কুরআন ও সুন্নাহকে আঁকড়ে ধরার এক অনন্য বার্তা

রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অন্তিম ভাষণে ছাহাবীগণের আবেগপ্রবণতা! আর আমরা?

post title will place here

 عَنِ الْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ رضي الله عنه قَالَ «صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ، ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا بِوَجْهِهِ فَوَعَظَنَا مَوْعِظَةً بَلِيغَةً، ذَرَفَتْ مِنْهَا الْعُيُونُ، وَوَجِلَتْ مِنْهَا الْقُلُوبُ. فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ! كَأَنَّ هَذِهِ مَوْعِظَةُ مُوَدِّعٍ فَأَوْصِنَا، فَقَالَ أُوصِيكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ، وَالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ، وَإِنْ كَانَ عَبْدًا حَبَشِيًّا، فَإِنَّهُ مَنْ يَعِشْ مِنْكُمْ بَعْدِي فَسَيَرَى اخْتِلَافًا كَثِيرًا، فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّينَ، تَمَسَّكُوا بِهَا وَعَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ، وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ، فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ».

সরল অনুবাদ: ইরবায ইবনু সারিয়াহ রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের ছালাত আদায় করালেন। অতঃপর আমাদের দিকে মুখ ঘুরিয়ে বসে গেলেন। আমাদের উদ্দেশ্যে এমন মর্মস্পর্শী নছীহত করলেন, যাতে আমাদের চোখ গড়িয়ে পানি বইতে লাগল। অন্তরে ভয় সৃষ্টি হলো। মনে হচ্ছিল, উপদেশ দানকারীর যেন জীবনের এটাই শেষ উপদেশ। এক ব্যক্তি আবেদন করল, হে আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমাদেরকে আরও কিছু উপদেশ দিন। তিনি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘আমি তোমাদেরকে আল্লাহ তাআলাকে ভয় করার, (ইমাম বা নেতার) আদেশ শোনার ও (তাঁর) অনুগত থাকতে উপদেশ দিচ্ছি, যদিও সে হাবশী (আফ্রিকান কৃষ্ণাঙ্গ) গোলাম হয়। (স্মরণ রেখো) আমার পরে তোমাদের যে ব্যক্তি বেঁচে থাকবে সে অনেক মতভেদ দেখবে। এমতাবস্থায় তোমাদের কর্তব্য হবে আমার সুন্নাতকে ও হেদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরা এবং এ পথ ও পন্থা দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরে থাকবে। সাবধান! দ্বীনের ভেতরে নতুন নতুন কথার (বিদআত) উদ্ভব ঘটানো হতে বেঁচে থাকবে। কেননা প্রত্যেকটা নতুন কথাই (বা কাজ শরীআতে আবিষ্কার করা, যা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং ছাহাবীগণ করেননি তা) বিদআত এবং প্রত্যেকটা বিদআতই ভ্রষ্টতা’।[1]

ব্যাখ্যা: ২৩ বছরে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষকে শিক্ষা ও দিক-নির্দেশনা দেওয়ার কোনো প্রচেষ্টা বাদ রাখেননি। তাই তাঁর জীবন মানুষের জন্য নির্ভেজাল পথপ্রদর্শক এবং জাতির জন্য একটি উজ্জ্বল আলো, যা তাদের পথ আলোকিত করে। তাদের চলার পথে তাদের বাধা ও কষ্টগুলো প্রদর্শন করে, ফলে তাদের চলার পথ মসৃণ হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ﴿لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ﴾ ‘নিশ্চয় তোমাদের জন্য রাসূলের মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে’ (আল-আহযাব, ৩৩/২১)

নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মানুষকে সত্যের পথে ডাকা এবং সত্য প্রচারের এমন অভিলক্ষ্য ঐ মুহূর্ত পর্যন্ত চলতে থাকে, যতক্ষণ না মহান আল্লাহ ইসলামের আনুষ্ঠানিক বিজয় ঘোষণায় আয়াত অবতীর্ণ করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,﴿إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ - وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا - فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا﴾ ‘যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসে এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখেন, তখন আপনার পালনকর্তার প্রশংসা করুন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করুন। কারণ তিনি তওবা কবুলকারী’ (আন-না, ১১০/১-৩)

উক্ত আয়াতগুলো অবতীর্ণের সময় তিনি তাঁর মৃত্যুর চূড়ান্ত সময় অনুভব করেন। তখন তিনি এ বিষয়ে আরও বেশি নিশ্চিত হন, যখন তাঁকে দুনিয়ায় থাকা ও আখেরাতে যাওয়ার মধ্যে একটিকে বেছে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। ঐ সময় তাঁর মধ্যে আল্লাহর নৈকট্য লাভের ব্যাকুলতা বহুগুণে বৃদ্ধি পায় এবং উম্মতের প্রতি তাঁর গভীর দয়া তাঁর মৃত্যুর পর তাঁকে আরও ভাবিয়ে তোলে। তখন তিনি তাদেরকে একটি মর্মস্পর্শী উপদেশ এবং ব্যাপক তাৎপর্যবহ নছীহত করেন, যা তাদের মধ্যে যে কলহ চলমান থাকবে এবং তারা যে সমস্যার সম্মুখীন হবে, তা মোকাবেলার জন্য একটি চমৎকার সমন্বিত পদ্ধতি। যাতে তাঁর এই উপদেশ তাদের জীবন পরিবর্তনে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।

এই মহান উপদেশ ছাহাবীগণের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। দুনিয়া থেকে তাদের নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিদায় যে আসন্ন, তা তারা অনুভব করতে পারেন। তাই তাদের চোখ দিয়ে অঝোরে পানি ঝরতে থাকে এবং তাদের হৃদয়ের স্পন্দন ব্যাপক বেড়ে যায়। পরিস্থিতি এতটা সঙ্গিন ছিল যে, তারা বলে ফেলেন, হে আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! এ যেন বিদায়ী সেনাপতির মর্মস্পর্শী ভাষণ! অতএব, আপনি আমাদের উপদেশ দিন। তারা তাঁর কাছে এমন একটি উপদেশ প্রত্যাশা করেন, যা তাঁর মৃত্যুর পর তাদের জন্য যথেষ্ট হবে, তাদের সঠিক পথের উপর অটল রাখবে এবং সঠিক রাস্তায় তাদের পথচলা নিশ্চিত করবে। সুতরাং নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপদেশ তাদের জন্য সংগ্রামের সমুদ্রে মুক্তির দিশা হিসেবে কাজ করে। তাক্বওয়া তথা আল্লাহর ভয় নামক গুণের সৃষ্টি করে। কারণ এটি সমস্ত কল্যাণের ধারক এবং প্রত্যেক উপকারী বিষয়ের বাহক। আর যারা দুনিয়া ও আখেরাতে মুক্তি চায়, তাদের জন্য এটি একমাত্র সহায়ক। তাই আল্লাহ তাআলা বলেন, ﴿إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ أَتْقَاكُمْ﴾ ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট তোমাদের মধ্যে সেই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত, যে সর্বাধিক তাক্বওয়াবান’ (আল-হুজুরাত, ৪৯/১৩)

অতঃপর রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইমামের (রাষ্ট্রপ্রধানের) ঐ অধিকারের প্রতি আলোকপাত করেন, যে অধিকার শরীআত তাকে দিয়েছে। আল্লাহর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী, ‘শ্রবণ করো ও আনুগত্য করো অর্থাৎ রাষ্ট্রপ্রধানের আনুগত্য করো, যদিও তোমাদের উপর কর্তৃত্বকারী ব্যক্তি কোনো আফ্রিকান কৃষ্ণাঙ্গ হয়’। কারণ শ্রবণ ও আনুগত্য এই উভয় অধিকারই একজন শারঈ ইমাম তথা রাষ্ট্রপ্রধানের আছে। এর প্রমাণে মহান আল্লাহ বলেছেন,﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ﴾ ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো, রাসূলের আনুগত্য করো এবং তোমাদের ইমামদের আনুগত্য করো’ (আন-নিসা, ৪/৫৯)

আর উম্মু হুসাইন রাযিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বিদায় হজ্জে উপদেশ দিতে শুনেছি, তিনি বলেন, ‘হে লোক সকল! আল্লাহকে ভয় করো, শ্রবণ করো এবং আনুগত্য করো। একজন কানকাটা হাবশী কৃতদাসকেও যদি তোমাদের নেতা বানিয়ে দেওয়া হয়, তার আনুগত্য ততক্ষণ করতে থাকো, যতক্ষণ তিনি তোমাদের মধ্যে আল্লাহর কিতাবের বিধান প্রতিষ্ঠা করবেন’।[2]

ইমামের কথা শোনা ও তার আনুগত্য করা তাক্বওয়ার অন্তর্ভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও বিষয়টিকে হাদীছে স্বতন্ত্রভাবে উল্লেখ করার কারণ হলো এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনুধাবন করা এবং এক্ষেত্রে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করা। তবে তার আনুগত্যের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আছে, যার প্রতি আলোকপাত করা উচিত। তা হলো শারঈ ইমামের আনুগত্য তখনই বাধ্যতামূলক হবে, যখন তিনি শরীআতের বিধান অনুসরণ করবেন এবং মনগড়া কোনোকিছু করবেন না। সুতরাং যদি তার আদেশ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আইনের পরিপন্থী হয়, তবে সেক্ষেত্রে তাঁর আনুগত্য করা ওয়াজিব নয়। এ প্রসঙ্গে মহানবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘পাপ কর্মের ক্ষেত্রে কারও আনুগত্য নয়, শুধু কল্যাণকর কাজে আনুগত্য জায়েয’।[3] তবে সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার শারঈ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।

রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী, ‘যদি তোমাদের উপর (আল্লাহর) কোনো বান্দাকে কর্তৃত্ব প্রদান করা হয়’-এর ব্যাখ্যায় আলেমগণ দুটি বিষয়ের কথা বলেছেন। প্রথমটি হলো, যখন অযোগ্য ব্যক্তির হাতে রাষ্ট্রীয় শাসনের ভার চলে যায় কিংবা কোনো অত্যাচারী বা মাফিয়া রাষ্ট্রের শাসনক্ষমতা দখল করে নেয় এবং তার ক্ষতি থেকে বাঁচার কোনো উপায় না থাকে, তখন তার ক্ষতি থেকে বাঁচতে তার আনুগত্য আবশ্যক। দ্বিতীয়টি, যেটি তিনি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ব্যক্তির আনুগত্যের প্রতি গুরুত্বারোপ করতে গিয়ে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এখন তিনি যদি অনারব হন বা মর্যাদাগত অবস্থানে খুব সাধারণ হন, তবুও তার আনুগত্য করতে হবে। যেমনটি তিনি মসজিদ নির্মাণের ফযীলত বর্ণনা করতে গিয়ে স্থানের পরিমাণের স্বল্পতা বুঝাতে বিড়ালের থাকার জায়গার উদাহরণ দিয়েছেন। তিনি ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য বিড়ালের থাকার সমপরিমাণ স্থানে বা অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্রতর স্থানে মসজিদ নির্মাণ করবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করবেন’।[4]

অতঃপর রাসূলুল্লাহ ‍ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর পরে উম্মতের বিভাজনের ফলে তাদের শক্তি দুর্বল হওয়া এবং হেদায়াত ও সত্য থেকে সরে যাওয়া সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। এ মতভেদ থেকে কীভাবে বেঁচে থাকা যায়, সে সম্পর্কে অবহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি বেঁচে থাকবে, সে অনেক পার্থক্য দেখতে পাবে, সুতরাং তোমরা আমার সুন্নাহ এবং সঠিক পথপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাহ অনুসরণ করবে’। তিনি রোগের বর্ণনা দিয়েছেন এবং এর প্রতিকারের উপায় বলে দিয়েছেন। তিনি তাঁর সুন্নাহ এবং তাঁর পরে তাঁর সঠিক পথপ্রদর্শক খলীফাদের সুন্নাহকে মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন। যাদেরকে আল্লাহ তাআলা রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পদ্ধতি অনুযায়ী চলার উপর দৃঢ়তা এবং সত্য জানা ও হেদায়াতের আলো দিয়ে আলোকিত করেছেন, এমনকি তাদের যুগ অনুকরণীয় আদর্শে পরিণত হয়। এর আলোকে আমরা তাদের হেদায়াতকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করার বিষয়ে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দৃঢ়তা বুঝতে পারি। যখন তিনি বলেছিলেন, ‘নাওয়াজিয দ্বারা আঁকড়ে ধরো’। এখানে ‘নাওয়াজিয’ হলো মাড়ির সবচেয়ে পিছনের দাঁত। সুতরাং এটি সেই পথকে শক্তভাবে ধরা এবং এর থেকে বিচ্যুত না হওয়ার প্রতি কঠিন ইঙ্গিত।

একজন মুসলিমের তার জীবনে যে সুস্পষ্ট ধারণা ও সঠিক আইনগত ভিত্তি অনুসরণ করা উচিত, তা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এই উপদেশ বহন করে। অতএব, উক্ত হাদীছের আলোকে একজন মুসলিমের রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মানহাজ অনুযায়ী চলার জন্য পণ করা উচিত। এর মাধ্যমে উক্ত হাদীছের উপর ধ্যান করার এবং এর তাৎপর্যপূর্ণ অর্থ বের করার প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পাবে। আমরা মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি আমাদের পথভ্রষ্টতা থেকে বাঁচিয়ে রাখুন- আমীন!

মুহাম্মদ মুস্তফা কামাল

 প্রভাষক (আরবী), বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বরিশাল।


[1]. আহমাদ, হা/১৬৬৯৪; আবূ দাঊদ, হা/৪৬০৭; তিরমিযী, হা/২৬৭৬, হাদীছ ছহীহ; মিশকাত, হা/১৬৫।

[2]. তিরমিযী, হা/১৭০৬; আহমাদ, হা/২৭২৬৮।

[3]. ছহীহ বুখারী, হা/৭২৫৭।

[4]. ছহীহ ইবনে হিব্বান, হা/১৬১০।

Magazine