উত্তর: উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। কেননা আবূ মূসা আশআরী রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে মুমিন কুরআন তিলাওয়াত করে, তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে কমলা লেবুর মতো যা সুস্বাদু এবং সুগন্ধযুক্ত। আর যে মুমিন কুরআন তিলাওয়াত করে না, তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে খেজুরের মতো, যা সুগন্ধহীন, কিন্তু খেতে সুস্বাদু। আর ফাসিক-ফাজির ব্যক্তি যে কুরআন পাঠ করে, তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে রায়হান জাতীয় লতার মতো, যার সুগন্ধ আছে, কিন্তু খেতে বিস্বাদ। আর ঐ ফাসিক যে কুরআন একেবারেই পাঠ করে না, তার দৃষ্টান্ত হচ্ছে ঐ মাকাল ফলের মতো, যা খেতেও বিস্বাদ এবং যার কোনো সুগন্ধও নেই’ (ছহীহুল বুখারী, হা/৫০২০; ছহীহ মুসলিম, হা/৭৯৭)। এখানে রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষকে চার ভাগে ভাগ করলেন। যার প্রথম দুই শ্রেণি হলো সৌভাগ্যবান, আর পরের দুই শ্রেণি হলো হতভাগা। অর্থাৎ যেই মুমিন কুরআন তিলাওয়াত করে এবং এবং যে মুমিন কুরআন তিলাওয়াত করে না, উভয়কেই রাসুল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সৌভাগ্যবানদের দলে শামিল করেছেন (মিফতাহু দারিস সাআদাহ, ইবনুল কায়্যিম, ১/১৪৯)। কুরআনের মূল উদ্দেশ্য হলো, তা বোঝা ও সেই অনুযায়ী আমল করা (তাফসীরুল মানার)। তবে কুরআন শিক্ষা করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ঐ ব্যক্তি, যে নিজে কুরআন শিক্ষা করে ও অপরকে শিক্ষা দেয়’ (ছহীহ বুখারী, হা/৫০২৭)।
প্রশ্নকারী : সোহেল রানা
গাজীপুর।