কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

প্রশ্ন (১) : জনৈক ব্যক্তি একটি ঘরে বসবাস শুরু করার পর থেকেই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। সেই সাথে আক্রান্ত হয়েছে আরো বড় বড় কয়েকটি মুছীবতে, যার কারণে সে এই ঘরে বসবাস করাকে অমঙ্গলের কারণ হিসাবে মনে করছে। তার জন্য কি ঘর ছেড়ে দেওয়া জায়েয আছে?

উত্তর: আল্লাহর হুকুম ছাড়া কোনো ব্যক্তির উপর কখনো কোনো বিপদ/মুছীবত আসে না। আল্লাহ বিভিন্ন সময় অনেক রকমের মুছীবত দ্বারা মুমিন বান্দাকে পরীক্ষা করে থাকেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোন বিপদই আপতিত হয় না। যে আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, আল্লাহ তার অন্তরকে সৎপথে পরিচালিত করেন। আল্লাহ প্রত্যেক বিষয়ে সর্বজ্ঞ’ (আত-তাগাবূন, ৬৪/১১)। তিনি আরো বলেন, ‘আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জান-মাল ও ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও। যারা, তাদেরকে যখন বিপদ আক্রান্ত করে তখন বলে, নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয় আমরা তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী’। (আল-বাকারা, ২/১৫৫-৫৬)। আয়াতদ্বয় দ্বারা স্পষ্ট বুঝা যায় যে, বিপদাপদ, বালা-মুছীবত একমাত্র আল্লাহর আদেশে এসে থাকে। আর এটি বান্দার জন্য একটি পরীক্ষা। কোনো বাড়ি, গাড়ি, নারী ইত্যাদির মাঝে অমঙ্গল, অকল্যাণ নেই। সায়েদ ইবনু ইয়াযিদ ইবনু উখতে নামির থেকে মারফূ‘সূত্রে বর্ণিত আছে, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘সংক্রামক ব্যধি বলতে কিছু নেই, ছফর মাসে অশুভ লক্ষণ বলতে কিছু নেই, পেঁচার ডাকে কোনো অশুভ লক্ষণ নেই’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫৭১৭; ছহীহ মুসলিম, হা/৫৯১৯)। সুতরাং এ ঘরে বসবাস করার জন্য মুছীবতে পতিত হয়েছি এমনটি মনে করে ঘর ছাড়া যাবে না। কেননা এতে আক্বীদায় ত্রুটি হবে। তবে, সূরা বাক্বারা বা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত পড়লে জিন ক্ষতি করতে পারবে না।

প্রশ্নকারী : মুহাম্মাদ বিল্লাহ

ওয়ারী, ঢাকা।

 

Magazine