উত্তর: অন্যের সন্তানকে দত্তক তথা লালন-পালনের উদ্দেশ্যে নেওয়া জায়েয আছে। যেমন রাসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যায়েদ ইবনু হারেছা রযিয়াল্লাহু আনহু–কে ছেলে হিসেবে নিয়েছিলেন (ছহীহ বুখারী, হা/৪৭৮২)। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের পোষ্যপুত্রকে তিনি (আল্লাহ) তোমাদের প্রকৃত পুত্র করেননি; ঐগুলি তোমাদের মুখের কথা’ (আল-আহযাব, ৩৩/৪)। তবে, পালক সন্তানকে নিজ ছেলে হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া যাবে না। তারা পালক পিতা-মাতার ওয়ারেছ হবে না। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা তাদেরকে তাদের পিতৃ-পরিচয়ে ডাক’ (আল-আহযাব, ৩৩/৫)। সুতরাং সার্টিফিকেট, আইডি, পাসপোর্ট, ভিসা বা অন্য কোনো স্থানে স্বীকৃতির ক্ষেত্রে পিতা-মাতার স্থানে তাদের নাম ব্যবহার করা যাবে না। কেননা তাতে আপন পিতা-মাতার পরিচয় গোপন করা হবে এবং অন্যকে আপন পিতা-মাতা বলে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। আর তা নিষিদ্ধ। কেননা এ সময় সে কাফের হয়ে যায় (ছহীহ বুখারী, হা/৩৫০৮; ছহীহ মুসলিম, হা/৬১)। এবং জান্নাতও তার জন্য হারাম হয়ে যায় (ছহীহ বুখারী, হা/৪৩২৬)। উল্লেখ্য যে, পালিত মার দুধ পান না করে থাকলে, সে মা মাহরামের অন্তভুর্ক্ত নয়। এমতাবস্থায় ছেলে হলে পালিত মা থেকে আর মেয়ে হলে পালিত বাবা থেকে পর্দার বিধান মেনে চলতে হবে।
প্রশ্নকারী : মো. সোলায়মান হোসেন
হরিপুর, মেলান্দহ, জামালপুর।