উত্তর: অবশ্যই তারা গুনাহগার ও যালেম। প্রথমত, সে মহানবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদেশের খেলাপ করেছে। তিনি বলেছেন, ‘মজুরকে তার ঘাম শুকাবার পূর্বেই তোমরা তার মজুরি দিয়ে দাও (ছহীহুল জামে‘, হা/১০৫৫)। দ্বিতীয়ত, সে সেই ব্যক্তির খাদ্য আটকে রাখে, যার খাবারের দায়িত্ব তার ঘাড়ে আছে এবং সেই বেতনে আরো অনেক মানুষের খোরপোশ আছে। আর আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মানুষের পাপী হওয়ার জন্য এতটুকু যথেষ্ট যে, সে যার আহারের দায়িত্বশীল, তাকে তা না দিয়ে আটকে রাখে’ (ছহীহ মুসলিম, হা/৯৯৬)। অন্যত্র তিনি বলেন, আবূ হুরায়রা রযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘ধনী ব্যাক্তির ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করা যুলুম’ (ছহীহ বুখারী, হা/২২৭০; ইবনু মাজাহ, হা/২৪০৪)। তৃতীয়ত, বেতন না পেয়ে মনের কষ্টে কর্মচারী বদ-দু‘আ করতে পারে। আর সে যদি অত্যাচারিত হয়, তাহলে সে বদ-দু‘আ সাথে সাথে মালিককে লেগে যাবে। আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তিনটি দু‘আ এমন আছে, যার কবুল হওয়ার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নাই। ১. অত্যাচারিতের দু‘আ, ২. মুসাফির ব্যাক্তির দু‘আ এবং ৩. সন্তানের জন্য তার পিতা-মাতার দু‘আ বা বদ-দু‘আ’ (তিরমিযী, হা/৩৪৪৮; ইবনু মাজাহ, হা/৩৮৬২; সিলসিলা ছহীহা, হা/১৭৯৭)।
প্রশ্নকারী : আব্দুর রহমান
নওগাঁ।