উত্তর : ইমামতির জন্য প্রথমত যোগ্যতা হলো, ক্বিরাআতে পারদর্শী হওয়া- চাই সে বয়স্ক হোক, বালক হোক বা কিশোর হোক (ছহীহ বুখারী, হা/৪৩০২; মিশকাত, হা/১১২৬)। দ্বিতীয়ত, ইলমে হাদীছে পারদর্শী হওয়া ও সুন্নাতের পাবন্দী হওয়া। তৃতীয়ত, তুলনামূলক বয়স বেশি হওয়া। আবূ মাসঊদ রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মানুষের ইমামতি করবে সেই ব্যক্তি যে কুরআন ভালো পড়ে। যদি কুরআন পড়ায় সকলে সমান হয়, তবে যে সুন্নাহ বেশি জানে। যদি সুন্নাহতেও সকলে সমান হয়, তবে যে হিজরত করেছে সে। যদি হিজরতেও সকলে সমান হয়, তবে যে বয়সে বেশি’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৬৭৩; মিশকাত, হা/১১১৭)। আমর ইবনু সালামা রযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ...যখন ছালাতের সময় উপস্থিত হবে, তখন তোমাদের মধ্য হতে যেন কেউ আযান দেয় এবং তোমাদের ইমামতি যেন সেই ব্যক্তি করে, যে কুরআন অধিক জানে। তখন লোকেরা দেখল, আমার চেয়ে অধিক কুরআন জানার আর কেউ নেই। কেননা আমি পথিকদের নিকট হতে পূর্বেই তা মুখস্থ করে নিয়েছিলাম। তখন তারা আমাকেই তাদের আগে বাড়িয়ে দিল অথচ তখন আমি ছয় কিংবা সাত বৎসরের বালক মাত্র... (ছহীহ বুখারী, হা/৪৩০২; মিশকাত, হা/১১২৬)।
প্রশ্নকারী : শোয়াইব
কাতলাসেন, ময়মনসিংহ।