কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

নারীর ডিজিটাল পর্দা ও পুরুষের স্বীয় পর্দায় উদাসীনতা

post title will place here

‘পর্দা’ নারী জাতিকে আদর্শের চূড়ান্ত শিখরে আরোহণের ক্ষেত্রে অতুলনীয় ভূমিকা পালন করে। কিন্তু বর্তমান নারীসমাজের পর্দার বেহাল দশা দেখে হৃদয়টা নিদারুণ কষ্ট অনুভব করে। যার ফলশ্রুতিতে কাঁচা হাতেই পাকা কাজ করার তীব্র বাসনা মানসপটে উঁকিঝুঁকি দেয়। বক্ষমাণ প্রবন্ধটিকে আমরা দু’টি ভাগে সন্নিবেশিত করেছি। নিম্নে এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো।

(১) নারীর ডিজিটাল পর্দা :

‘ডিজিটাল পর্দা’ শব্দটা দৃষ্টিগোচর হতেই তত্ক্ষণাৎ মানসপটে কিঞ্চিৎ ভাবনার উদ্ভব ঘটে। কেন এই ডিজিটাল পর্দার নামকরণ? সূচনালগ্নে তো পর্দাকে শুধু পর্দা বলেই আখ্যায়িত করা হতো; কিন্তু বর্তমানে কেন ‘ডিজিটাল’ শব্দের সংযোজন?

আসলে পর্দা শব্দটা তার নিজস্ব গতিতে চলমান ছিল। কিন্তু যখনই শব্দটা ছিনতাই হয়েছে, ঢুকে পড়েছে তার মধ্যে ভেজাল, তখনই তার সাথে সংযোজন করা হয়েছে ‘ডিজিটাল’। তারপর সূচনা হয়েছে এর প্রকারভেদের।

উদাহরণস্বরূপ সূচনালগ্নে সরিষার তেল আপন নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু যখনই সেটাকে ভেজালের ঘ্রাণে সুসজ্জিত করা হয়েছে, তখনই তা বিভক্ত হতে শুরু করেছে খাঁটি ও ভেজালে। অনুরূপ ‘হাদীছ’ শব্দটা সূচনালগ্নে আপন গতিতে চলমান ছিল। কিন্তু যখনই তার মধ্যে মিথ্যার অনুপ্রবেশ করানো হয়েছে, তখনই তা ছহীহ, যঈফ জাল ইত্যাদিতে বিভক্ত হয়েছে।

সুতরাং আজকের সমাজে পর্দা ব্যবস্থার প্রতি দৃষ্টিপাত করেই পর্দা শব্দের সাথে ডিজিটাল শব্দ সংযোজন করা হয়েছে।

যাহোক মূল পয়েন্টে ফেরা যাক। ইসলামে নারীদের পর্দা করার আদেশ করা হয়েছে। কেমন পর্দা করবে নারীরা? আজকের সমাজ যেভাবে চায়, অবশ্যই সেভাবে না। বরং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা যেভাবে চান সেভাবে।

নারীদের মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে পর্দা যে এক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে, তা অনস্বীকার্য। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, আমাদের বোনেরা পর্দার মাঝে খুঁজে ফেরেন বাহ্যিক স্মার্টনেস। বোরকার মাঝেই নিজেকে কামনীয়-মোহনীয় করার যারপরনাই চেষ্টা করেন। আজকের অধিকাংশ নারীসমাজ পর্দার নামে অশালীন, টাইটফিট, আকর্ষণীয়, নকশা করা, জাঁকজমক এমন সব বোরকা পরিধান করেন, যার দ্বারা তাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, দেহাবয়ব সহজেই আন্দাজ করা যায়।

এক শ্রেণির নারীসমাজ স্বীয় আপত্তিজনক চালচলন, হাঁটাচলা, হাবভাব, চাহনি, সুগন্ধি, হাসি ও মোহনীয় কথা, এমনকি ইসলামের অপব্যবহার তথা সুরেলা কণ্ঠে কুরআন পাঠ কিংবা ইসলামী সংগীত গাওয়ার মাধ্যমে পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণে ব্যতিব্যস্ত। যার ফলশ্রুতিতে পুরুষের সামান্য ক্রিয়াতেই নিজেকে সঁপে দিতে চায়। যদিও এরা এক প্রকার বোরকা পরিধান করেন। এ সকল নারী বোরকা পরেই যৌন আবেদনময়ী আচরণ প্রদর্শন করে থাকেন। যার দরুণ ব্যভিচারের ছিদ্রপথ উন্মোচিত হয়। অথচ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা ব্যভিচার তো দূরের কথা, তার সূত্রপাত ঘটার সম্ভাবনা থাকে এমন দরজা বন্ধ রাখার আদেশ করেছেন। তিনি বলেন, وَلَا تَقْرَبُوا الزِّنَا إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاءَ سَبِيلًا ‘তোমরা ব্যভিচারের ধারেকাছেও যেও না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কর্ম ও মন্দ পথ’ (বানী ইসরাঈল. ১৭/৩২)

সুতরাং হে বোন! আপনি আল্লাহর দেওয়া বিধান পালন করার ক্ষেত্রে নিজেকে প্রবৃত্তির স্রোতে ভাসিয়ে দিবেন না। পূর্ণ পর্দা করে শালীনতা বজায় রেখে চলাফেরা করুন। যৌন আবেদনময়ী প্রসাধনী এবং আচরণ থেকে নিজেকে হেফাযতে রাখুন। সফলতা আপনাআপনি আপনার কাছে ধরা দিবে ইনশা-আল্লাহ।

লেখনির এ লগ্নে আল্লাহ যেন আমাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলছেন, أَتَأْمُرُونَ النَّاسَ بِالْبِرِّ وَتَنْسَوْنَ أَنْفُسَكُمْ وَأَنْتُمْ تَتْلُونَ الْكِتَابَ أَفَلَا تَعْقِلُونَ ‘তুমি কি মানুষদের সৎ কাজের আদেশ কর আর নিজের কথা ভুলে যাও? অথচ তুমি মহান আল্লাহর কিতাব পড়; তুমি কি বুঝ না?’ (আল-বাক্বারা, ২/৪৪)

পুরুষের স্বীয় পর্দায় উদাসীনতা :

‘পর্দা’র কথাটা শুনলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে এক নারীর চিত্র। ব্যাপারটা এমন দাঁড়িয়েছে যে, শুধু পর্দা নারীদের সাথেই সংশ্লিষ্ট। তার দরুণ পুরুষরা নারীদের পর্দা নিয়ে কথা বলতে বেশ মজা পান। ‘নারীরা পর্দা করেন না’ এর মধ্যে তাদের এলার্জি নিহিত। বিশেষ করে নারীরা কেন পরিপূর্ণ পর্দা করেন না- এ নিয়ে তাদের সারা শরীরে এলার্জি। যা মাত্রাতিরিক্ত হওয়ার ফলে চামড়া ছুলে যাওয়ার উপক্রম। অবশেষে রক্ত প্রবাহিত হয়, তবুও নিবারণের চেতনা নেই। ঠিক আছে, আপনি নারীদের সতর্ক করছেন ভালো কথা। খুবই ভালো কথা। আপনার আন্তরিক প্রচেষ্টাকে আন্তরিক মোবারকবাদ। আপনার স্ত্রী, কন্যা আর বোনকে অবশ্যই আপনি আন্তরিকভাবে বুঝাবেন। বুঝাতে হবে আপনাকেই। তা না হলে এরাই আপনার জাহান্নামে যাওয়ার কারণ হবে। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

أَلا كلُّكُمْ راعٍ وكلُّكُمْ مسؤولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ فَالْإِمَامُ الَّذِي عَلَى النَّاسِ رَاعٍ وَهُوَ مسؤولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ وَالرَّجُلُ رَاعٍ عَلَى أَهْلِ بَيْتِهِ وَهُوَ مسؤولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ وَالْمَرْأَةُ رَاعِيَةٌ عَلَى بَيْتِ زَوْجِهَا وولدِهِ وَهِي مسؤولةٌ عَنْهُمْ وَعَبْدُ الرَّجُلِ رَاعٍ عَلَى مَالِ سَيِّدِهِ وَهُوَ مسؤولٌ عَنهُ أَلا فكلُّكُمْ راعٍ وكلكُمْ مسؤولٌ عَن رعيتِه.

‘সাবধান! তোমরা প্রত্যেকেই এক একজন দায়িত্বশীল, আর (পরকালে) নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে তোমাদের প্রত্যেককেই জবাবদিহি করতে হবে। সুতরাং জনগণের শাসকও একজন দায়িত্বশীল লোক, তার দায়িত্ব সম্পর্কে তাকে জবাবদিহি করতে হবে। আর প্রত্যেক পুরুষ তার পরিবারের একজন দায়িত্বশীল, তাকে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে। আর স্ত্রী তার স্বামীর ঘর-সংসার ও সন্তানসন্ততির ওপর দায়িত্বশীল, তাকে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে। এমনকি কোনো গোলাম বা চাকর-চাকরাণীও তার মুনীবের ধনসম্পদের উপর একজন দায়িত্বশীল, তাকে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে। অতএব, সাবধান! তোমরা প্রত্যেকেই এক একজন দায়িত্বশীল, আর তোমাদের প্রত্যেককেই স্বীয় দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হতে হবে’।[1]

আপনাকে একটা কথা বলি। নিজের হিসাবের কথা অবগতিতে আছে কি আপনার? আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন, أَتَأْمُرُونَ النَّاسَ بِالْبِرِّ وَتَنْسَوْنَ أَنْفُسَكُمْ وَأَنْتُمْ تَتْلُونَ الْكِتَابَ أَفَلَا تَعْقِلُونَ ‘তোমরা কি মানুষদের সৎ কাজের আদেশ কর আর নিজেদের কথা ভুলে যাও? অথচ তোমরা মহান আল্লাহর কিতাব পড়; তোমরা কি বুঝ না?’ (আল-বাক্বারা, ২/৪৪)

আপনার কবরে কিন্তু আপনাকেই যেতে হবে। একাই থাকতে হবে সেখানে। বিচারের মুখোমুখি একাই হবেন আপনি। প্রশ্নের উত্তর আপনাকেই দিতে হবে। মিথ্যা বলবেন? কোনো লাভ নেই। কেননা আল্লাহ আপনার মুখ বন্ধ করে দিবেন। তিনি আপনার অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলোর সাথেই কথা বলবেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন, الْيَوْمَ نَخْتِمُ عَلَىٰ أَفْوَاهِهِمْ وَتُكَلِّمُنَا أَيْدِيهِمْ وَتَشْهَدُ أَرْجُلُهُم بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ ‘আজ আমরা তাদের মুখের উপর মোহর মেরে দিব। তাদের হাতগুলো আমার সাথে কথা বলবে, তাদের পাগুলো সাক্ষ্য দিবে তারা কি কাজ করে এসেছে’ (ইয়াসীন, ৩৬/৬৫)

আচ্ছা, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা যে আপনাকেও পর্দার বিধান দিয়েছিলেন, সে কথা কি মনে পড়ে না? একটু খেয়াল করার চেষ্টা করুন তো! ভালো করে খুঁজে দেখার চেষ্টা করুন! যে আয়াতে মেয়েদের পর্দার কথা বলা হয়েছে, তার পূর্বের আয়াতেই আপনার পর্দার কথা বলা হয়েছে। দৃষ্টিকে সংযত রেখে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আপনাকে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন, قُل لِّلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ‘মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে’ আন-নূর, ২৪/৩০)

জী, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা আগে আপনাকে পর্দা করতে বলেছেন, তারপর নারীদের। নারীরা পর্দা করেন না, তাই আপনি হা করে তাকিয়ে থাকেন। তাদেরকে নিয়ে নোংরা কল্পনা করেন। ওরা দেখায় তাই আপনি দেখেন। এই যুক্তিগুলো নিয়ে আল্লাহর সম্মুখে দাঁড়াতে পারবেন আপনি? পারবেন না। আসলেই আপনি পারবেন না। আপনার হিসাব নেওয়ার জন্য যদি আপনাকেই মনোনীত করা হয়, আর আপনি যদি ন্যায়নিষ্ঠার সাথে বিচার করেন, তাহলে আপনিই অপরাধী বলে সাব্যস্ত হবেন।

রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ সাত শ্রেণির লোককে বিশেষ ছায়ার আশ্রয় দিবেন। যেদিন তাঁর ছায়া ব্যতীত অন্য কোনো ছায়া থাকবে না। (তার মধ্যে এক শ্রেণি হলো) এমন ব্যক্তি, তাকে সম্ভ্রান্ত পরিবারের সুন্দরী মেয়ে নিজের মনস্কামনা পূরণের লক্ষ্যে আহ্বান করে, আর সে বলে, আমি আল্লাহকে ভয় করি’।[2]

কোনো নারীর আপত্তিজনক প্রস্তাবের উপর যে যুবক বলতে পারবে, আমি আল্লাহকে ভয় করি, সেই থাকবে বিশেষ ছায়াতলে। আচ্ছা, আপনি কি এমন যুবকদের অন্তর্ভুক্ত হতে পেরেছেন? হতে পেরেছেন তাদের মতো তাক্বওয়ার অধিকারী?

আপনাকে তো আহ্বান করতে হয় না। সদা-সর্বদা আপনিই অগ্ৰগামী হন। যার ফলশ্রুতিতে নন মাহরাম নারীকে মেসেজ পাঠান। চ্যাট করেন মেসেঞ্জারে। পর নারীর সাথে কথা বলেন মিষ্টি সুরে।

আরে আজিব তো! পর্দা যে আপনার জন্যও এসেছে, আপনাকেও যে আল্লাহ পর্দা করার আদেশ করেছেন, সেটা আপনি ভুলে যান! বাস্তবায়ন করতে চান না স্বীয় যিন্দেগীতে। নিজের খেয়ালখুশি আর অন্তরের কামনার পূজা করে একে অস্বীকার করতে চাচ্ছেন? আপনাকে আল্লাহ দৃষ্টি সংযত রাখার আদেশ করেছেন। আপনি জেনেশুনে তার আদেশ অমান্য করে তাঁকেই অস্বীকার করছেন না তো?

অস্বীকার যদি না-ই করেন, তাহলে রাস্তায় আপনার চোখ হাওয়া খুঁজে কেন? রাস্তা দিয়ে চলার সময় বোরকাওয়ালী থেকে শুরু করে পর্দাহীনা, এমনকি টিভি-সিনেমার মেয়েটার দিকেও আপনি হা করে তাকিয়ে থাকেন কেন? কী দেখেন আপনি? নিজেকে-না মুসলিম দাবি করেন আপনি? ছি!

নিজের মা, মেয়ে আর বোনকে নিয়ে রাস্তায় একদিন বের হন আর ভালো করে চারপাশের পুরুষগুলোর চোখের দিকে লক্ষ করুন। খেয়াল করবেন, ওই চোখগুলো তাদের দিকে কেমন করে তাকাচ্ছে? কী দেখছে? কীভাবে দেখছে? টগবগ করবে রক্ত আপনার। চোখ তুলে ফেলতে ইচ্ছা করবে তাদের। একবার ভাবুন তো! আপনি যাদের দিকে তাকান তারাও কিন্তু কোনো ভাইয়ের মা, বোন কিংবা স্ত্রী। আজ তারা উদাসীনতার কারণে ইসলাম তেমন একটা জানেন না। যার ফলশ্রুতিতে মানেন না। তাদের কবরে তারা যাবেন। কিন্তু আপনি? আপনি কি জেনেশুনে সজ্ঞানে তাদের একজন নন! যাদের দেখে আপনার রক্ত টগবগ করার উপক্রম? চোখের দৃষ্টি সংযত না করে আপনি যেনা করছেন। অথচ আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা বলেন,وَلَا تَقْرَبُوا الزِّنَا إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاءَ سَبِيلًا ‘তোমরা যেনার ধারেকাছেও যেও না। নিঃসন্দেহে এটি অশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ’ (বানী ইসরাঈল, ১৭/৩২)

যেনার আশপাশে যেতে আল্লাহ আপনাকে নিষেধ করেছেন। যেনা করা তো দূরের কথা। আর আপনি? আপনি যেনা করছেন তো করছেনই। রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, فَزِنَا الْعَيْنِ النَّظَرُ ‘চোখের যেনা হলো (যা হারাম সেদিকে) তাকানো’।[3]

সুতরাং নিজের চোখকে সংযত রাখার প্রাণপণে চেষ্টা করুন। সফলতা আপনার পদচুম্বন করবেই করবে ইনশা-আল্লাহ।

লেখনির শেষলগ্নে বলতে চাই, কথাগুলো আসলে নিজেকেই বলা। স্বীয় আত্মাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া মাত্র। তাই এই লেখাটা সবার আগে আমার জন্য। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন, ‘তোমরা কি মানুষদের সৎকাজের আদেশ কর আর নিজেদের কথা ভুলে যাও? অথচ তোমরা মহান আল্লাহর কিতাব পড়; তোমরা কি বুঝ না?’ (আল-বাক্বারা, ২/৪৪)

সুরাইয়া বিনতে মামূনুর রশীদ

মা‘হাদ ২য় বর্ষ, আল-জামি‘আহ আস-সালাফিয়্যাহ (বালিকা শাখা), ডাঙ্গীপাড়া, পবা, রাজশাহী।


[1]. ছহীহ বুখারী, হা/৮৯৩।

[2]. ছহীহ বুখারী, হা/৬৬০।

[3]. ছহীহ বুখারী, হা/৬২৪৩।

Magazine