বৃষ্টিমুখর দিনগুলো কী যে মজা লাগে!
নতুন নতুন স্বপ্নগুলো তখন মনে জাগে।
ছোট্টবেলায় বৃষ্টি এলে দৌড়ে যেতাম বাইরে;
ঝমঝমাঝম বৃষ্টিতে ভিজতাম সবে ভাইরে।
আহা! টক-মিষ্টি আম কুড়াতাম অনেকগুলো করে,
আরও অনেক ফল কুড়াতাম জ্যৈষ্ঠর ঐ ঝড়ে।
লুকিয়ে লুকিয়ে ভিজতাম, বাইরে যেতে দিতে চায় না,
ছাতা মাথায় বাইরে যাওয়ার ধরতাম গো বায়না।
বাদল দিনে সাঁঝের বেলা খিচুড়ি রাঁধত মা,
খুবি মজা হতো খিচুড়ি, খেতে না করত না কেউ তা।
অতিবৃষ্টির ফলে বন্যা যখন হতো,
ভেলায় চড়ে অনেক দূরে ঘুরতে যেতাম কত!
একবার আমি পিছলা জায়গায় পড়ে গেলাম ধপাস!
হুঁশ ফিরে চেয়ে দেখি লোকজন ঘিরেছে চারপাশ!
হাত উঠাতে চাইলাম, দেখলাম ভেঙেছে গো হাত,
দিনের বেলায় দেখতে পেলাম আঁধার রাতের চাঁদ!
হাতভাঙা পাভাঙা হতো যে কত কষ্ট!
এত্ত সুন্দর দিনগুলো, আহা! হলো যে নষ্ট!
সব সখীরা বৃষ্টির দিনে খেতাম মুড়ি মাঝেমাঝে,
পড়ালেখা করতামই না, ফাঁকি দিতাম পাঠে।
বৃষ্টির দিনগুলো কেটেছে আমেজে, আছে সুখমালায় গাথা,
বৃষ্টি এলেই মনে পড়ে হারানো দিনের কথা।
লিমানা আনজুমান লিমা
বিরল, দিনাজপুর।