কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (৮) কিডনিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তির রোগ নিরাময়ের উদ্দেশ্যে পঠিতব্য কিছু সংক্ষিপ্ত দু‘আ উচ্চারণসহ পত্রিকার মাধ্যমে জানালে উপকৃত হব।

উত্তর : প্রথমত সূরা ইখলাস, নাস, ফালাক্ব সকালে তিনবার ও রাতে তিনবার পড়ে শরীরের ফুঁক দিতে হবে। বিশেষ করে ঘুমানোর সময় উক্ত সূরা তিনটি পড়ে হাতে ফুঁক দিয়ে যতদুর সম্ভব শরীরে মাসাহ করবে। তাছাড়া নিমেণর দু‘আগুলোও পড়তে পারে। যেমন, আইয়ূব আলাইহিস সালাম নিজের রোগমুক্তির জন্য পড়েছিলেন,

أَنِّيْ مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنْتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِيْنَ

উচ্চারণ : আন্নী মাস্সানীয়ায যুররু ওয়া আনতা আরহামুর র-হিমীন। অর্থ : ‘নিশ্চয়ই অনিষ্ট আমাকে স্পর্শ করেছে, আর তুমি শ্রেষ্ঠ দয়ালু’ (আম্বিয়া, ৮৩)।

اَللّٰهُمَّ إِنِّى أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَالْجُنُوْنِ وَالْجُذَامِ وَمِنْ سَيِّئِ الْأَسْقَامِ উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আঊযুবিকা মিনাল বারাছি ওয়াল জুনূনি ওয়াল জুযামি ওয়া মিন ছাইয়্যিইল আসক্বামি’। অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট ধবল, কুষ্ট, পাগল ও অন্যান্য যতরকমের খারাপ অসুখ আছে তাত্থেকে পরিত্রাণ চাচ্ছি (আবুদাঊদ, হা/১৫৫৪; নাসাঈ, হা/৫৪৯৩)।

أَذْهِبِ الْبَأْسَ رَبَّ النَّاسِ وَإشْفِ أَنْتَ الشَّافِيْ لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءً لَّا يُغَادِرُ سَقَمًا.

উচ্চারণ : আয্হিবিল বা’স, রববান না-স! ওয়াশ্ফি, আনতাশ শা-ফী, লা শিফা-আ ইল্লা শিফা-উকা, শিফা-আল লা ইউগা-দিরু সাক্বামা। অর্থ : কষ্ট দূর কর, হে মানুষের প্রতিপালক! আরোগ্য দান কর। তুমিই আরোগ্য দানকারী। কোন আরোগ্য নেই তোমার দেওয়া আরোগ্য ব্যতীত; যা কোন রোগীকে ধোঁকা দেয় না (বুখারী, হা/৪৭৫০; মুসলিম, হা/২১৯১; মিশকাত হা/১৫৩০)।

-খাজা নাজিমুদ্দীন

অবসরপ্রাপ্ত হিসাব রক্ষণ অফিসার।


Magazine