উত্তর : এমতাবস্থায় দেখতে হবে যে, সে নিঃস্ব কি-না। যদি নিঃস্ব হয়, তাহলে মাসিক ভাড়া ছেড়ে দিতে পারে। এমন কাজের বিনিময়ে সে জান্নাত লাভ করবে। হুযায়ফা রযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি বলতে শুনেছি, তোমাদের পূর্ববর্তীদের মাঝে জনৈক ব্যক্তি ছিল। ফেরেশতা তার নিকট তার জান ক্ববয করার জন্য এসেছিলেন। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, তুমি কি কোনো ভালো কাজ করেছ? সে জবাব দিল, আমার জানা নেই। তাকে বলা হলো, একটু চিন্তা করে দেখো। সে বলল, এ জিনিসটি ব্যতীত আমার আর কিছুই জানা নেই যে, দুনিয়াতে আমি মানুষের সঙ্গে ব্যবসা করতাম অর্থাৎ ঋণ দিতাম। আর তা আদায়ের জন্য তাদেরকে তাগাদা করতাম। আদায় না করতে পারলে আমি সচ্ছল লোককে সময় দিতাম আর অভাবী লোককে ক্ষমা করে দিতাম। তখন আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করালেন (ছহীহ বুখারী, হা/৩৪৫১)। তবে যাকাত হিসাবে দিলে তাকে জানিয়ে দেয়াই ভালো। কেননা যাকাত সবাই খেতে চায় না এবং তা সবার জন্য খাওয়া জায়েযও নয়। আত্বা ইবনু ইয়াসার রহিমাহুল্লাহ সূত্রে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ধনীর জন্য যাকাত গ্রহণ হালাল নয়। তবে পাঁচ শ্রেণির ধনীর জন্য তা জায়েয। ১. আল্লাহর পথে জিহাদরত ব্যক্তি ২. যাকাত আদায়ে নিযুক্ত কর্মচারী ৩. ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি ৪. কোনো ধনী ব্যক্তির দরিদ্রের প্রাপ্ত যাকাতের মাল নিজ অর্থের বিনিময়ে ক্রয় করা এবং ৫. মিসকীন প্রতিবেশী তার প্রাপ্ত যাকাত হতে ধনী ব্যক্তিকে উপঢৌকন দেওয়া (আবু দাঊদ, হা/১৬৩৬)।
প্রশ্নকারী : কিয়া এম মিরাজ
সাভার, ঢাকা।