, হা/২৭৮৭)। ২. যার মাধ্যমে সৃষ্টির আকৃতির পরিবর্তন হবে না। যেমন : ভ্রু প্লাক করা, দাঁত সরু করা, উল্কি আঁকা, নিজেকে লম্বা দেখানোর উদ্দেশ্যে উঁচু সেন্ডেল পরা ইত্যাদি (আন-নিসা, ৪/১১৯; ছহীহ বুখারী, হা/৫৯৩১; ছহীহ মুসলিম, হা/২১২৫)। ৩. রূপচর্চা করে গায়রে মাহরামের সামনে যাবে না (নাসাঈ, হা/৫১২৬)। ৪. নারী-পুরুষ একে অন্যের বেশ ধারণ করবে না (ছহীহ বুখারী, হা/৫৮৮৫)। ৫. অমুসলিম ও বেহায়া নারীদের অনুকরণ করবে না (আবূ দাঊদ, হা/৪০৩১)। ৬. উক্ত প্রসাধনীতে ত্বক কিংবা স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি না হওয়া (আল-বাকারা, ২/১৯৫)। ফর্সাকারী ক্রীম ব্যবহারে যেহেতু আকৃতির মৌলিক পরিবর্তন হয় না, বরং তা স্বাভাবিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির অংশ, তাই তা ব্যবহারে শারঈ কোনো অসুবিধা নেই। তবে যদি তা ত্বক কিংবা শরীরের কোনো ক্ষতি করে, তাহলে তা থেকে অবশ্যই বিরত থাকা জরুরী। কারণ নিজের কিংবা অন্যের কোনো ক্ষতি ডেকে আনা নিষিদ্ধ (ইবনু মাজাহ, হা/২৩৪০)।
প্রশ্নকারী : আসাদুল্লাহ
মহাদেবপুর, নওগাঁ।