উত্তর : কসমের মাধ্যমে কোনো কাজ করা বা না করার বিষয়টি নিজের উপর আবশ্যক হয়ে যায়। কসম করার পর কোনো কারণে সেই কাজের তুলনায় অন্য কাজ উত্তম মনে হলে কসম থেকে ফিরে আসা যায় এবং এর জন্য সেই ব্যক্তিকে কাফফারা দিতে হবে। আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি যদি কসম করে, তারপর অন্যটি তার চেয়ে উত্তম মনে করে তবে সে যেন উত্তম কাজটি করে এবং কসমের কাফফারা দিয়ে দেয়’ (মুসলিম, হা/১৬৫০)। কসমের কাফফারার ক্ষেত্রে তিনটি কাজের যেকোনো একটির মাধ্যমে তা আদায় করা যায়। ১০ জন মিসকীনকে মধ্যম ধরনের খাবার খাওয়ানো বা কাপড় দেওয়া অথবা দাস মুক্ত করা। খাদ্য দিলে মিসকীন প্রতি অর্ধ সা (সোয়া এক কেজি) খাদ্য দিতে হবে। এগুলোর কোনো একটি আদায়ের সামর্থ্য না থাকলে তিন দিন ছিয়াম রাখতে হবে (আল মায়েদা, ৫/৮৯) যেহেতু কসম ভঙ্গ করা হয়েছে সুতরাং তিনটির যেকোনো একটির মাধ্যমে কাফফারা দিতে হবে।
প্রশ্নকারী : ফাইয়াজ খান
চাঁদপুর।