আমরা ‘ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ: কিছু সংশয় ও তার জবাব’-এ শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ-এর পক্ষ থেকে অনেক বক্তব্য দেখেছি, যেখানে তিনি দলাদলি হতে সতর্ক করেছেন এবং দলাদলির আহ্বায়ক ও ধ্বজাধারীদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেছেন।[1]
কিন্তু কেউ এসে যদি শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ-এর পক্ষ থেকে বলতে চায়, তিনি ছিলেন ‘একটি জামা‘আতের নেতা, যে জামা‘আত তার আদেশে চলত, তার পরামর্শে কাজ করত এবং তার মতাদর্শ অনুযায়ী চলত’!![2] তিনি ছিলেন নিষিদ্ধ দলাদলির অর্থে ‘দলীয় কর্মকাণ্ডের অগ্রদূত’![3]
তাহলে তা হবে অবান্তর কথা, যেখান থেকে বেঁচে থাকা উচিত।
কারণ এ বক্তব্যের প্রবক্তা যেসব উদ্ধৃতি উপস্থাপন করেন, সেগুলো চিন্তা করলে দেখা যায় যে, উদ্ধৃতিগুলোকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হয়েছে, সেগুলোতে রয়েছে স্পষ্ট কৃত্রিমতা এবং পরিষ্কার অপব্যাখ্যা। যেমন- শায়খ তার ‘জামা‘আত’ (جَمَاعَته)-এর নিকট পাঠালেন! শায়খ এবং ‘তাঁর সঙ্গী-সাথীগণ’ (أَصْحَابُه) বের হলেন! কেউ কেউ তাকে তার অনেক ‘অনুসারী’ (أَتْبَاعُه) থাকার কারণে হিংসা করতেন! এরকম আরো অনেক উদাহরণ রয়েছে।
এগুলো আসলে কী?
এই শব্দগুলো কি বর্তমান হিযবী বা দলীয় চিন্তাচেতনার আলোকে বুঝতে হবে? নাকি দু’টি বিষয়ের স্পষ্ট বর্ণনার আলোকে বুঝতে হবে, যে দু’টি বিষয়ের মধ্যে মোটেও গুলিয়ে ফেলা যাবে না? বিষয় দু’টি হচ্ছে,
এক. পারস্পরিক শরী‘আতসিদ্ধ সহযোগিতা।
দুই. দলাদলির নিন্দা।
এই দু’টি বিষয়ই শায়খুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহর দাওয়াত ও চিন্তাচেতনার মানহাজে সুস্পষ্ট। তার কাছ থেকেই তো আমরা শিখেছি। তার চিন্তাচেতনার আলোকেই আমরা শিক্ষাপ্রাপ্ত হয়েছি।
ইতোপূর্বে আমরা ‘জামা‘আত’-এর আভিধানিক ও পারিভাষিক অর্থ তুলে ধরেছি। ফলে তা পুনর্বার আর উল্লেখ করতে চাই না।
আর শায়খের ‘অনুসারীগণ’ (أَتْبَاع) ও সঙ্গী-সাথীগণ’ (أَصْحَاب) থাকার অর্থ আসলে কী?
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, তাদের সংঘবদ্ধতা ছিল পারস্পরিক সহযোগিতা ও (ঈমানী) ভ্রাতৃত্বের সংঘবদ্ধতা। তাদের সংঘবদ্ধতা হিযবী তথা দলীয় সংঘবদ্ধতা ছিল না, অথবা প্রকাশ্য বা গোপনে কোনোভাবেই উম্মাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার কোনো বিষয় ছিল না।
প্রবণতা ও চিন্তাচেতনায় পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমি এই কথাটি সকল মুসলিমের উদ্দেশ্যেই উপস্থাপন করছি। বিশেষ করে সেই শ্রেণির মানুষকে লক্ষ্য করে বলছি, যারা নিজেদের জন্য কঠিক পথ বেছে নিয়েছেন। কেননা সেটাই হক্বের পথ। অন্য দিক দিয়ে, সেটা আবার সহজ পথও বটে। কেননা সেটাই শরী‘আতের পথ। সেই শ্রেণির মানুষ তারাই, যারা ইলম, আমল, দাওয়াত ও জিহাদ সবক্ষেত্রেই ‘কিতাব ও সুন্নাহর অনুসরণ করেন এবং মুমিনগণের পথের অনুসরণের প্রতি আগ্রহী হন। তারা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তাঁর ছাহাবীবর্গ রযিয়াল্লাহু আনহুম এবং সালাফে ছালেহীনের মতো অনুগ্রহপ্রাপ্তগণের পথ আঁকড়ে ধরার প্রতি যত্নশীল হন’।[4] তারা ‘ইসলামী দাওয়াতকে দাওয়াতের দলীয় গণ্ডি থেকে বের করে সকল মানুষের তরে নিবেদিত করতে চান। এক্ষেত্রে তারা নির্দিষ্ট দল বা জামা‘আতের আঙ্গিকে জোট গঠনের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করেন না’।[5]
তারা এই পথে চলতে রাত-দিন জোর দিয়ে বলে থাকেন, তাদের দাওয়াত ‘আল্লাহর পথে ধাবমান প্রত্যেকের জন্যই মানহাজ ও পথ বাতলে দিতে এসেছে। নির্দিষ্ট কোনো জামা‘আত বা দলের মাসলাক হওয়ার পূর্বে সেটা আসলে দ্বীন বুঝা ও তার প্রতি আমল করার একটি মানহাজ’।[6] বরং এই দাওয়াত দলাদলি ও স্বদলপ্রীতির বিরুদ্ধে সংগ্রামের জন্য এসেছে।[7] এসেছে সমস্ত মুসলিমের মাসলাক হিসেবে একটি স্বচ্ছ-নির্মল আক্বীদা ও একটি শারঈ মানহাজকে ঘিরে’।[8]
এসবই ইসলামী শরী‘আতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সুমহান লক্ষ্য হিসেবে পরিগণিত। সেজন্যই তো ‘সকল মুসলিম একটিমাত্র উম্মাহ, তাদের লক্ষ্য এক, তাদের পথ এক, তাদের সংবিধান এক। তারা সকলেই সমান। তাক্বওয়া ছাড়া অন্য কিছুর বিনিময়ে তাদের মাঝে কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই। রং, জাতি বা অঞ্চলভেদে তাদের কারো কোনো বিশেষত্ব নেই।
এই ব্যাপক অর্থবোধক ঐক্য ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নিদর্শন এবং একটি বিরাট অবদান। এই বহুমুখী ঐক্যই ইসলাম যমীনের বুকে মানবসমাজে বাস্তবায়িত করেছে।
এই সর্বব্যাপী ঐক্যের অনেকগুলো উপাদান রয়েছে। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, আক্বীদা এক, পথ এক। বিশেষ ব্যবধান ও শ্রেষ্ঠত্ব বাতিল করা। আর তাক্বওয়া ও নেক আমলের ভিত্তিতেই শ্রেষ্ঠত্বের বিচার করা’।[9]
আল্লাহর কসম! মুসলিমদের দ্বীনী ভ্রাতৃত্ব ও ইসলামী স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্যের কথা ভুলে যাওয়ার ভান ধরে দলাদলির খাদে পড়ে যাওয়া সবচেয়ে বড় সমস্যা। সুতরাং আপনি এখান থেকে সতর্ক থাকুন।
উপসংহার:
“মুসলিমগণ! জেনে রাখুন, আমাদের মহান রবের অন্যতম ইনছাফ হচ্ছে, তিনি জামা‘আত ও দল হিসেবে মানুষদের হিসাব নিবেন না। বরং দল ও গোত্র থেকে দূরে রেখেই প্রত্যেক ব্যক্তিকে আলাদা আলাদা সম্বোধন করবেন। মহান আল্লাহ বলেন,﴿إِنْ كُلُّ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ إِلَّا آتِي الرَّحْمَنِ عَبْدًا - لَقَدْ أَحْصَاهُمْ وَعَدَّهُمْ عَدًّا - وَكُلُّهُمْ آتِيهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَرْد﴾ ‘আসমান ও যমীনে এমন কেউ নেই, যে বান্দা হিসেবে পরম করুণাময়ের কাছে হাযির হবে না। তিনি তাদের সংখ্যা জানেন এবং তাদেরকে যথাযথভাবে গণনা করে রেখেছেন। আর ক্বিয়ামতের দিন তাদের সকলেই তাঁর কাছে আসবে একাকী’ (মারইয়াম, ১৯/৯৩-৯৫)।
অতএব, হে মুসলিম! রাত-দিন আল্লাহর আনুগত্যের কাজে আত্মনিয়োগ করুন। আপনার মুসলিম ভাইদের সম্মানহানি বৈধ করে নিয়ে এবং নিজেকে তাসবীহ, তাহলীল ও তাকবীরে মশগূল ভেবে এক দলের উপর অন্য দলকে সাহায্য করে সময় নষ্ট করবেন না। মনে রাখবেন, প্রত্যেকটি মানুষকে তার প্রেরিত আমলসহ উঠানো হবে এবং অন্যের পাপের কারণে কাউকে পাকড়াও করা হবে না। মহান আল্লাহ যথার্থই বলেছেন, ﴿وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَى﴾ ‘একের (পাপের) বোঝা অন্যে বহন করবে না’ (আল-আনআম, ৬/১৬৪)।”[10]
‘অতএব, -আল্লাহ আপনার প্রতি রহম করুন- আপনি মানহাজে মুস্তাক্বীম, কুরআন-সুন্নাহর বাণী এবং সালাফে ছালেহীনের বক্তব্য আঁকড়ে ধরুন। আপনি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের পথেই থাকুন, হেদায়াত লাভ করবেন ইনশা-আল্লাহ।
হে প্রজ্ঞাবান! কুরআন-সুন্নাহর মোড়কের ভেতরে যা আছে, তা আঁকড়ে ধরা, বেশি বেশি সেখানে দৃষ্টি নিবদ্ধ করা এবং এর অর্থ অনুধাবনের চেয়ে আপনার জন্য উত্তম আর কিছু নেই। আপনি আপনার থেকে যাবতীয় বক্রতা এবং কেন? কীভাবে? ইত্যাদি ঝেড়ে ফেলুন। কারণ খেয়াল-খুশি প্রবৃত্তিপূজারিদের বক্র পথে নিয়ে তাদেরকে পীড়াদায়ক আযাবে নিক্ষেপ করেছে’।[11]
আল্লাহর বান্দা! প্রকৃত ও আল্লাহওয়ালা সচেতন মুসলিম হোন। আল্লাহর জন্যই জানুন, আল্লাহর জন্যই আমল করুন। সকল মুসলিমের প্রতি সমান দৃষ্টি রাখুন। তাক্বওয়া ও ঈমান ছাড়া অন্য কিছু যেন তাদের কাউকে আপনার নিকট অগ্রগামী বা পশ্চাদগামী করতে না পারে। কোনো ধরনের হিযবিয়্যাহ বা দলাদলি এবং শয়তানী বিভেদ যেন কাউকে অগ্রগামী বা পশ্চাদগামী করার মানদণ্ড না হয়।
জেনে রাখুন, ‘ইসলামকে ঘিরে মুসলিমদের ঐক্য, তাদের আল্লাহর রজ্জু ধারণ, তাঁর শরী‘আতকে সালিশ হিসেবে গ্রহণ আর মুসলিমদের শত্রুদের সাথে সম্পর্কহীনতা এবং তাদের সাথে শত্রুতা ও ঘৃণার স্পষ্টতাই তাদের বিজয় ও শত্রুদের ষড়যন্ত্র থেকে তাদের রক্ষার উপায়’।[12]
এর বাইরে যত দলাদলি, বিভক্তি, গুপ্ত-আঁধারে ঘেরা বিষয় এবং রাজনৈতিক উত্তেজনায় বেষ্টিত বিষয় রয়েছে, সেগুলো কানাকড়িও কাজে আসবে না। বরং এগুলো ধীরে ধীরে পাকড়াও আর কঠিন অনিষ্ট ছাড়া অন্য কিছুই বয়ে আনবে না। এটা সতর্কবার্তা!!
‘প্রকৃত সচেতন মানুষ সব গনীমতের মাল থেকে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করেন। সকল দলের নিকট বিদ্যমান ভালো দিক অনুযায়ী তিনি তাদের সাথে মেশেন। তিনি কোনো দলের পক্ষাবলম্বন করেন না। আবার অন্যদের থেকে পুরোপুরি দূরত্ব বজায় রেখে চলেন না এই ভেবে যে, তাদের নিকট হক্বের সামান্য অংশও নেই। অতএব, এটাই হচ্ছে সত্যবাদীদের পথ।
আর অন্তরে লুক্কায়িত রয়েছে জাহেলী নিনাদ’।[13]
﴿أُرِيدُ إِلَّا الْإِصْلَاحَ مَا اسْتَطَعْتُ وَمَا تَوْفِيقِي إِلَّا بِاللَّهِ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْهِ أُنِيبُ ﴾ ‘আমি তো আমার সাধ্যমতো কেবল সংশোধনই চাই। আল্লাহর সহায়তা ছাড়া আমার কোনো তাওফীক্ব নেই। আমি তাঁরই উপর তাওয়াক্কুল করেছি এবং তাঁরই কাছে ফিরে যাই’ (হূদ, ১১/৮৮)।
পরিশেষে আল্লাহ সুবহানাহুর কাছে প্রার্থনা করি, এই বইটি যেন হয় সত্যিকারের আর্তনাদ, যা খুঁজে পাবে কতিপয় মনোযোগ দিয়ে শ্রবণকারী কান এবং সচেতন কিছু হৃদয়।
আমাদের শেষ কথা হচ্ছে, সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি জগৎসমূহের রব।
মূল : আলী ইবনে হাসান আল-হালাবী আল-আছারী
অনুবাদ : আব্দুল আলীম ইবনে কাওছার মাদানী
বি. এ. (অনার্স), উচ্চতর ডিপ্লোমা, এম. এ. এবং এম.ফিল., মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,
সঊদী আরব; অধ্যক্ষ, আল-জামি‘আহ আস-সালাফিয়্যাহ, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ।
[1]. যদি তার এ মর্মে প্রদত্ত সকল বক্তব্য সংকলন করা যায়, তাহলে সংকলক একটি মধ্যম আকারের বই বের করতে পারবেন, উদাহরণস্বরূপ তিনি সেই বইয়ের নাম দিতে পারবেন— ‘ইবনু তাইমিয়্যাহ এবং দলবাজিমূলক কর্মকাণ্ডের নব্যতা’।
[2]. ‘মাজাল্লাতুল ফুরক্বান’, সংখ্যা: ১২, পৃ. ৮, প্রবন্ধ শিরোনাম: শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ এবং দলীয় কর্মকাণ্ড!
[3]. ‘নিষিদ্ধ অর্থে’ একথাটি আমি এজন্য বলেছি যে, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে দলে দলে বিভক্ত হয়ে যাওয়া। আর শরী‘আতসিদ্ধ যৌথ কর্মকাণ্ড হচ্ছে, পারস্পরিক ভ্রাতৃপ্রতিম সহযোগিতা বজায় রেখে চলা এবং ব্যাপকার্থে ইসলামের ছায়াতলে থেকে স্পষ্ট মানহাজ অনুযায়ী দাওয়াতী কাজ করা, যেখানে কোনো অন্ধকার নেই এবং নেই কোনো অস্বচ্ছতা।
‘তানযীম’ (সংগঠন) শব্দটিও ঠিক এরকমই। শাব্দিক অর্থ মতৈক্য এবং গন্ডগোল থেকে দূরে থাকা। আর এই অর্থে আমাদের পুরো দ্বীনটাই ‘তানযীম’ এবং সে ব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই।
কিন্তু শব্দটিকে দলাদলি অর্থে ব্যবহার করলে তা হবে বাতিল ও নবাবিষ্কৃত পরিভাষা, শরী‘আতে যার কোনো ভিত্তি নেই এবং আহলুস সুন্নাহর ইমামগণের এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় না।
শব্দটির অর্থ যদি নেওয়া হয় ঐক্য ও পারস্পরিক ভালোবাসা এবং আল্লাহর দিকে দাওয়াত, তাহলে অর্থের দিক থেকে তা গ্রহণযোগ্য হলেও পারিভাষিক ব্যবহার হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। এর পরিবর্তে কুরআন ও সুন্নায় বর্ণিত শরী‘আতসিদ্ধ শব্দ ব্যবহার করা উচিত। আর তা হচ্ছে— ‘তা‘আউন’ (اَلتَّعَاوُنُ)।
এরপর ‘তানযীম’ বা সংগঠনের দাঈগণের উদ্দেশ্যে বলব, এই ‘তানযীম’ কি দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত নাকি দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত নয়?
যদি দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত হয়, তাহলে দলীল থাকতে হবে। কেননা যতো ছোট হোক না কেন দ্বীনের প্রত্যেকটি অনুষঙ্গের পক্ষেই কুরআন-হাদীছের দলীল রয়েছে।
আর যদি দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত না হয়, তাহলে তা তার দাঈ ও নেতৃবর্গের দিকেই প্রত্যাখ্যাত হবে, তারা যতোই তা সুন্দর করে উপস্থাপন করুক না কেন। একথা গোপন নয় যে, ‘যতো সমস্যা সব নির্দিষ্ট কিছু রেওয়াজ ও সেগুলো মেনে চলা এবং প্রচলিত নানা পথ ও নতুন নতুন বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি আঁকড়ে ধরার মধ্যে’ (আল-মাদারিজ, ৩/১৭৩)।
[4]. আল্লামা আল-মু‘আল্লিমী আল-ইয়ামানী, আত-তানকীল, ১/৪৫।
[5]. মাজাল্লাতুল ফুরকান, সংখ্যা: ১৪, পৃ. ২০, প্রবন্ধশিরোনাম: বারাকা-তুদ দাওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ।
[6]. মাজাল্লাতুল ফুরকান, সংখ্যা: ১৪, পৃ. ২০, প্রবন্ধশিরোনাম: বারাকা-তুদ দাওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ।
[7]. ‘আত-তাছফিয়াহ ওয়াত-তারবিয়াহ ওয়া আছারুহুমা ফিসতি’নাফিল হায়াতিল ইসলামিয়্যাহ’ শীর্ষক আমার পুস্তিকায় এই মাসলাকের প্রকৃতি ও বাস্তবতা এবং পরিচ্ছন্নতা ও নির্মলতা সম্পর্কে বিশদ বিবরণ রয়েছে।
[8]. মাজাল্লাতুল ফুরকান, সংখ্যা: ১৪, পৃ. ২০, প্রবন্ধশিরোনাম: বারাকা-তুদ দাওয়াহ আস-সালাফিয়্যাহ।
[9]. আব্দুর রহমান আব্দুল খালেক, আল-মাকাছেদুল আম্মা লিশ-শারী‘আতিল ইসলামিয়্যাহ, পৃ. ৩১।
[10]. আত-ত্বলী‘আহ, পৃ. ১৩-১৪, ঈষৎ পরিমার্জিত।
[11]. মালাতী, আত-তানবীহ, পৃ. ৪৬, সংক্ষেপিত।
[12]. ইবনে বায, নাক্বদুল ক্বওমিয়্যাহ আল-আরাবিয়্যাহ, পৃ. ৪৭।
[13]. মাদারিজুস সালেকীন, ২/৩৭০।