উত্তর : পবিত্র কুরআনের উক্ত ভাষ্য সম্পর্কিত আয়াতের অনুবাদ হল, ‘নিশ্চয় ক্বিয়ামতের জ্ঞান আল্লাহর কাছে রয়েছে, তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তিনি জানেন মাতৃগর্ভে কী লালিত-পালিত হয়। কেউ জানে না আগামীকাল সে কী উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন স্থানে তার মৃত্যু ঘটবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ ও সর্ববিষয়ে অবহিত’ (লুক্বমান, ৩৪)। উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা হল, তিনটি স্তর ভেদ করে সন্তান জন্মগ্রহণ করে (আয-যুমার, ৬)। যার প্রথম স্তর হল, রেহেম বা মাতৃগর্ভে অবস্থিত শুক্রকীট (আল-মুমিনূন, ১২-১৪; ছহীহ বুখারী, হা/৭৪৫৪)। যা থেকে কোন সন্তান জন্মলাভ করবে; তার আকার-আকৃতি কী হবে; এবং কী কল্যাণ বা অকল্যাণ নিয়ে সে আগমন করবে তা মানুষ তিন চল্লিশের পূর্বে জানতে পারে না। বরং তিন চল্লিশ পূর্ণ হওয়ার পর যখন তাতে রূহ ফুঁকে দেওয়া হয় তারপরই মানুষ যন্ত্রের সাহায্যে কেবলমাত্র তার আকার-আকৃতি সম্পর্কে কিছুটা জানতে পারে। কিন্তু তার ভবিষ্যৎ ও কল্যাণ-অকল্যাণ, সৎ-অসৎ সম্পর্কে কিছুই জানতে পারে না (বিস্তারিত দ্রষ্টব্য : তাফসীরে ইবনু কাছীর, ৪/৪৩৫ পৃ.)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল গফুর
মিরপুর, ঢাকা।